(১) ডাকপিয়ন
..........................
আমি একজন ডাকপিয়নকে চিনি যার মৃত্যু হবে অপঘাতে এই তথ্যটি জেনেও মেতেছিল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়। এ কথা বলতেই সে হাসি মুখে বলল, পুরো জীবনটাই তো একটা যুদ্ধের ময়দান। যে ভালো অস্ত্র চালনা করতে জানে বেঁচে থাকার অধিকার তারই। ডাকপিয়ন চিঠির গন্ধ চেনে। প্রেমিকের চিঠি হাতে নিয়ে বলে দিতে পারে তার বুকের কষ্টগাথা। সারাদিন হাঁটার পর এককাপ চা হাতে নিয়ে ভাবে; সে এদেশের উসাইন বোল্ট। অথচ ছোটবেলায় তার ঘোড়ায় চড়ার শখ ছিল। প্রাকটিস বলতে মেলায় গিয়ে ঘোড়দৌড় দেখা পর্যন্তই। মানুষ কতো কিছু হতে চায়। স্বপ্ন মূলত মৃত্যুর কাছাকাছি একটি নাম। পূরণ না হলেই মানুষ যুদ্ধ করে। কৈশোরে সেও স্বপ্ন দেখেছিল এক প্রেমিকা। আর প্রেয়সীর মুখ আঁকতে গিয়ে এঁকে ফেলেছিল আস্ত একটা পৃথিবী।
(১) জীব-অণুজীব গবেষণা কিংবা চিড়িয়াখানার প্রেম
........................................................................................
অন্ধকার দীর্ণ করে বের হয়ে আসছে যে মনুষ্যমুখ তার হাতের রেখাগুলোও অস্পষ্ট। রৈখিক ভরবেগে কৌনিক নকশা কেটে ঈশ্বরের সুনিপুণ ইচ্ছাগুলো এখানে এসে মাথা খুঁটে মরে। এখানে ঘাস নেই, বৃক্ষ নেই শুধু হাতের মুঠোয় ধরে রেখেছি নষ্ট জল। যারা নদী দেখেনি কিংবা মাছ তারাও ইদানিং একচিলতে হাসি মুখের আশায় নদী মুখস্থ করে রাখে। লেখাপড়া কম হতে পারে, হালুমের চরিত্র আমরাও জানি। হাড়গিলা চিনি বলেই আবাসিক হোটেলে গিয়ে রাতঘুম দেই। হরিণকে পিছু রেখে একদিন আমিও বসে যাব গন্ডারের মুখোমুখি - বেদনাহীন মৃত্যুর ব্যবস্থা করার বিধান তাদের সংবিধানে আছে কিনা জেনে নেবো। ’পৃথিবীটাই চিড়িয়াখানা’ বলেছিল যে শ্যামা ময়নাটি তার অবস্থাটাও আজ বড়ই করুণ। আর আমরা ব্যস্ত সময় কাটাই জীব-অণুজীব গবেষণায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯