সভ্য দেশগুলোতে বেতন ও সামাজিক দিক দিয়ে শিক্ষককে সবার উপরে রাখা হয়। একটি দেশে যত খাতেই বিনিয়োগ হোক না কেন, সবচেয়ে বেশি লাভ আসে শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে পারলে। শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে একটি লাভজনক বিনিয়োগ এতে অ-লাভের কিছুই নাই।কিন্তু দুঃখের বিষয় নতুন বেতন স্কেলের পরও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা এখনো বেতন বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য সকল শিক্ষকরা হাড়ে মজ্জায় টের পাচ্ছেন।সময়ের বিবর্তনে একবিংশ শতাব্দীর এ অত্যাধুনিক যুগেও মনে হয় কবিতায় বর্ণিত চিরায়ত মাস্টারের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। নতুন বেতন স্কেলের পরও মনে হয় শিক্ষকরা যেন আধুনিক যুগের এক অন্য ‘তালেব মাস্টার’ বৈ আর কেউ নই। তাঁদের তো এমনিতেই নোন আনতে পান্তা পুরায়, যায় যায় অবস্থা।এরপরও যদি সরকারি কর্তামিরা থেকে শুরু করে দেশের জ্ঞানী-গুণী অনেকে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে রীতি নীতির কথা বলেন তখন তাঁদের উদ্দেশ্য করে বলতে মন চাই -শিক্ষকগণ কি তাহলে জীবন বাঁচাতে ছেলে-মেয়ের পড়ার খরচ যোগাতে রাতের অন্ধকারে চুরি ডাকাতি করবেন? শিক্ষকরা তো বড় কোন কর্তা নয় যে ফাইল আটকে অতিরিক্ত টাকা আয় করবেন—তাঁদের পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত ছাত্র পড়িয়ে আয় করছেন। এতে শিক্ষকদের নিজ পেশায় দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। খোঁজ খবর নেয়া যেতে পারে কোন শিক্ষক স্কুলে নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন কি না।ব্যক্তিগত প্রাইভেট পড়ানো নয়, নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কোচিং বাণিজ্যকে।
মনসুর আলী
অরুয়াইল বাজার
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩