somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেদিন আমি প্রথম চাইনিজ খেয়েছিলাম :P

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুইহাতে দুইটা চামচ নিয়ে ক্যাবলার মত বসে আছি। সামনে প্লেটে রাইস, মুরগী রাখা। এটা নাকি চাইনিজ আইটেম। খুবই লোভনীয় বস্তু। আমার তো চেহারা দেখেই জিবে জল চলে আসছে।

কিন্তু ঝামেলাটা পাকিয়েছে ব্যাটা ওয়েটার। খাবার দেয়ার সাথে সাথে দুইটা চামচ ও দিয়ে গেছে। সামনে বসা রাশেদ চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিয়েছে এদুটো দিয়েই খেতে হবে। আমি খানিকক্ষণ চেষ্টা করে মোটামুটি হাল ছেড়ে দিয়েছি। মনমত একটা পিস ও ছিঁড়তে পারি নি। হয় মুরগি পিঁছলে যাচ্ছে না হয় একটুখানি মাংস নিয়েই চামচ বের হয়ে আসছে। কি লজ্জার ব্যাপার। আশেপাশের টেবিলে স্মার্ট সব ছেলেমেয়েরা বসে আছে আমার কান্ড দেখে নিশ্চয়ই হাঁসছে তারা। মনে মনে সংকুচিত হয়ে গেলাম। আফসোস হল কেন যে পার্সেল নিয়ে নিলাম না! তাহলেই তো এখন মেসে গিয়ে ইচ্ছেমত খেতে পারতাম।

কয়েক মাস হল ফরিদগঞ্জ শহরে এ নতুন ধাঁচের রেস্টুরেন্টটা হয়েছে। এরা নতুন নতুন অনেক আইটেমই বানাচ্ছে। তবে এই চাইনিজ আইটেমই সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয়। বন্ধুদের থেকে শুনে শুনে অনেকদিন ধরেই খাবারটার প্রতি লোভ জন্মে গিয়েছিল।

তাই আজ রাশেদ যখন বলল "চল চাইনিজ মেরে আসি" আর না করতে পারলাম না। যদিও আমি এধরণের আধুনিক জায়গা এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করি। যতটা না খরচের কথা চিন্তা করে তারচেয়ে বেশি এক ধরনের হীনমন্যতা বোধ থেকে।

এই যে যেমন এখন আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ওয়েটার থেকে শুরু করে পুরো হোটেল এর সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই বুঝে গেছে যে আমি জীবনে এই প্রথম চাইনিজ খাচ্ছি। কাঁটাচামচ দিয়ে আমি খেতে পারিনা। আমার আনাড়িপনা দেখে হয়ত সবাই মুখ টিপে হাঁসছে। এসব ভেবে ভীষণ রকমের বিব্রত বোধ করছি। মনে হচ্ছে যেন এখান থেকে বের হতে পারলেই বাঁচি।


এসময় বন্ধু রাশেদ একটা বিপ্লবী কাজ করে ফেলল। এতক্ষণ আমার ভাব দেখে সে নিশ্চয়ই ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিল। আমাকে সহজ করানোর জন্য সে তার কাঁটাচামচ দুইটা পাশের প্লেটে রেখে হাঁসি হাঁসিমুখে হাত দিয়ে মুরগী থেকে মাংস ছিঁড়ে খেতে লাগল। মুখে বলল "ধুর্বাল এসব দিয়ে খাওয়া যায়! হাত চালা"।


এটা অনেকদিন আগের কাহিনী। এবং সেদিন আমরা মুরগীর একটা হাঁড়ও আস্ত রেখে আসিনি। :D এখনো আর এখনো চাইনিজ খেতে গেলে আমি শার্টের হাতা গুটিয়ে শুরু করে দেই। চামচ টিস্যু দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায়ই থাকে :D
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×