somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশুদের নিয়ে বড়দের বেহুঁশ বিনোদন থামান

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাষ্ট্রের পতন হয় সশব্দে, কিন্তু নীতি-নৈতিকতার মৃত্যু ঘটে নীরবে, দিনে দিনে। আমাদের সমাজে নীতির মৃত্যু এ রকম নিঃশব্দেই হচ্ছে। টেলিভিশনের কিছু কিছু অনুষ্ঠানে তার আভাস মিলছে। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের শিশুদের উটের দৌড়ের জকি করা নিয়ে দুনিয়াজুড়ে অনেক কথা হয়েছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে শিশুদের বিনোদনের জকি করা নিয়ে সরব হওয়ার সময়ও চলে এসেছে।
বিজ্ঞাপনে শিশু, বিনোদনেও শিশু। মনের নাম মহাশয়, যা সওয়াও তা-ই সয়। শিশু ও শৈশবের বাণিজ্যিক ব্যবহার হয়তো অনেকেরই চোখ সয়ে গেছে, বিনোদনে ব্যবহারও হয়তো সয়ে যাচ্ছে। যেকোনো চ্যানেলে ১০টি বিজ্ঞাপনের কমপক্ষে সাতটিতেই তারা হাজির। তারা গাড়ি-বাড়ি, টিভি-ফ্রিজ, পানীয়, সাবান, হরলিকস মায় বালতি বা ঢেউটিনের গুণগান করে! সরল ও সুন্দর শিশুর জবানে-অভিনয়ে পণ্যের সুখ্যাতি দেখে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, ব্যবসা সত্য না, মুনাফা সত্য না, পণ্যমুগ্ধ শৈশবই সত্য। অভিভাবকেরা অর্থ পাচ্ছেন, শিশুটিও স্টার হচ্ছে। আর ঘরের শিশুরা ভাবছে, ওই শিশুটির মতো আমারও খ্যাতি দরকার, টাকা দরকার। আর দরকার ওই সব বিজ্ঞাপিত পণ্য। মা-বাবারা তাদের আবদারে হার মানেন। শিশুরাও হয়ে যায় ওই সব পণ্যের স্থায়ী ক্রেতা। পণ্যায়িত সমাজে একটি নতুন শিশুর জন্ম তাই একজন সম্ভাব্য ক্রেতারও জন্ম। এ যুগে মিডিয়াই এখন আমাদের চোখ-কান-মন। মায়ের ছেলে বা বাবার মেয়েটি ঘরে শেখে, স্কুলে শেখে, টিভি দেখেও শেখে। কিন্তু কী শেখে আসলে?
ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের নিন্দা হয়, শিশু ও তাদের প্রতি বড়দের কোমল আবেগের বাণিজ্যিক ব্যবহারও অপরাধ। দেশি চ্যানেলগুলো এই পথে নবীন বলে রয়েসয়ে দেখায়। কিন্তু ভারতের হিন্দি চ্যানেলগুলো যে রকম তুখোড় দক্ষতা অর্জন করেছে, তাতে ভাষা ও সীমানা পেরিয়ে তার ডাক আমাদের ঘরে ঘরে সচিত্র বাজছে। হিন্দি সিরিয়ালের পাশাপাশি শিশুদের নাচ-গানের প্রতিযোগিতা তথা রিয়েলিটি শো এখন বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। উন্নত প্রযুক্তি আর পুঁজির জোরে এসব চ্যানেলই এখন উপমহাদেশের জনসংস্কৃতিকে প্রভাবিত করছে। অন্যরা বাধ্য হচ্ছে তাদের অনুকরণ করতে। দৃশ্য বা ইমেজের ক্ষমতা এতই সর্বজনীন যে, ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির ঘের তা অনায়াসেই ভেঙে ফেলছে।
ওই সব অনুষ্ঠান আমাদের শৈশবের নতুন কুঁড়ির নাচ-গান নয়। ধুমধাড়াক্কা হিন্দি ছবির চটুল গানের সঙ্গে ততোধিক হট নাচ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বুঝি বলিউডি তারকারাই মঞ্চ কাঁপাচ্ছে, দর্শকের মনে ঢেউ তুলছে। সেই পোশাক, সেই বিশেষ ভঙ্গি, সে রকম শরীর চঞ্চল করা কথা ও সুর। একটি তিন-চার বছর বয়সী বালিকা অসম্ভব কসরত করে যে নাচটি করে, ফিল্মের দৃশ্যে তা করেছিল স্বল্পবসনা কোনো হার্ট থ্রব নায়িকা। নাক টিপলে দুধ বেরোবে, এমন বয়সী বালক ‘চুম্মা চুম্মা দে দো’ গানের সঙ্গে নাচা কি নিরীহ বিনোদন? দুটি বালক-বালিকাকে প্রেমঘন গানে নাচানো কি সভ্যতা? বহুদিনের বহু অনুশীলনে তারা এসব শিখেছে। আর আমরা চোখ ভরে দেখে মন ভরে মজে যাচ্ছি। বিনোদন আমাদের বিবেককে করে দিচ্ছে অবশ।
ভারতের প্রায় প্রতিটি হিন্দি-বাংলা চ্যানেলে এ রকম একটি অনুষ্ঠান সারা বছর চলে। ইদানীং দেশি চ্যানেলগুলোও সেই ধারায় চলা শুরু করেছে। একটি চ্যানেল বছরখানেক আগে এ রকম একটি নাচের প্রতিযোগিতা চালায় এবং সম্প্রচারও করে। স্কুলভিত্তিক প্রতিযোগিতাও হয়। শিক্ষকেরা মেনে নেন, অভিভাবকেরা খুশি হন। বলাবাহুল্য, নাচগুলো শিশুসুলভ ছিল না। প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন নিয়ে প্রশ্ন থাক, শিশুদের ওপর তা চাপিয়ে তাদের মানসিক-দূষণ কেন আমরা সইব? এ উৎপাত প্রথম দেখা যায় মার্কিন মুলুকে। সেখান থেকে আসে ভারতে, এখন বাংলাদেশেও তা রমরমা। গল্পের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা জাদুর বাঁশি বাজিয়ে শিশুদের চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল, আর আজ শিশুদের শৈশবিক কোমলতা চুরি হচ্ছে বড়দের বেহুঁশ বিনোদনের খায়েশে। আজকের হ্যামিলনের বাঁশি বাজাচ্ছে জাদুর বাক্স টেলিভিশন। বোকা বাক্সটি এখন আর বোকা নেই।
বড়রাও এসব অনুষ্ঠানের দর্শক। শিশুদের মতো তাঁদেরও কি ক্ষতি করা হচ্ছে না? এ আনন্দ কতটা নির্মল, কতটা নিরীহ? সিনেমার প্রেমঘন দৃশ্যে যে গান বা নাচ সাবালক দর্শককে অবলোকনসুখ দেয়, সেই গান বা নাচ শিশুর কণ্ঠ ও দেহ ব্যবহার করে পাওয়া বা দেওয়া অন্যায়। একটি শিশুকে যৌনাবেদনময় পোশাকে ও সাজসজ্জায় পরিবেশন করলে, তা মূল সিনেমাটির নায়ক-নায়িকার দৈহিক আকর্ষণ ও নৃত্য-কথা-সুরের বিশেষ উপভোগের কথাই দর্শককে মনে করিয়ে দেয়। এসব দেখে কারও যদি দর্শকামের তৃষ্ণা নিবারণ হয়, তা ঠেকানোর উপায় কী?
এভাবে শিশুদের একাধারে ‘খুদে প্রাপ্তবয়স্ক’ বানানো হয়, অন্যদিকে তারা হয় বড়দের ‘আনন্দের পুতুল’। অমিতাভ বচ্চনের পা ছবিতে ছোট্ট একটি শিশুর প্রোজোরিয়া নামের দুরারোগ্য রোগে বুড়িয়ে যাওয়া? বেদনা ও জটিলতায় দর্শক কাঁদে। আর এসব বিনোদনের ছলে ছোট মনে বড়র ভাব সংক্রমণের রোগটিকে কী বলব? বললে ‘সেক্সুয়ালাইজেশন অব চাইল্ডহুড’ বা ‘শৈশবের যৌনকরণ’ই বলতে হয়। সংস্কৃতির ক্ষতি এক প্রজন্মে শেষ হয় না। বহু প্রজন্মে তা চলে।
সম্প্রতি ইভ টিজিংয়ের চরম বাড়াবাড়িও আমরা দেখছি। যে যুবক বা বয়স্করা শিশুদের যৌন নিপীড়ন ও ইভ টিজিং করে, তারা শিশুদের মধ্যে শৈশবিক পবিত্রতা দেখে না, দেখে আনন্দের খোরাক। যে দেশের অধিকাংশ শিশুকেই বড় হওয়ার পথে বয়স্কদের যৌন নিপীড়নের শিকার হতে হয়, সে দেশে এসব অনুষ্ঠানকে প্ররোচনা বললে বেশি বলা হয় না।
ভারতে এর প্রতিবাদ হচ্ছে। সেখানকার মানবাধিকার কমিশন ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের এ ধরনের প্রতিযোগিতায় না টানতে বলেছে। অস্ট্রেলীয় সরকার তাদের দেশে গণমাধ্যমে শিশুদের যৌনসামগ্রী করে তোলার বিরুদ্ধে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তাতে বলা হয়, শিশুদের এমনভাবে দেখানো উচিত নয়, যাতে অন্য শিশুরা ভুল বোঝে বা এ ধরনের যৌনাত্মক আচরণকেই স্বাভাবিক ভাবতে শেখে। বয়স হওয়ার আগেই তাদের বোঝানো হয় কোনটা আকর্ষণীয়, কোনটা সেক্সি, নারী কী, পুরুষ কী, রোমান্টিকতা কী, প্রেম কী, দেহের আকর্ষণ কী। তারা ভাবে, এসবের গুণেই বুঝি জীবনে সুখ ও সফলতা আসবে। মনে রাখা দরকার, মানুষের ব্যক্তিত্ব, রুচি শৈশবেই গড়ে ওঠে। বাকি জীবনে তার ছাপ পড়ে। আজকের সামান্য বিনোদন ভবিষ্যতের মানুষকে এমনভাবে বদলে দিতে পারে যা কাঙ্ক্ষিত নয়।
অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসব অনুষ্ঠান দেখার প্রভাবে অনেক শিশুর মধ্যে অল্প বয়সে যৌনতার বোধ জন্ম নেয়। এসব শিশু সহজেই বিচ্যুত হয়, তাদের জীবন আর সহজ থাকে না। মা-বাবাদের এসব ভাবা উচিত। অর্থ, খ্যাতি, সম্মান শিশুর প্রয়োজন নয়, তা বড়দের প্রয়োজন। শিশুদের দরকার নির্মল আনন্দ, খেলাপ্রিয়তা ও জানার-মেশার উচ্ছ্বাস। তাদের বড় করে দিলে চলবে না, বড় হতে দিতে হবে।
অনুষ্ঠান নির্মাতারা চান, প্রতিযোগিতার উত্তেজনা ও আনন্দ-বেদনার শামিল টিভির সামনে বসা শিশু ও তাদের অভিভাবকেরাও হোন। বিচারকেরা এমনভাবে শিশুদের অতি প্রশংসা বা চরম নিন্দা করেন, যাতে ছেলেমেয়েদের আবেগের চরম প্রকাশ ঘটে এবং দর্শক তা দেখতে পায়। এটাই নাকি নির্মাতাদের সাফল্য ও জনপ্রিয়তার শর্ত। কিন্তু এ রকম মানসিক চাপে অনেকের মন ভেঙে যায়। কোটি কোটি মানুষের দৃষ্টির সামনে বয়স্করাই ভিরমি খান। সেখানে শিশুদের এমন হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা আর স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করা বিচারের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বিপর্যয়কর। পশ্চিমবঙ্গের একটি চ্যানেলে ১৬ বছর বয়সী শিঞ্জিনী সেনগুপ্তকে বিচারকেরা কঠোর সমালোচনা করেন। কোটি দর্শকের চোখের সামনে শিঞ্জিনী অপমান গিলে প্রাণপণে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পারে না। তার হাসিখুশি মুখ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বেদনায় কুঁচকে যায়, চোখ দিয়ে অঝোরে ঝরতে থাকে অশ্রু। বাড়ি ফেরার পর তার রহস্যজনক পক্ষাঘাত হয়, কথা বলা ও নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। মা-বাবাকে চিনতেও ব্যর্থ হয়। অনেক চিকিৎসার পরও শিঞ্জিনীর মধ্যে ভয়ের লক্ষণ কাটেনি। একই রকম পরিস্থিতিতে মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে এক কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ রকম ঘটনা অজস্র। আলোর নিচের এই অন্ধকার আর নিষ্ঠুরতার কথা দর্শকেরা জানে না। তাঁরা শুধু আনন্দ পেতে চান এবং ভুলিয়েভালিয়ে তাঁদের সেটাই দেওয়া হয়। জাদুর বাক্স এভাবে বড়দের বানিয়ে ফেলে আনন্দপিপাসু অবোধ শিশু।
এভাবে চলতে পারে না। দেশিই হোক আর বিদেশিই হোক, আমাদের শিশুদের এসবের আছর থেকে বাঁচাতে হবে। সরকার, অভিভাবক সমাজ, শিশু মনস্তত্ত্ববিদসহ সবারই সরব হওয়া দরকার। শিশুদের নৈতিক, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার স্বার্থে মুদ্রণমাধ্যম ও দৃশ্যমাধ্যমে প্রচারিত যেকোনো বিজ্ঞাপন বা অনুষ্ঠানে শিশুদের উপস্থাপন বিষয়ে কার্যকর নীতিমালা থাকতে হবে। সরকার শিশুনীতি নিয়ে কাজ করছে। গণমাধ্যম নিয়েও নীতিমালা হচ্ছে। রাজনীতিতে শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কথা নেই। আমরা অবিলম্বে এ বিষয়ে স্পষ্ট বিধিমালা চাই। তার তদারকি ও নজরদারির জন্য আলাদা সেলও করে দিতে হবে। শিশুবিশেষজ্ঞ, শিক্ষক মহল, মনস্তত্ত্ববিদ ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে দায়িত্ব আছে। শিশুদের বিকাশ কোনোভাবেই নিশ্চিত হবে না, যদি না বড়দের সমাজ ঠিক হয়। শিশু-কিশোরদের নৈতিক, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার স্বার্থে গণমাধ্যম ও বিজ্ঞাপনে শিশুদের বাণিজ্যিক ব্যবহার এবং যৌনানুভূতি জাগানো উপস্থাপন বন্ধ করা সংস্কৃতির স্বার্থেও দরকার। রিমোট কন্ট্রোলার হাতে করে চ্যানেল পাল্টানোর স্বাধীনতায় ভুললে চলবে না। কারণ, টিভির রিমোট আপনার হাতে হলেও সংস্কৃতির রিমোট কন্ট্রোলার অন্যদের হাতে। তাতে শুধু নৈতিকতার লখিন্দরই ভেসে যাবে না, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের বেহুলাও তার সঙ্গী হবে।
ইতিহাসে স্বর্ণযুগ চিহ্নিত থাকে, কিন্তু আইয়ামে জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগের সূচনায় কোনো ঘণ্টা বাজে না। নীরবেই তা শুরু হয়ে যায়। এক চীনা জল্লাদের সাধনা ছিল, এমনভাবে মানুষের কল্লা কাটা, যাতে তারা টেরও না পায়। বছরের পর বছর তিনি সূক্ষ্মভাবে মানুষের মাথা কাটার সাধনা চালিয়ে গেলেন এবং একদিন এত নিখুঁতভাবে একজনের মাথা কাটলেন যে হতভাগা লোকটি কিছু টের না পেয়ে প্রশ্ন করে, ‘কই, আপনি তো কিছু করছেন না।’ জল্লাদ মহাশয় সাধুপুরুষের মতো হেসে বললেন, ‘জনাব, মাথাটা একটু ঝাঁকান, টের পাবেন।’ ঝাঁকুনি না খেলে আমরাও বুঝব না, আমাদেরও মাথা বিনোদনের রেশমি সুতোয় কত সুকৌশলে কাটা পড়ছে।

আমার এই লেখাটি ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় এটি পড়লে ওনেকের ই উপকার হবে। তাই এটি শেয়ার করলাম।
Link: Click This Link
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×