বিড়াল মানুষের সবচেয়ে কাছের প্রাণী। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফেলিন ক্যাটাস। বিড়ালের আদি পুরুষ হিসেবে ধরা হয় উত্তর আফিদ্ধকায় পাওয়া যায় আকারে ছোট এক প্রজাতির বন্য বিড়ালকে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, বিড়াল সৃষদ্বির পেছন রয়েছে বেজি জাতীয় প্রাণীর বিবর্তনের ইতিহাস। তবে বিবর্তনের এ ঘটনাটি ঘটতে সময় নিয়েছে প্রায় 35 কোটি বছর।
একদা পৃথিবীতে রাজত্দ্ব করত দুই প্রজাতির বিড়াল। কিন্তু হিমযুগে ওদের একটি প্রজাতি সমঙ্হৃর্ণ লুপ্টস্ন হয়ে যায়। অন্য প্রজাতিটি থেকে উদ্ভব হয় বাঘ, সিংহ, চিতা, লেপার্ড, পুুমা আর জাগুয়ারের। জন্ম হয় কয়েক প্রজাতির বন্য বিড়াল আর গৃহপালিত বিড়ালের।
বিড়াল মানুষের কাছে পুনরায় কদর পেতে শুরু করে মিসরীয়দের কারণে। প্রাচীন মিসরীয়রা বিড়ালকে পবিত্র প্রাণী বলে মনে করত। সে সময় মিসরে মানুষ হত্যা করলে যতটুকু না অপরাধ হতো, তারচেয়েও অধিক অপরাধ হতো বিড়াল হত্যা করলে। আর যদি কোনো বিড়াল মারা যেত তাহলে তাকে প্রাচীন মিসরীয় রাজাদের মতো মমি করে রাখা হতো এবং রাজকীয় সল্ফ্মান দেখানো হতো সে মমিকে। তাদের ধমর্ীয় বিশ্বাস মতে, মৃতু্যর সময় উড়ে যাওয়া আত্দ্মাটি আবার সেই দেহে ফিরে আসে আর তাই মমিকৃত বিড়ালের পাশে ধরে রাখা হতো একটি ইঁদুর। যাতে মমিকৃত বিড়াল পুনরায় তার আত্দ্মা ফিরে পাওয়ার পর সেসব ইঁদুর খেয়ে তার প্রয়োজন মেটাতে পারে। তারপর মিসর থেকে বিড়াল পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পোষা প্রাণী হিসেবে এদের কদরও বাড়াতে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




