এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শেষ্ঠ সময়/ এই সাড়া জাগানো লাইন দুটি কবিতার রাজকুমার ,কবিতার উজ্জ্বল নক্ষত্র, জীবন্ত কিংবদন্তি, নিভৃতচারী কবি হেলাল হাফিজের বিখ্যাত কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’এর প্রথমাংশ।
কবিতাটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে যাবার সরাসরি আহ্বানের প্রথম কবিতা। কবিতাটি পড়েই মুক্তিযোদ্ধাদের দেহে শিহরণ জেগে উঠতো, রক্ত টগবগ করতো এবং হৃদয় আন্দোলিত হয়ে শরীরে একটা অলৌকিক শক্তি এসে যেতো এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তো হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে।এটাই কবিতার ধর্ম।অল্প কথায় ছন্দের যাদু দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত কারায় কবিতার কাজ।
উপরের প্রথম লাইন দুটি যদি একজন মুক্তিযোদ্ধার দেহে শিহরণ জাগাতে পারে , রক্তে ঢেউ তুলতে পারে এবং হৃদয় আন্দোলিত করতে পারে, শরীরে একটা অলৌকিক শক্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে তাহলে ‘ নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’কবিতার শেষাংশের এই লাইন গুলো -- । কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয়/ ।যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান/তাই হয়ে যান/উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় । -- পড়ে প্রভাবিত হয়ে একজন ব্যর্থ প্রেমিক তার প্রেমিকাকে খুন করতে পারবেনা? এই কথা গুলো কি একজন শিক্ষিত ব্যর্থ প্রেমিককে খুন করতে উৎসাহিত করেনা? জানি কবিতাটি যুদ্ধে যাবার আহ্বানে লেখা কিন্তু সবাই তো কবিতা বুঝেনা । বদরুল কবিতার এই লাইন গুলো পড়ে খাদিজার উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল কিনা জানিনা ।কিন্ত কোন না কোন ব্যর্থ প্রেমিক কবিতার এই লাইন গুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রেমিকাকে খুন করবে এটা নিশ্চিত ।কারণ কবিতা পাঠকের মনে শিহরণ জাগায়, রক্তে ঢেউ তুলে, হৃদয় আন্দোলিত করে।কবি হেলাল হাফিজ তরুনদের প্রিয় কবি। তাঁর কবিতার লাইন ছাড়া প্রেমের গভীরতা আসেনা ।তাই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’কবিতার শেষাংশের লাইন গুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০