somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের অর্থনীতির বিবর্তন সত্যি বিস্ময়কর। পাকিস্তান আমলের শোষণ, বঞ্চনা, আঞ্চলিক বৈষম্য ও স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে একাত্তরের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নিল, তা শুরুতে ছিল মূলত কৃষিনির্ভর। শিল্পের অংশ ছিল সামান্য। পাকিস্তানি মালিকদের ফেলে যাওয়া ওই শিল্পের জাতীয়করণ ছাড়া কোনো বিকল্পও ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্যের আকাঙ্ক্ষাও ছিল প্রবল। উদ্যোক্তা শ্রেণি ছিল না বললেই চলে। বিদেশি অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করতেন, বিপুল জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের চাপে সদ্য স্বাধীন দেশটি উঠে দাঁড়াতেই পারবে না। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, দুর্ভিক্ষ হবে দেশটির নিত্যসঙ্গী। বিদেশি সাহায্য দিয়েও ‘তলাবিহীন’ এই ঝুড়িকে শেষ রক্ষা করা যাবে না। কিন্তু ওই পর্যবেক্ষকরা ভুলে গিয়েছিলেন লড়াকু বাঙালির অফুরন্ত প্রাণশক্তি, আকাশসম স্বপ্ন ও নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই বদলে ফেলার সুদৃঢ় সংকল্পের কথা। আর এসব অন্তর্নিহিত শক্তির জোরে দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত, অবহেলা, অপমান পায়ে দলে এক নয়া বাংলাদেশ দ্রুতই এগিয়ে চলেছে সম্মুখপানে। নিজের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে সাহস বাংলাদেশ দেখিয়েছে, সেটিই তার বড় প্রমাণ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন দ্রুত প্রসারমাণ। কৃষির আধুনিকায়ন, রপ্তানিমুখী শিল্পের অভাবনীয় বিকাশ, সেবা খাতের অকল্পনীয় রূপান্তর সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন নয়া ধাঁচের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’। এই মডেলের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—উঁচু অথচ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিজের ঐতিহ্যের প্রতি অনুগত এবং একই সঙ্গে নয়া প্রযুক্তি গ্রহণে উদগ্রীব এবং স্ব-উন্নয়নে বিশ্বাসী হয়েও বাংলাদেশ বিদেশি অংশীজনদের বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদানে দ্বিধান্বিত নয়। ফলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক যে পরিবর্তন ঘটছে, তাতে সব শ্রেণির অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় অবকাঠামো খাতে সরকারের খরচ যেমন বেড়েছে তেমনি আবার রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের জন্য জ্বালানি, বন্দর, যাতায়াত খাতেও বিনিয়োগে পিছপা হয়নি। আর সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ক্ষুধা ও অনটন কমিয়ে আর্থসামাজিক স্বস্তি নিশ্চিত করার মতো উদ্যোগেও সরকারি নীতি-কৌশল ছিল বেশ তত্পর। আর সে কারণেই আমরা বাংলাদেশে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন সূচকগুলোর ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করেছি। আইএমএফের সর্বশেষ ‘অর্থনৈতিক আউটলুক’ বলছে, এ বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৭.১ শতাংশ। অন্যদিকে ‘ইপফ্রি’র ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে। বিশ্ব ইকোনমিক ফোরাম জানিয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজায়ন সূচকে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়েছে। একের পর এক যেসব এগিয়ে যাওয়ার সুবার্তা আমরা পাচ্ছি, তা এমনি এমনি ঘটেনি। সরকার ও উদ্যোক্তা শ্রেণির অক্লান্ত যৌথ পরিশ্রমের ফসল এসব অর্জন।
২০০৮-০৯ সালে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৩৫ শতাংশ। সময়টা ছিল বিশ্ব আর্থিক মন্দার। তা সত্ত্বেও ২০১০-১১ সালে তা দাঁড়ায় ৬.৪৬ শতাংশে। এরপর তা বাড়তে বাড়তে ২০১৫-১৭ সালে দাঁড়ায় ৭.১১ শতাংশে। আর চলতি বছরের কথা তো আইএমএফের বরাত দিয়ে আগেই বলেছি। সাধারণত আইএমএফ একটু রক্ষণশীল হিসাবই দিয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশজ উৎসও বলছে, এ বছর এই হার ৭ শতাংশের ওপরেই থাকবে। অবশ্য এ বছর পর পর কয়েকবার বন্যা হয়ে গেল। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাপে প্রচুর সরকারি সম্পদ খরচ করতে হচ্ছে। চালের দামও চড়া। তবুও আমাদের বিশ্বাস, প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকবে। আমরা যদি মাথাপিছু আয়ের হিসাব দেখি, তাহলে বুঝতে পারব প্রতিবছরই তা বাড়ছে। ২০০৮-০৯ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৭৫৯ মার্কিন ডলার। সেই হার ২০১৬-১৭ সালে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে এক হাজার ৬০২ ডলারের উন্নীত হয়েছে। এর ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব ভোক্তা-বাজারের ওপর পড়েছে।
আর মাথাপিছু প্রবৃদ্ধির প্রভাবে আমাদের দারিদ্র্যের হারও নিরন্তর কমছে। ২০০৭ সালে আমাদের সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল ৩৬.৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.২ শতাংশে। ২০০৭ সালে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২২.৬ শতাংশ। সেই হার ২০১৬ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১২.১ শতাংশে। আগামী এক দশকে আমরা অতিদারিদ্র্যের হার কার্যত ‘শূন্যে’র কাছে নিয়ে যাব বলে আশা করছি। এসবের প্রভাব ক্ষুধা সূচকে যেমন পড়েছে তেমনি জীবনের গড় আয়ুতেও পড়েছে। বাহাত্তরে আমাদের গড় আয়ু ছিল ৫০ বছরেরও কম। আর ২০১৬ সালে তা ৭২.২ বছর অতিক্রম করেছে। পাশের বড় দেশের গড় আয়ুর চেয়ে তা চার বছর বেশি। আর পাকিস্তানের চেয়ে ছয় বছরেরও বেশি।
আর্থসামাজিক সূচকগুলোর এই সাফল্যের ভিত্তি তৈরি হয়েছে দ্রুত বেড়ে চলা আমাদের বিনিয়োগ ও ভোগের হারের কারণে। শুরুতেই বিনিয়োগের কথা বলি। গত এক দশকেই আমাদের মোট বিনিয়োগ চার গুণ বেড়েছে। ২০০৭-০৮ সালে আমাদের মোট বিনিয়োগ (বেশির ভাগই ব্যক্তি খাতের) ছিল দেড় লাখ কোটি টাকার মতো। সে অঙ্ক ২০১৬-১৭ সালে সাড়ে পাঁচ লাখ কোটিরও বেশি ছিল। আর এই অঙ্ক দিন দিনই বাড়ছে। বিনিয়োগের পাশাপাশি গত এক দশকে মোট ভোগের পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে।
আমাদের ভোগ-বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সমাজের পিরামিডের নিচের দিকের মানুষগুলোর আয়-রোজগার বেড়েছে বলে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসম্পর্কিত পণ্য ও সেবার ভোগ বেড়ে চলেছে। তবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে মধ্য ও ধনিক জনগোষ্ঠীর ভোগপ্রবণতা বেশি তাত্পর্যপূর্ণ। বস্টন কনসালটেন্সি গ্রুপের মতো এই জনগোষ্ঠীর আকার বর্তমানে ততটা বড় না হলেও তা খুবই বাড়ন্ত।
বর্তমানে তিন লাখ মানুষের শহরের সংখ্যা ১০টি। ২০২৫ সালে এমন শহরের সংখ্যা হবে ৩৩টি। বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারও বেশ দ্রুতই বাড়ছে। ২০১৫ সালে সারা দেশে ৪১ শতাংশ মানুষের ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। আর মধ্যবিত্ত ও ধনীর ক্ষেত্রে তা ছিল ৬৮ শতাংশ। বর্তমানে মনে হয় এ হার আরো বেশি। বর্তমানে চার কোটি ২০ লাখ মানুষের মোবাইল ব্যাংক হিসাব আছে। তা ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রসার দ্রুতই ঘটছে। প্রায় সব মানুষই কোনো না কোনোভাবে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। দেশজুড়েই পোস্ট অফিসগুলো ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস প্রচলন করতে যাচ্ছে। এর ফলে ই-কমার্সের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। তার মানে শুধু টাকা নয়, দেশজুড়েই সচ্ছল ভোক্তার প্রসার ঘটবে।
ওই প্রতিবেদনে দুই হাজার ভোক্তার মতামত সম্পর্কিত এক জরিপের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের ভোক্তাদের বেশির ভাগই জানিয়েছে যে তারা প্রথমে পরিবারের সব সদস্যের ভোগের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়। তাদের ৬০ শতাংশই মনে করে যে আগামী এক বছরে তাদের আয়-রোজগার বাড়বে। আর সচ্ছল মধ্যবিত্তের ৭১ শতাংশই মনে করে যে তাদের আয় বাড়বে। ভোক্তাদের এই যে আশাবাদ, সেটি বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ ভালো খবর।
ভোক্তার এই আশাবাদ থেকেই বাস্তবে কেনাকাটার ঘটনা ঘটে। তার মানে বাংলাদেশের ভোক্তার বাজার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক সম্ভাবনাময়। তবে বাড়ন্ত এ বাজারকে বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাবাদী করে তুলতে হলে আর্থিক লেনদেন আরো বিকশিত ও সহজ করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পরিমাণ অন্যান্য দেশের চেয়ে কম হলেও ইদানীং অনেকেই এর অভাব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পুষিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিন সাড়ে চার লাখেরও বেশি মোবাইল ট্রানজেকশন হচ্ছে। বড়-ছোট হাজার হাজার দোকান এখন মোবাইল পেমেন্ট গ্রহণ করছে। ঈদ বা অন্য পার্বণের সময় এই লেনদেন বেড়ে যায়। এর ফলে লেনদেন ক্যাশলেস হচ্ছে। মানুষের কেনাকাটা সহজতর হচ্ছে। ফলে ভোক্তা-বাজার প্রসারিত হচ্ছে।
ভোক্তাদের পছন্দ বিচার করলে মনে হয় পরিবারের কাজে লাগে (যেমন রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, আইফোন) পণ্যের প্রসার আগে ঘটবে। বাংলাদেশের গ্রামীণ ভোক্তাদেরও এখন এসব পণ্যের দিক ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি মনে হচ্ছে, প্যাকেটজাত খাবার, ব্যক্তিগত প্রসাধনী, বাড়ির আসবাব, ইলেকট্রনিক গ্যাজেটসহ মধ্যবিত্তের পছন্দের পণ্যের ব্যাপক বাজারের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারী কম্পানিগুলোর (দেশি-বিদেশি) বাংলাদেশের ভোক্তা-বাজারটিকে খুব ভালো করে বুঝতে হবে। এ জন্য বাজার জরিপের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। একই সঙ্গে ভোক্তার আর্থিক লেনদেন সহজীকরণের যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সেগুলো আরো প্রসারিত ও প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। নয়া উদ্ভাবনীমূলক পণ্য সরবরাহ চ্যানেলগুলোর সংখ্যা বাড়াতে হবে। গুণমানের ই-কমার্সের জন্য এটা খুবই জরুরি। শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম নয়, উদীয়মান নয়া ভোক্তাদের আবাসস্থান অন্যান্য শহরেও ভোক্তা-বাজারের প্রসার ও উন্নতি কী করে করা যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার অবশ্যম্ভাবী। থ্রিজি মোবাইলের জায়গায় হাই স্পিড ফোরজি মোবাইল জনপ্রিয় হবে। সচ্ছল তরুণ ভোক্তারা ফোরজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ই-কমার্সের মাধ্যমে এক বিশাল বাজার তৈরি করবে।
তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই সম্ভাব্য বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য এখন থেকেই তৈরি হতে হবে। বাংলাদেশের তরুণ কর্মী জনসংখ্যার আকার বিশাল এবং তা আরো বাড়বে। তাদের কম দামে দেশে তৈরি স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার শিল্প উদ্যোগকে উৎসাহিত করার প্রয়োজন রয়েছে। এই দেশটির এ গ্রুপের গড় বয়স মাত্র ২৪ বছর। আগামী দশকগুলোতে এই গ্রুপের ভোগের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়বে। সবচেয়ে আশার কথা যে বাংলাদেশের আয়তন কম, অথচ ১৬ কোটি মানুষের বাস। তাই গ্রাম-শহর তফাত দিন দিনই ক্ষীণ হবে। শহরের ভোক্তা আর গ্রামের ভোক্তার পছন্দ, আয়-রোজগার, স্বপ্ন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে পুরো দেশটিই এক অখণ্ড ভোক্তা-বাজারে পরিণত হবে। বস্টন কনসালটেন্সি গ্রুপ যথার্থই বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ ও ভোগের বিচারে বাংলাদেশ সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশ। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দ্রুতই আমাদের আরো বিনিয়োগবান্ধব নিয়মনীতি চালু করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও আর্থিকসেবা ও সমর্থন বাড়াতে হবে। বিনিয়োগসম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান বিডা এখন বেশ সক্রিয়। ওপর থেকে তাকে আরো বেশি নীতি-সমর্থন ও উৎসাহ দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের স্বার্থেই বাংলাদেশে আসবে। এখনকার স্থানীয় বাজার বাড়ন্ত। তরুণ ভোক্তাদের সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে। তাদের আয়-রোজগারও বাড়ছে। এই ধারা আরো বেগবান করার জন্য রেগুলেটর ও অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের আরো চোখ-কান খোলা রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তামূলক নীতি উদ্যোগ নিতে হবে।
আজকের নিম্ন-মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ নিশ্চয় একদিন আমাদের স্বপ্নের উন্নত দেশে পরিণত হবে। সে জন্য আমরা সবাই যেন আশাবাদী হই এবং একযোগে কাজ করতে পারি সে ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একান্ত কাম্য। নিশ্চয় আমরা এ স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×