somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধুত্বের সাত রঙ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মানুষ যখন তার আশানুরূপ ব্যবহার অন্য প্রান্ত থেকে পেতে ব্যর্থ হয় তখনই সে বিষণœ হয়ে ওঠে। বিষণœতা একটি মানসিক ব্যাধি। বিষণœতার প্রভাব দৈনন্দিন কর্মকা-ের সকল কাজকে প্রভাবিত করে। বিষণœতা বা ডিপ্রেশন তরুণদের মাঝে বেশি লক্ষ্যণীয়। তারুণ্যের বিষণœতা পড়াশোনায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সকল কর্মকা-ে নিয়ে আসে অনীহা ও অমনযোগিতা। নির্মল বন্ধুত্ব, আড্ডা ও শেয়ারিংই পারে বিষণœতা নামক ব্যাধিকে দূরে ঠেলে রাখতে। কোন কাজ করতে গেলে ব্যর্থ হলেই রাজ্যের হতাশা নেমে আসে। আর এই হতাশাই একদিন কাল হয়ে দাঁড়ায়। তাই তরুণদের উচিত কোন কাজ শুরুর আগে ও পরে বন্ধুদের সহযোগিতা নেয়া। কারণ আপনি যে ক্ষেত্রে পারদর্শী নন অন্য আরেকজন এ বিষয়টিতে দক্ষ থাকতে পারে। অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কঠিন কাজকে সহজ করে দেয়। মনের অজান্তেই নিয়ে আসে সাফল্য। প্রথমে আপনার উচিত হবে ব্যর্থতার অনুসঙ্গগুলো খুঁজে বে করা। তারপর সেই অুনসঙ্গগুলো ফুটিয়ে উঠতে অভিজ্ঞ ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সহযোগিতা নিন। কোন ব্যাপার মনের মধ্যে পুষে রাখা উচিত হবে না। বন্ধুত্বের মধ্যে শেয়ারিং ভাবট্ াথাকলে বিষণœতা জানালা দিয়ে পালাবে।
দুই
সামনে বিশাল ভ্যাকেশান। মন চাচ্ছে নীল পানির সান্নিধ্যে যেতে। একা একা ট্যুর প্লান করা। প্রস্তুতি নেয়া। যাত্রা করা। ঘোরাঘুরি করা। ফিরে আসা। পুরো ব্যাপারটিই আনন্দহীন। ভ্রমণ মানেই আনন্দময় অভিজ্ঞতার হাতছানি। সেখানে যদি আনন্দই না থাকে তাহলে ভ্রমণের উদ্দেশ্যতাই ব্যর্থ। বন্ধুত্বের সার্কেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান নিগঢ়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। সব বন্ধুরা মিলে ঠিক করুন কোথায় ঘুরতে যাবেন। কখন যাবেন। কোথায় উঠবেন। কি খাবেন। কোন কোন স্যুটে ঘুরবে। সার্কেল থেকে একজন পূর্ব অভিজ্ঞ বা চৌকস বন্ধুকে গ্রুপ লিডার হেসেবে ঠিক করুন। বিভিন্ন কাজ একেক জনকে ভাগ করে দিন। তাহলে সবহাই ট্যুরে কন্ট্রিবিউট করতে পারবে। বন্ধুত্বের সার্কেল নলি পানির জলরাশি বঙ্গোপসাগর বা বাঘের দেশ সুন্দরবনের ভ্রমণকে করবে শিক্ষণীয় ও আনন্দময়।
তিন
গ্রুপ ডিসকাশন। বন্ধুরা মিলে গড়ে তুলুন একটি ড্রিম টিম। স্বপ্নের টিমের সদস্যরা। প্রতিটি আলোচনাকে শিক্ষণীয় করে তুলতে পারেন। বন্ধুরা যদি সমশ্রেণীর না হোক তাহলে আড্ডার বিষয়গুলো হতে পারে সাধারণ জ্ঞানের টপিকস বেসিস। যেমন পুরো একটি আলোচনার বিষয় হতে পারে সার্ক। সার্ক কিভাবে গঠিত হল, কার্যবিধি লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সদর দপ্তর, সদসত্য সংখ্যা, ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ইত্যাদি। টিমের প্রত্যেক সদতস্য এক একটি টপিকস নিয়ে আলোচনা করবে। এতে করে খুব সহজেই সকলে জানার পরিধি বৃদ্ধি করতে পারবেন। অন্যদিকে সহপাঠীদের আলোচনা হবে লেসন, অ্যাসাইমেন্ট ও এক্রাম ভিত্তিক। কাসের জটিল পড়া ও গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে সকলের কাছে হয়ে ওঠবে বোধগম্য। পরীক্ষার প্রস্তুতি ও অ্যাসাইনমেন্ট করার ক্ষেত্রে গ্রুপ ডিসকাশন সাফল্যের পথ ধরে হাটতে শিখাবে।
চার
মানুষের জীবনটা পজেটিভ ও নেগেটিভ থিংকিংয়ের সমষ্টি। এতিবাচক চিন্তা ও গুণগুলিই জীবনে এনে দেয় বিরাট সাফল্য। প্রথমে নিজের ইতিবাচক গুণ ও চিন্তাগুলো নিয়ে ভাবুন। আনপার অন্য বন্ধুদের মধ্যে যে গুণগুলো আপনার ভালো লাগে সেগুলোর চর্চঅ শুরু করেন। নিজের নেতিবাচক চিন্তা ও গুণগুলো পরিহার করুন। তাহলে দেখবেন নিজের মধ্যে বিশাল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এতিদিন সাফল্য অধরা থাকলে এখন এমনটি হবে না। সাফল্য ছোট হলেও সমস্যা নেই। ছোট ছোট সাফল্যের হাত ধরাধরি করেই একদিন বিরাট সাফল্য এসে ধরা দেবে।
পাঁচ
শেয়ারিং বা আদান-প্রদান শেয়ারিং ব্যাপারটা আপনাকে রাখবে ফুরফুরে ও হালকা মেজাজ। আপনার ব্যাপারগুলি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন অবলীলায়। তাতে করে আপনি তার কাছ থেকে সহযোগিাত পেতে পারেন। বর্তমানে মনের একান্ত ভাবনাগুলো শেয়ারিং করার জন্য এসেছে মোবাইল, ফেইসবুক, টুইটার, ইয়াহু মেসেঞজআরের মত সামাজিক যোগাযোগ সাইট। এই সকল সাইটের মাধ্যমে আপনার তোলা ছবি ভিডিও মনের আনাচে কানাচে উড়তে থাকা রংগুলো শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের মাঝে। অন্যদিকে আপনিও তাদের মতামতগুলির অংশদার হতে পারেন।
ছয়
বন্ধুত্ব একটি বন্ধন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যকার বন্ধন সুদৃঢ় করতে রাখী উৎসবের প্রচলন করেছিলেন। বিভিন্ন কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে বন্ধনগুলো সুদৃঢ় হয়। শক্তিশালী সামাজিক ও বন্ধুত্বের বন্ধনই পারে মাদক নামক মরণছোবল থেকে দূরে রাখতে। বন্ধুত্বের বন্ধন বিপতে থাকা একজনকে নিয়ে আসতে পারে স্বাভাবিক জীবনধারায়। বন্ধুত্ব নিজেদের মধ্যকার বন্ধনগুলো শক্তিশালী করে।
সাত
বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন আর্তমানবতার সেবায়। বন্ধুরা মিলে উদ্যোগ নিতে পারেন সমাজ সচেতনতা, অক্ষরহীনকে শিক্ষিত করার, গরীব মানষদেরকে পুনর্বাসিত করার। শিক্ষিত মানুষের দায়িত্ব নিরক্ষরকে অক্ষরদান করা। এই কাজটি শুরু করতে হয় নিজগৃহ থেকে তারপর সমাজে আন্দোলনরূপে ছড়িয়ে দিতে হয। বন্ধুত্বের প্লাটফর্ম থেকে গড়ে ওঠতে পারে নৈশ স্কুল বা শ্রমজীবী শিশুদের জন্য পাঠশালা। অথবা একই প্লাটর্ম থেকে সমাজের বাসিন্দারা পেয়ে পারেন পরিবেশ দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ছাদে বাগান করা, যৌতুক প্রথার ইভটিজিং প্রতিরোধের উপর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা।

৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×