(হোমিসাইডাল) বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে। তবে গতকাল পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি যে এটি দুর্ঘটনা না হত্যাকাণ্ড।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে যাওয়ার আগে পৌনে দুই ঘণ্টা ইব্রাহিম কোথায় ছিলেন, তার কোনো হদিস পাননি গোয়েন্দারা। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তাঁদের হাতে পৌঁছেছে। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘হোমিসাইডাল’। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন চিকিত্সক জানান, ‘হত্যাজনিত কারণে’ মৃত্যু হলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হোমিসাইডাল লেখা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাহাবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘হোমিসাইডাল’ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গোয়েন্দারা তাঁদের তদন্তে এখনো মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর তদন্তের ধারায় পরিবর্তন আসবে। তবে আরও কতগুলো প্রতিবেদন—যেমন অস্ত্রের বিস্ফোরক প্রতিবেদন, আঙুলের ছাপ, রক্ত ইত্যাদির রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরের দুই ঘণ্টা ইব্রাহিম কোথায় ছিলেন তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এ পর্যন্ত যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁরা জানিয়েছেন, যানজটের কারণে ইব্রাহিমকে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাখ্যা কর্মকর্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ইফতারের আগে রাস্তা থাকে ফাঁকা। তখন সংসদ ভবন থেকে ঢাকা মেডিকেলে যেতে এত সময় লাগার কথা নয়।
এ বিষয়ে উপকমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ১৩ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন ইব্রাহিম। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পৌনে আটটার দিকে। এই পৌনে দুই ঘণ্টা তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
কর্মকর্তারা জানান, ইব্রাহিমকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেছেন, এ রকম কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষার প্রতিবেদনগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বেশি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




