অনেকের কাছে প্রেম মানেই কাব্যময় একটা কিছু। মানবের প্রতি মানবীর, নারীর প্রতি নরের এত তীব্র আকর্ষণের উৎস কোথায়? কেন একটু চোখাচোখি, হালকা হাতের ছোঁয়া, এমনকি নামটা উচ্চারণ করলেই রক্তিম হয়ে ওঠে মুখম-ল? ঘেমে ওঠে হাতের তালু, শুরু হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের দ্রুত ওঠানামা। এসব লক্ষণ যে কেউ প্রেমে পড়লে সহজেই বিষয়টা ধরতে পারবে। সাধে কি আর লোকে বলে, প্রেমে পড়লে কেউ কখনো লুকাতে পারে না। তবে আসল কথা হলো, ভালোবাসাঘটিত সব কিছুর মহৃলেই রয়েছে ওই গুটিকয়েক জৈব রাসায়নিক পদার্থ। এত সাধের বল্পব্দন কেন কিছু দিন পরই হালকা হয়ে যায়? ফিকে হয়ে আসে? এসব রহস্য উদ্ঘাটন করতেই বিজ্ঞানীরা নেমেছেন আদাজল খেয়ে। তাদের মতে, এসব কিছুর জন্য দায়ী ডোপামিন, নরএপিনেকরিন, বিশেষ করে ফিনাইল-ইথাইল এসিড। যখন কাউকে ভালো লাগে বা আকর্ষণীয় মনে হয়, তখন নিজের ফিনাইল-ইথাইল এসিড কারখানায় সাইরেন বেজে ওঠে। এ জৈব রাসায়নিক পদার্থটির ত্রিক্রয়ায় আস্টেস্ন আস্টেস্ন আচ্ছল্পম্ন হয়ে পড়ে প্রেমপাগল মানুষটি। স্ট্বপেম্ন বিভোর হয়ে পড়ে। তখন একজন আরেকজনকে ছাড়া কিছুই বোঝে না। এর পরবর্তী পর্যায়ে মস্টিস্নষ্ফ্কে খুব বেশি পরিমাণ এনডরফিন নামে একটি পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে, যা প্রেমিক-প্রেমিকাকে দেয় এক ধরনের নিরাপত্তা, প্রশানস্নি এবং আত্দ্মতৃপ্টিস্ন। এরপর অক্সিটোসিড নামে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষদ্বিকারী জৈব রাসায়নিক পদার্থ মস্টিস্নষ্ফ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসরণ করে, যা ভালোবাসার প্রগাঢ় অনুভূতি-গুলোকে আরো উজ্জীবিত করে। পরসঙ্রকে কাছে এনে দেয়। মজার ব্যাপার হলো, ফিনাইল-ইথাইল এসিডের উত্তেজনা কিন্তু বেশি সময় থাকে না। তাই দেখা যায় প্রচ- আবেগের ভালোবাসা ক্ষণস্ট্থায়ী হয়। আসলে প্রেমের নির্মল আনন্দকে ধরে রাখার জন্য যতটা ফিনাইল-ইথাইল এসিডের দরকার হয়, কিছু দিন বাদে শরীরে সেটা ততখানি তৈরি হয় না। ফলে তিন বছরের মাথায়ই প্রেমের 'কেল্ক্নাফতে'। যেন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জীবন। তখন স্ট্বপেম্নর মানুষটি যেন অ্যালার্জি। শৃগ্ধখলমুক্ত হতে চায় তখন মন। অনেকের ক্ষেত্রে ফিনাইল-ইথাইল এসিডের ত্রিক্রয়ার তীব্রতা এতই বেশি থাকে যে তারা ঘন ঘন প্রেমিক বা প্রেমিকা পরিবর্তন করে। আজ একজন তো কাল আরেকজন। কী আশ্চর্য তোমার ক্ষমতা হে ফিনাইল-ইথাইল এসিড! তারপরও অনেক প্রেম অনেক দিন টিকে থাকে। অনেকে একজনের জন্যই অনেক দিন অপেক্ষা করে। যেমন চ-ীদাসরা বাইশ বছর বড়শি হাতে বসে থাকে! এর কারণ কী? এনডরফিন নামে এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ প্রেম দীর্ঘায়িত করার করার জন্য মস্টিস্নষ্ফ্কে কাজ করে। জন্ম দেয় এক পরিণত প্রেমের, যাতে থাকে সহানুভূতি, সহমর্মিতা এবং শ্রদব্দাবোধ। সব কিছুর মহৃলেই সব রোগ সারাতে পারে একমাত্র ভালোবাসাই। কারণ, এ রসায়নের রসেই অননস্নকাল ধরে মানুষসহ অন্য প্রাণীরাও প্রেমে পড়ে। ফিনাইল-ইথাইল অ্যামাইল বা চঊঅ একটি প্রকৃতিক অ্যামম্ফিট্যামিন। তবে মজার ব্যাপার হলো এ কেমিক্যালটিকে খুব সহজেই চকলেটের সঙ্গে মেশানো যায়। এমনিতেই অল্কপ্প পরিমাণে চঊঅ চকলেটে থাকে। অনেকেই বলতে পারে_ ইস! এমন চকলেট কবে বাজারে আসবে। যদি ভালোবাসার মানুষ আমাকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে আমি দৌড়ে দোকান থেকে একশ' চকলেট কিনে আনব আর পার্কের বেঞ্চে বসে মজা করে খাব। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ভালোবাসা যে পায় না, আর ভালোবাসা যে কাউকে দিতে পারে না, সংসারে তার মতো দুর্ভাগা আর নেই। ---সংগৃহিত
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




