৭১ এ জামায়াতের ভূমিকা সম্পর্কে সকলেই অবগত। আর জামায়াতের অনুগত ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিবিরের কর্মকাণ্ড এবং পরিচিতি সকলেরই জানা। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শিবির প্রতিষ্ঠার পর হতে দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিবির তাদের আদর্শ এবং হিতাকাঙ্খি ছাত্র সংগঠন হিসেবে সাধারন ছাত্রদের হৃদেয়র গহীন কন্দের স্থান করে নেয়। আজ দেশের কোটি মানুষের এবং লাখো ছাত্র জনতার মনের মনিকোঠায় ছাত্রশিবিরের স্থান। কিন্তু যারা চায় না শিক্ষার শুষ্ঠু পরিবেশ, যারা চায়না ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্ঞানের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বের হোক রক্তারক্তি এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি ছাড়াই তারা কখনো শিবিরের অগ্রাঅবস্থানকে সহ্য করতে পারেনি। ১৯৮২ সালে তরা রাবি থেকেই তাদের শিবির বিরোধী তৎপরতা জোরদার করে। ৮২র ১১ মার্চ তারা ৪ জন মেধাবী ছাত্র ১. শাব্বির ২. হামিদ ৩. আইয়ুব ৪. জব্বারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর আর পেছনে তাকায়নি ছাত্রলীগের বন্ধুরা। ১৯৮৫ তে ৫. খুরশীদ আলম নামের ১ জন। ১৯৮৬ তে ৬. সেলিম জাহাঙ্গীর নামের ১ জন। ১৯৮৮ তে ৭. নাসিম উদ্দিন ৮. আমিনুল ইসলাম ৯. আব্দুস সালাম আজাদ নামের ৩ জন। ১৯৮৯ সালে ১০. তরিকুল আলম ১১. জসিম উদ্দিন মাহমুদ ১২. আফাজ উদ্দিন চৌধুরী ১৩. শিহাব উদ্দিন ১৪. মীর আনসার উল্লাহ ১৫. খুরশেদ আলম ১৬. জহির উদ্দিম মুহাম্মদ লিটন ১৭. হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহিয়া ১৮. আলী হোসেন এই ৯ জন। ১৯৯১ সালে ১৯. শেখ ফিরোজ মাহমুদ ২০. এ কে এম গোলাম ফারুক এই ২ জন। ১৯৯২ সালে ২১. শেখ আমিনুল ইসলাম বিমান ২২. নজরুল করিম ২৩. সাইফুল ইসলাম এই ৩ জন। ১৯৯৩ সালে ২৪. কুতুব উদ্দিন ২৫. কাজী মোশাররফ হোসাইন ২৬. মুস্তাফিজুর রহমান ২৭. রবিউল ইসলাম ২৮. সাইফুল ইসলাম ২৯. ডা: মিজানুর রহমান মিজান ৩০. মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন এই ৭ জন। ১৯৯৪ সালে ৩১. নূরুল আলম ৩২. জাফর আলম এই ২ জন। ১৯৯৫ সালে ৩৩.মঈনুল ইসলাম এই ১ জন। ১৯৯৬ সালে ৩৪. মু. শাহজাহান ৩৫. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী ৩৬. মু. আমিনুর রহমান এই ৩ জন। ১৯৯৭ সালে ৩৭. মু. আব্দুল মান্নান চৌধুরী ৩৮. হাফেজ আবু নাসের এই ২ জন। ১৯৯৮ সালে ৩৯. রবিউল হোসাইন ৪০. হাসিবুর রহমান মহসিন ৪১. মু. শাহাব উদ্দিন ৪২. মুহসিন কবির ৪৩. মু. আল মামুন নামের ৫ জন। ১৯৯৯ সালে ৪৪. এনামুল হক দুদু ৪৫.যোবায়ের হোসাইন ৪৬. মহিবুল করিম সিদ্দিকী ৪৭. আহমদ জায়েদ ৪৮.কামাল হোসাইন ৪৯. আনসার উল্লাহ ৫০. আলী মোস্তফা ৫১. রহিম উদ্দিন ৫২. মাহমুদুল হাসান ৫৩. আবদুল মুমিন বেলাল এই ১০ জন। ২০০০ সালে ৫৪. সালাহ উদ্দিন ৫৫. খাইরুল ইসলাম ৫৬. জাহাঙ্গীর আলম সবুজ এই ৩ জন। ২০০১ সালে ৫৭. জাহাঙ্গীর আলম ৫৮. রফিকুল ইসলাম ৫৯. ইব্রিহীম চৌধুরী মঞ্জুর ৬০. মু. নিজাম উদ্দিন এই ৪ জন।২০০২ সালে ৬১.বেলাল হোসেন ৬২. মস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক এই ২ জন। ২০০৬ সালে ৬৩. শাফায়েত উল্লাহ ভুইয়া ৬৪. মুজাহিদুল ইসলাম ৬৫. গোলাম কিবরিয়া শিপন ৬৬. রফিকুল ইসলাম ৬৭. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল ৬৮. মু. শাহজাহান আলী ৬৯. সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুম
এবং সর্বশেষ ৭০. নম্বরে আউয়ামী-ছাত্রলীগের হাতে নির্মম ভাবে শাহাদাৎ বরণ করলেন শিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারী শরীফুজ্জামান নোমানী।
ইতিহাস সাক্ষী যেখানেই শিবিরের কর্মীরা নির্যাতিত হয়েছে, শাহাদাৎ বরণ করেছে সেখানেই শিবিবর সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। শিবির যদি পাল্ট আঘাত করতো তবে কারো ক্ষমতা ছিলনা তা প্রতিহত করার।
জামাত-শিবিরের অপরাধ একটাই তারা ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি। ৭১ পরবর্তী ৩৮ বছরে বাংলাদেশের কোন একটি থানায় তাদের নামে খুন, ধর্ষন, চাদাবাজি কিংবা দেশ বিরোধী কোন মামলা করা হয়েছে এবং মামলার রায় জামাত-শিবিরের বিপক্ষে গেছে বলে কোন
প্রমান নাই। অপরদিকে হাসিনা-মেননদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ হিসেব করলে কম্পিউটার ফেল হয়ে যাবে।
নতুন প্রজন্মের বন্ধুদের কাছে আরজি আপনারা বায়াস্ট না হয়ে নিরপেক্ষভাবে শিবিরকে জানার চেষ্ট করুন। দেখবেন আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশের স্বধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং দেশ বিরোধী সকল অপকে দমনে বাংলঅদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




