তাহারা নারী শিক্ষার নাম করিয়া, রমণীয়কূলদের ঘরের বাহির করিয়াছেন, পর্দা নামের ধর্মীয় আচ্ছাদন গুলো কে টানিয়া টানিয়া ছিঁড়িয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়াছেন, আমরা তাহাতে কোনোরূপ প্রতিবাদ করিতে যাই নাই, কেননা তাহাদের মতে রমণীকূলদের আধুনিক হইতে হইবে। তবেই দেশ ও দশ উন্নতির চরম শিখরদেশে আরোহণ করিতে পারিবে। তাহাদের মতে, হিজাব কিংবা এ জাতীয় মৌলবাদীয় নামের নারীদের পরিধেয় কিছু পোশাক নারী স্বাধীনতার অন্তরায়। কিন্তু পশ্চিম হইতে আমদানিকৃত হাল-জামানার আধুনিকতার পরিচিতিতে স্পষ্ট উল্লেখ রহিয়াছে যে, "নারীর শরীর আবৃতকরণ পোশাক হইলো আধুনিকতার সহিত সাংঘর্ষিক"!
অতএব দেশ ও দশের উন্নতির স্বার্থে আমরা উহাতে বিঘ্ন ঘটাইবার যাইব না কিংবা যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা পোষন করিব না।
পরিশেষে আমি শুধু উপমহাদেশের একজন নারী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রপথিকের নাম উচ্চারণ করিয়া বলিবার চাই-
হে মহীয়সী, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত!
তুমি হয়ত এটাই চাহিয়াছিলে যে, স্বামী যখন দূর নক্ষত্রের দূরত্ব পরিমাপ করিবে স্ত্রীও তখন আসিয়া তাহার সহিত বসিয়া তাহা পরোক্ষ করিয়া কিছু ভাবিয়া বলার চেষ্টা করিবে।
কিন্তু হে নারী জাগরণের অগ্রদূত, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত!
দেখিয়া যাও তোমার দেখানো পথে চলিতে চলিতে তোমার সৈনিকেরা আজ পণ্যে পরিণত হইয়াছে!! ইহা হয়ত তোমার জন্য লজ্জা জনক কিছু হইবে কিন্তু তোমার সৈনিকদের জন্য মোটেও লজ্জাকর কিছু হইবে না!
হে মহীয়সী রোকেয়া!
তোমার উচিত ছিলো অর্ধাঙ্গিনীদের স্বাধীনতার সঠিক মাপকাঠি ও তার পরিধি টা টা বলিয়া যাওয়া, তাহা হইলে হয়ত নারীদের আজ পণ্যে পরিণত হইতে হইত না!!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬