somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কী ফুল পছন্দ তোমার?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-কী ফুল পছন্দ তোমার?
-আমার তো সব ফুলই পছন্দ।
-তারপরও বলো, কোন ফুল সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
-ফুল তো ফুলই। যখন যেই ফুল পাই সেই ফুলই ভালো লাগে।
-তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোনটা? নিশ্চয়ই গোলাপ?
-গোলাপে কাটা আছে।
-গোলাপের কাটা কীসের প্রতীক জানো?
-হ্যাঁ জানি, গোলাপ হলো রক্তের প্রতীক।
-সেটা কীভাবে?
-মানুষ যখন গোলাপ ফুল তুলতে যায় তখন হাতে কাটা বিধে রক্ত বের হয় তাই এটা রক্তের প্রতীক, মানে কষ্টের প্রতীক।
-তাহলে গোলাপ ফুল তোমার অপছন্দের ফুল?
-আমি তো বলিনি কোন ফুল আমার পছন্দের, আর কোন ফুল অপছন্দের ।
- সাবিহা তুমি অনেক চালাক হয়ে গেছ, তাই না?
-বাসার সবাইতো আমাকে বোকা ভাবে, যেমন সাদিয়া আপু আমাকে ভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোকা।
হাটতে হাটতে মবিন একটি ফুলের দোকানের সামনে থামল। এরপর দোকানদারের কাছ থেকে একটা তাজা গোলাপ কিনল। হাতে নিয়েই মবিন কান্ডের সাথের কাটা গুলো ভাংতে লাগল। হঠাৎ করে একটি কাটা মবিনের আঙ্গুলে বিধে গেল। তারপর রক্ত বের হতে লাগল।
এ সময় সাবিহা বলে উঠল, ‘আমি আগেই বলছিলাম না ভাইয়া, গোলাপ রক্তের প্রতীক! এখন বুঝেন তার মজা!
মবিন ব্যথায় উঃ উঃ করতেছে আর সাবিহা হাসতেছে। হাঁসতে হাঁসতে যেন মাটিতে পরে যাচ্ছে। এসময়য় মবিন সাবিহাকে বলল, ‘ফুলটি ধরো, আমি আঙ্গুলটি চাপ দিয়ে ধরে রাখি। একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে’। সাবিহা যখন মবিনের হাত থেকে গোলাপটি নিতে গেল মবিন তখন রক্তাক্ত হাত দিয়েই সাবিহার হাত ধরল এরপর সাবিহাকে নিয়ে হাটতে লাগল। এতে সাবিহার হাতেও রক্ত ভরল। মবিনের আঙ্গুল দিয়ে রক্ত পরা বন্ধ হচ্ছে না। একটু সামনে গিয়েই দেখল একটা মাঠ। মাঠ পেয়েই মবিন বসে পড়ল। সাবিহা দাঁড়িয়ে রইল। মবিন সাবিহার হাত ধরে টেনে বসালো। এরপর মবিন বলল, ‘সাবিহা আজ তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেবো’। সাবিহা হসে হেসে বলল, ‘ও বুঝেছি আজ বুঝি সেই আঁকা ছবিটা দিয়ে দিবেন তাই না? আমি ঐ ছবি কখনও নিতে পারব না। আর শোনেন, আমার এখন বাসায় যেতে হবে, না হলে আম্মু যেই সারপ্রাইজ দিবে কাঁদতে কাঁদতে চোখ ভাসাতে হবে’। এ সময় মবিন নিজ হাতে আঁকা সাবিহার ঐ ছবিটা বের করল। তখনও তার হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। মবিন যখন ছবি বের করছিল তখন সাবিহা তাকিয়ে দেখতেছিল। সাবিহা ছবি দেখে অবাক হয়ে গেল। ছবিটি যেন একবারে তার অবিকল। মবিন ছবিটি টান করে হাতের রক্ত দিয়ে ছবির উপর লিখে ফেলল, “I love you Sabiha”. সাবিহা তখন লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছিল। এরপর মবিন সাবিহার হাত টেনে এনে ঐ রক্ত দিয়েই হাতের উপর লিখে ফেলল, ‘I will die without you’. এ সময় মবিনের চোখ দিয়ে জল পরতেছিল। সাবিহার মন তখন ভারি হয়ে গেল। পরে সাবিহা তার ওড়না দিয়ে মবিনের চোখ মুছে দিতে দিতে বলল...
.
উপন্যাসঃ অপেক্ষা ২
একুশে বইমেলা ২০১৯

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×