পিছিয়ে আছে আমেরিকান টিনএজাররা। বলতে পারবে কোন দিক দিয়ে? উত্তরটা দিয়েই দিচ্ছি। শিক্ষা গ্রহণের সুযোগের দিক দিয়ে। আমেরিকান টিনএজাররা শিক্ষা নামক মৌলিক অধিকারের সুযোগ পাচ্ছে না। এদিক দিয়ে শীর্ষস্ট্থানে আছে এশিয়ান দুটি দেশ কোরিয়া এবং জাপান। ইউনিসেফ কর্তর্ৃক প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ প্রদানের দিক থেকে আমেরিকা 24টি উল্পম্নত দেশের মধ্যে 18তম। ইউনিসেফের জরিপের ধরনটি আলাদা। কত জন শিক্ষাথর্ী শিক্ষা গ্রহণ করেছে এ বিষয়টি তারা গণনা করেনি বরং টিনএজাররা প্রকৃতপক্ষে কী শিখেছে এবং তারা কতটুকু জানে এটাই ছিল মহৃল বিষয়। মহৃলত লেখাপড়ার গুণগত মানের ওপর গবেষণাকর্মটি চালানো হয়। কানাডা, ফিনল্যান্ড এবং কোরিয়ায় একজন টিনএজারের লেখাপড়া সমাপ্টস্ন করার যতটুকু সল্ফ্ভাবনা রয়েছে_ ডেনমার্ক, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি এবং ইউনাইটেড সদ্বেটসের টিনএজারদের ঝরে পড়ার সল্ফ্ভাবনা রয়েছে ততটুকু। গবেষণাকর্মটি পরিচালিত হয় 14-15 বছর বয়সী টিনএজারদের মধ্যে এবং এতে র্যাংকিংয়ের জন্য পাঁচটি বিষয় ঠিক করা হয়। এ র্যাংকিংগুলো নেওয়া হয় প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল এসেসমেন্ট পিআইএসএ থেকে। র্যাংকিংয়ের বিষয়গুলো ছিল পঠন, গণিত এবং বিজ্ঞান সমঙ্র্কিত। টিনএজারদের লেখাপড়ার সুযোগ প্রদানের দিক দিয়ে পেছনের দিকে রয়েছে পর্তুগাল, গ্রিস, ইতালি, সঙ্েন, ডেনমার্ক এবং আমেরিকা। এসব দেশের টিনএজাররা নির্দিষদ্ব শিক্ষা স্টস্নর শেষে দক্ষ হয়ে উঠছে। পিছিয়ে পড়ছে অন্যান্য দেশের টিনএজারদের চেয়ে। এ তো গেল উল্পম্নত দেশের কথা। আমাদের মতো উল্পম্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্ট্থা কি? ওই রিপোর্ট বলছে, আমাদের টিনএজারদের স্ট্কুল-কলেজে ভর্তি হতে পারাটাই বড় বাধা। বেশিরভাগ ভালো স্ট্কুল-কলেজ শহরকেন্দ্রিক। বিশাল সংখ্যক টিনএজার ভর্তির সুযোগই পাচ্ছে না, যারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে তারা সবাই পড়াশোনা শেষ করতে পারছে না, যারাওবা শেষ করতে পারছে তারা সবাই গুণগত মানসমঙ্ল্পম্ন হচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




