সেকুল্যার চিন্তা ধারায় কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার ইয়াত্তা আছে কি ?আজ ইরাকে,আফগানস্থানে,কাশ্মিরে,চেচনিয়ায় যে হত্যাযজ্ঞা চলছে-তার একমাত্র কারণ বিশ্বব্যাপী ধর্মবিমুখ হওয়া।ফ্রান্সের "রিজিম অফ টেরর" আরো একটি উদাহরণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সবই ধর্মহীনতার ফল। আমদের পিলখানাতে যে হত্যাযজ্ঞ চলল ধর্মবিমূখীতার ফল। মানুষ যদি জানত-আল্লাহ একজনকে হত্যা করাকে বিশ্বের সমস্ত মানুষকে হত্যা করার শামিল করেছেন তা হলে কেউ মানুষ হত্যা করত না। কোরআনে আরো আছে কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছা করে মানুষ হত্যা করে তবে সে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে। হিটলাম যে ৬০ লাখ ইহুদীকে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা তিনি কি তার ধর্মের অনুসরন করতে মেরেছিলেন? নাকি তিনি খুব ধার্মিক ছিলেন? বরং তার ধর্মহীনতার কারণেই সে এত নৃশংসহয়ে উঠেছিল। একইভাবে সাদ্দামের কুর্দিহত্যাওছিল তার ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে। ইন্দোনেশিয়ার সুহার্তোর হত্যাকান্ড ,আইয়ুবের হত্যাযজ্ঞ সবই ধর্মনিরপেক্ষতার কারনেই হয়েছে। মানুষ যখন মনে করে তার কাজের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবেনা-তখন তার কাছে বিবেকবোধ ,মানবতাবোধ বিলুপ্ত হয়ে যায়। সে তখন চরম সৈরাচারী,স্বার্থবাদী হয়ে যায়। তখন তার কাছ থেকে একজন নিরীহ শিশুও নিরাপদ থাকেনা। গত বছরের জানুয়ারী তে ফিলিস্তিনে অনেক শিশু কে হত্যা করা হয়েছে এই ধর্মহীন রাষ্ট্র্ এর কারণে । হয়তো বিতর্ক তুলবেন-৭১ তো ধর্মীয় দলও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে যা বর্তমানে আজোও প্রমানিত হয়নি-তা হয়ত একটি বিতর্ক আকারেই আজীবন থেকে যাবে। বিশ্বব্যাপী মানবতার যে ধ্বস নেমেছে তার মূলে কারন মানুষ ধর্মবিমূখ হয়ে যখন চরম ভোগবাদী,বস্তুবাদী হয়ে উঠা। ধর্মবিমূখ মানুষগুলো এমনই স্বার্থবাদী হয়ে উঠল তারা অসহায় দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে শুরু করল সুদভিত্তিক শোষনমূলক অর্থনীতি। তাদের প্রধান ক্যাপিটালই হল এই দরিদ্র শ্রেণীর লোকজন। তারা কখনই চাইবে না দারিদ্র্য নির্মূল হোক। তারা আরোএতই নির্মম হল মানবতাবিধংসি অস্ত্র,মদ, বিভিন্ন পন্য উৎপাদন করে বিপনের ব্যবস্থা করল্। এতে বিশ্ব ধ্বংস হোক তাতে যাই আসেনা। পুঁজিবাদী চিন্তার মূল সুত্র প্রফিট যতো সর্বোচ্চ করা যায়। তাদের পণ্যে বিপণনের জন্য ব্যবহার করল তরতাজা তরুণীদের উলঙ্গ করতে লজ্জাবোধ করল না। এর ফলে যুবক-যুবতীদের নেমে আসল আজ অনৈতিকতার ধ্বস। এর অনিবার্য ফল হিসাবে আমরা আজ উপহার হিসাবে পেয়েছি এইডস,গনরিয়া,এসিড থ্রয়িং,নারি নির্যাতন,পারিবারিক ভাঙ্গন। বলুন এসব কিসের অবদান? বিভিন্ন পত্রিকার যখন নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সম্পাদকীয় লিখছে- তখই হয়তো একই দিনে প্রথম পাতায় নারীর এসিডে ঝলসে যাওয়া চিত্র প্রকাশিত হচ্ছে। আর এই মাদক বিরোধী কন্সার্ট চলতে থাকবে আজীবন-কিন্তু বিশ্বমানবতার যে ধ্বস নেমেছে তা আর আমরা বেরিয়ে আসতে পারব না। ধর্মবিমূখীতার কারণেই আজ অসংখ্যা এইডস আক্রান্ত,মাদকতাসক্ত জেনারেশন মৃত্যুর প্রহর গুনছে। যা কোন বোমা,ডব্লিউএমডি অস্ত্র নয়। নিরব ঘাতক অস্ত্র মানবতাকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত অতি আধুনিকতাবাদ, চরম ভোগবাদ, স্বার্থপরতাবাদ এর কারণেই সৃষ্ট যা মূলত ধর্মহীনতা থেকেই এসেছে যার আধুনিক নামকরণ করা হয়েছে "সেকুলারিজম" এবং মানুষকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে এই বলে -"ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।" হাইরে মুসলিম জাতি, কবে বুঝবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




