somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মালয়েশিয়া ভ্রমণের খুঁটিনাটি

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের নিকটতম দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় মালয়েশিয়া। সম্প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার সুযোগ হয়েছিল দেশটি ঘুরে আসার এবং বেশ কিছুদিন থাকার। পুরো ভ্রমণজুড়ে হয়েছে নানান সব অভিজ্ঞতা; যেগুলো শেয়ার করলে আমি মনে করি পাঠকদের মধ্যে যারা মালয়েশিয়া ভ্রমণে আগ্রহী তারা উপকৃত হবেন।

যেভাবে যাবেন মালয়েশিয়ায়:

মালয়েশিয়ান সরকার ট্যুরিস্টদের জন্য মূলত তিন মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা প্রদান করে। এই তিন মাসের মধ্যে আপনি যেকোন সময় মালোয়েশিয়ায় এন্ট্রি করতে পারবেন এবং এককালীন সর্বোচ্চ একমাস অবস্থান করতে পারবেন। তবে প্রয়োজনে অবস্থানকালে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে এই মেয়াদ বাড়ানো যায়। সরাসরি ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হয় না। এজন্য আপনাকে অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

বর্তমানে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, মালিন্দো এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং রিজেন্ট এয়ারলাইন্স নিয়মিত মালয়েশিয়ায় ফ্লাইট করে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমার পরামর্শ থাকবে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য মালিন্দো এয়ারলাইন্স এ যেতে। তবে বাজেট কম থাকলে এয়ার এশিয়াতে যেতে পারেন। সময়ভেদে টিকেটের মূল্য উঠানামা করে। বুকিং যতো দেরিতে হবে টিকেটের মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা ততো বেশি হবে। তাই চেষ্টা করা উচিত ভ্রমণের যতোটা আগে সম্ভব টিকেট বুকিং দেয়া। অধিক খরচ এবং ঝামেলা এড়াতে রিটার্ন টিকেট বুকিং করা উত্তম। ঢাকা-কুয়ালালামপুর বেশিরভাগ ফ্লাইটই হয় রাতে এবং যাতায়াতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা।

ভ্রমণ পরিকল্পনা:

যেহেতু ভ্রমণের সময়কাল সীমিত তাই আগে থেকেই সবকিছু দৈনিক হিসেবে ভাগ করে নেয়া উত্তম। টুরিস্টরা মূলত কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া, লংকাউই, পেনাং এবং মালাক্কা ভ্রমণ করে। এই পাঁচটি স্থান ঘুরে দেখতে হলে মিনিমাম ১৫ দিনের ট্যুর প্ল্যান প্রয়োজন। তবে যদি ভ্রমণকাল এক সপ্তাহ থেকে দশ দিনের মাঝে হয়ে থাকে; তাহলে শুধু কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া এবং লংকাউই যেতে আমার পরামর্শ থাকবে। তাহলে এই শহরগুলো ভালোভাবে ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। আমি এই লেখায় মূলত এই তিনটি শহর নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।

মালয়েশিয়ায় ১২ মাসই প্রায় একই ধরনের আবহাওয়া থাকে। শুধু জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীর দিকে কখনো কখনো খুব সামান্য ঠান্ডা থাকে। তাই সাথে ভারী শীতের কাপড় নেয়ার প্রয়োজন নেই। ওখানে প্রায়ই বিকেলের দিকে বৃষ্টি হয়, তাই ছাতা-রেইনকোট সাথে নিয়ে যেতে পারলে ভালো।

কুয়ালালামপুর থেকে লংকাউই আইল্যান্ড বেশ দূরে। দুভাবে সেখানে যাতায়াত করা যায়- প্লেন এবং ফেরী। হাতে সময় সীমিত থাকলে প্লেনে যাতায়াত করা উত্তম, ভাড়াও নাগালের মধ্যে। বাংলাদেশ থেকেই এজেন্টের মাধ্যমে প্লেনের টিকেট বুক করে নিতে পারেন।

প্রায় প্রতিটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইটের ৪৮ ঘন্টা আগে তাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন চেক-ইনের সুবিধা দেয় যা অনেকেই জানে না। আপনি বুকিং স্লিপে দেয়া নাম, পিএনআর এবং ই-মেইল এড্রেস দিয়ে লগইন করে প্লেনে নিজের পছন্দমতো স্থানে সিট সিলেক্ট করে বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফ্লাইট মিসের আশঙ্কা এড়াতে ফ্লাইটের দিন, বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিপার্চারের মিনিমাম ২ ঘন্টা আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। উল্লেখ্য যে, ডিপার্চারের ১ ঘন্টা আগেই বোর্ডিং ক্লোজড হয়ে যায়।

যাত্রার আগেই অনলাইনে হোটেল বুক করা গেলে ভালো। অনলাইন বুকিং এ সাধারণ মূল্যের চেয়ে কম রেটে রুম পাওয়া যায় এবং আপনাকে এজন্য কোন বুকিং মানি পে করতে হবে না। হোটেলে চেক-ইনের সময় ক্যাশে পরিশোধ করলেই হবে। তবে অনলাইন বুকিং এর সময় নিরাপত্তার জন্য আপনাকে আপনার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিতে হবে। রেটিং এবং ফিডব্যাক অপশন থাকায় আপনি বুকিং এর আগেই হোটেলের মান যাচাই করে নিতে পারেন। বুকিং এর জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো হচ্ছে booking.com, agoda.com ইত্যাদি। বুকিং এর সময় খেয়াল রাখবেন হোটেল কোন এরিয়াতে পড়বে। কুয়ালালামপুরে মধ্যম এবং উচ্চ মানের হোটেলগুলোর অবস্থান বুকিত বিনতাং এলাকায়। আর সাশ্রয়ী মূল্যের হোটেলগুলো পাবেন পাসার সেনী এলাকায়। যদি আপনার বাজেট ভালো থাকে তাহলে Alpha Genesis Hotel এ বুকিং করতে পরামর্শ থাকবে। এই হোটেলের সামনেই ভালো মানের তিনটি বাঙালী রেস্টুরেন্ট রয়েছে, শহরের দর্শনীয় বেশিরভাগ স্থান এবং শপিং মলগুলো এই হোটেলের নিকটে। লংকাউইতে হোটেল বুক করলে অবশ্যই চেনাং বিচের আশেপাশে করবেন। অন্যান্য স্থান থেকে বিচে যাতায়াত করা কষ্টকর। চেনাং বিচের নিকটে Langgura Baron Resort থাকার জন্য বেশ ভালো মানের।

শহরে যাতায়াত:

কুয়ালালামপুর শহরে যাতায়াতের তিনটি মাধ্যম হচ্ছে বাস, ট্রেন এবং ট্যাক্সিক্যাব। আপনি যদি একা হন তাহলে আপনার জন্য বাস অথবা ট্রেনে যাতায়াত সাশ্রয়ী। মেট্রোরেল প্রায় পুরো কুয়ালালামপুর সিটি জুড়ে আছে। পুডু সেন্ট্রাল নামে শহরের অভ্যন্তরে একটা বাস টার্মিনাল আছে যেখান থেকে পুরো শহরের যেকোন দূরত্বে বাস যায়। এছাড়া একটা ফ্রি বাস সার্ভিস আছে যাতে করে বিনামূল্যে শহরের অভ্যন্তরে যাতায়াত করা যায়। টুরিস্টদের জন্য সুদৃশ্য দোতলা বাস সার্ভিস আছে যা সারাদিন কুয়ালালামপুরের প্রায় ৭০ টি দর্শনীয় স্থান অতিক্রম করে। আপনি ২৪ বা ৪৮ ঘন্টার টিকেট কেটে উক্ত সময়কালে যতবার ইচ্ছে সেই বাসে চড়তে পারবেন।

আপনি যদি একা না হন তাহলে ট্যাক্সিই আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম এবং আরামদায়ক বাহন। কুয়ালালামপুরে মূলত দুই ধরনের ট্যাক্সি আছে। সেগুলো হল রেড কালার ফোর সিটার বাজেট ট্যাক্সি, সিক্স সিটার ব্লু কালার এক্সিকিউটিভ ট্যাক্সি। লাগেজ ছাড়া যাতায়াতের জন্য রেড ট্যাক্সি সাশ্রয়ী। তবে সমস্যা হল ট্যুরিস্ট দেখলেই ট্যাক্সি ড্রাইভাররা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চেয়ে বসে। এজন্য সমাধান Grab এবং Uber নামক দুটি অ্যাপ। এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে যাত্রার কয়েক মিনিট আগেই কার বা ট্যাক্সি বুক করে নিতে পারেন কম ভাড়ায়। অ্যাপগুলোর ব্যবহার খুবই সহজ; গাড়ি বা ট্যাক্সি বুক করার সাথে সাথেই অ্যাপটি ড্রাইভারের নাম, ফোন নম্বর, অবস্থান, ভাড়া ইত্যাদি দেখাবে।

লংকাউইতে ট্যাক্সিই একমাত্র বাহন। তবে ভালো দিক হলো ওখানে ট্যাক্সি ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া স্টেটের পক্ষ থেকে। একারণে আপনি নিশ্চিন্তে সেখানে দরদাম না করেই ট্যাক্সিতে চড়তে পারেন। আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে আপনি সহজেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাড়ি ভাড়া করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ট্যাক্সির চেয়ে খরচ অনেক কম পড়বে আর নিজের মতো করে ভ্রমণ করারও সুযোগ থাকবে।

দর্শনীয় স্থানসমূহ:

পুরো কুয়ালালামপুর সিটি জুড়ে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। কুয়ালালামপুরের প্রাণকেন্দ্রেই রয়েছে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার যাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। এটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চ টুইন টাওয়ার। প্রতিটি টাওয়ারের উচ্চতা ৪৫১.৯ মিটার (৮৮ তলা) করে, এবং দুটি টাওয়ার ১৭০ মিটার (৪১ তলা) উচ্চতায় স্কাইব্রিজ দ্বারা সংযুক্ত। ৮৫ রিংগিতের বিনিময়ে আপনি টিকেট কেটে টুইন টাওয়ার ডিস্কভারি ট্যুরে যেতে পারেন। ট্যুরে স্কাইব্রিজ এবং ৮৬ তলায় অবজারভেশন ডেক ঘুরে দেখানো হয়। টুইন টাওয়ারের পাশেই রয়েছে কেএলসিসি পার্ক যেখান থেকে আপনি টুইন টাওয়ারের সম্পূর্ণ ভিউ পাবেন। পাশাপাশি লেক, ঝর্না আর প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। টুইন টাওয়ারের নিচে আছে সুরিয়া কেএলসিসি শপিং মল।



টুইন টাওয়ারের বেশ কাছেই রয়েছে মিনারা কেএল টাওয়ার যার উচ্চতা ৪২১ মিটার। টুইন টাওয়ারের মতোই এখানেও আপনি টিকেট কেটে স্কাইডেক এবং অবজারভেশন ডেকে যেতে পারেন। মিনারা থেকে কুয়ালালামপুর সিটির চমৎকার একটা ভিউ পাওয়া যায়, বিশেষ করে সানসেট উপভোগ করার জন্য এটা অসাধারণ। মিনারার পাশে আছে আপসাইড ডাউন হাউস। শোবার ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, ডাইনিং রুম সবকিছুই এখানে উল্টো দেখে চমকে যেতে হয়। আপনি যদি ছবি তুলতে পছন্দ করেন তাহলে কোনভাবেই এটা মিস করবেন না।

এছাড়াও যেতে পারেন কুয়ালালামপুর বার্ড পার্ক (সর্ববৃহৎ ফ্রি-ফ্লাইট ওয়াক-ইন এভিয়ারি), বাতু কেভস, ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম, মসজিদ নেগারা (জাতীয় মসজিদ), সুলতান আবদুস সালাম বিল্ডিং এবং মারদেকা স্কয়ার।



কুয়ালালামপুরের অদূরে পাহাং প্রদেশে এ ১৮৬৫ মিটার উচ্চতায় রয়েছে গেন্টিং হাইল্যান্ড। স্থানটি এতটাই উঁচুতে যে চারপাশে মেঘের উপস্থিতি দেখা যায়। পুরো মালয়েশিয়াতে এটাই একমাত্র স্থান যেখানে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হয়। তাই গরম কাপড় সঙ্গে নিলে ভালো। গেন্টিং হাইল্যান্ডে রয়েছে ক্যাবল কার, থিম পার্ক, ক্যাসিনো, চিন সুই কেভ টেম্পল, রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট মিউজিয়াম সহ আরো অনেক কিছু। গেন্টিং হাইল্যান্ডের কাছেই বুকিত তিংগিতে বেরজায়া হিলসের উপর আছে ফ্রেঞ্চ ভিলেজ, যেখানে ফ্রান্সের গ্রামের আদলে একটা পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এই সবকিছু ঘুরে দেখতে চাইলে অবশ্যই সম্পূর্ণ একদিনের প্ল্যান রাখা উচিত। বাসে করে গেন্টিং হাইল্যান্ডে যাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি একদিনের চুক্তিতে গাড়ি ভাড়া করতে পারেন।

অনেকেই হয়তো জানেন না মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়া যা কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সাথেই রয়েছে সাইবার জায়া নামে আরেকটি ছোট শহর যাকে মালয়েশিয়ার সিলিকন ভ্যালি বা তথ্যপ্রযুক্তির প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। পুত্রজায়ার দর্শনীয় স্থানসমূহ হল- পুত্রজায়া লেক, পুত্রজায়া ব্রিজ, পুত্রা মসজিদ, পেরদানা পুত্রা (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়), সেরি পেরদানা (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন। এছাড়াও শপিং করতে পারেন আইওআই সিটি মল থেকে।

সানওয়ে লেগুন মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ থিম পার্ক যা অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ওয়াটার পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক, এক্সট্রিম পার্ক, স্ক্রিম পার্ক এবং নিকলোডিয়ান পার্কের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। এখানে আরও রয়েছে ২১ মিটার উচ্চতা থেকে বাঞ্জি জাম্পিং করার সুযোগ। সানওয়ে লেগুনের কাছেই কেনাকাটার জন্য রয়েছে সানওয়ে পিরামিড শপিং মল।

এবার আলোচনা করবো লংকাউই আইল্যান্ড নিয়ে। ভ্রমণের জন্য মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক স্থান হলো লংকাউই। লংকাউই না গেলে মালয়েশিয়া যাওয়াই যেন বৃথা হয়ে যায়। লংকাউইতে চেনাং বিচের নয়নাভিরাম দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বিচে প্যারাসেইলিং, জেটস্কি, স্কুবা ডাইভিং ইত্যাদি এক্টিভিটি করার সুযোগ রয়েছে। বিচ ছাড়াও লংকাউইতে দর্শনীয় স্থানসমূহ হল ঈগল স্কয়ার, কিলিম জিয়োফরেস্ট পার্ক, লংকাউই স্কাইব্রিজ এন্ড ক্যাবল কার, আর্ট ইন প্যারাডাইস, ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক, আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড। এছাড়াও প্যাকেজে ম্যানগ্রোভ ট্যুর এবং থ্রি আইল্যান্ড ট্যুরে যেতে পারেন।

খাবার:

মালয়েশিয়া যেহেতু মুসলিমপ্রধান দেশ সেহেতু এখানে প্রায় সব রেস্টুরেন্ট হালাল খাবার পরিবেশন করে। একারণে লোকাল, অ্যারাবিক, বাঙালী যেকোন ধরনের খাবার ট্রাই করতে পারেন। মালয়েশিয়ার লোকাল খাবারের মধ্যে নাসি গোরেং আয়াম (চিকেন ফ্রাইড রাইস) বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া লিমাউ নামে এক ধরনের লেমনেড পাওয়া যায় যা পানির বিকল্প হিসেবে পান করতে পারেন। কুয়ালালামপুরে রসনা বিলাস এবং স্টার কাবাব নামে বুকিত বিনতাং এরিয়াতে দুটো বাংলা রেস্টুরেন্ট আছে। এছাড়া লংকাউইতে চেনাং বিচের নিকটে মিজান ভাইয়ের রেস্টুরেন্ট আর বাংলা রেস্টুরেন্ট নামে দুটি বাংলা রেস্টুরেন্ট আছে।

কেনাকাটা:

কুয়ালালামপুর শহরজুড়েই আছে বিভিন্ন শপিং মল। তবে বেশিরভাগ মল বুকিত বিনতাং অথবা এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত। বেরজায়া টাইমস স্কয়ার এবং সাংগেই ওয়াং প্লাজায় যেকোন ধরনের কেনাকাটা করতে পারেন। ইলেকট্রনিকস শপিং এর জন্য যেতে পারেন লো ইয়াট প্লাজায়। এছাড়া সাশ্রয়ী শপিং এর জন্য যেতে পারেন পাসার সেনি মার্কেট এবং চায়না টাউন মার্কেটে। এক্সপেনসিভ কেনাকাটার জন্য যেতে পারেন প্যাভিলয়ন শপিং মলে। লংকাউইতে শপিং এর জন্য চেনাং মল, লংকাউই ফেয়ার শপিং মল এবং জেনো ডিউটি ফ্রি শপিং মলে যেতে পারেন।

পরিশেষে, মালয়েশিয়া ভ্রমণ আপনার জন্য হতে পারে একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারেন। আমার এই লেখায় আমি চেষ্টা করেছি বিস্তারিতভাবে সবকিছু তুলে ধরার। আপনার যেকোন জিজ্ঞাসা বা মতামত জানাতে আমাকে ইমেইল করতে পারেন।

লেখার সময়কাল: মে ২০১৭
ইমেইল: [email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×