somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেনীর রাজনীতির সত্যিকারের হিরোরা

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমিনুল করিম মজুমদার খোকা মিয়া - নোয়াখালী অঞ্চলের প্রবাদ পুরুষ।

ব্যক্তি হিসেবে মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী, কিন্তু নেতা হিসেবে তিনি সার্বজনীন।

একাধারে তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা,ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক,পরশুরাম উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

জননেতা হিসেবে ফেনীর উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার আলোবঞ্চিত জনগণের জন্য নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন 'পরশুরাম কলেজ',যা বর্তমানে ফেনী-পরশুরামের মানুষের জন্য 'বাতিঘর' হিসেবে সমাদৃত। আর একজন আধুনিক চিন্তাধারার রাজনৈতিক হিসেবে তিনি এই জনপদকে দিয়ে গেছেন আধুনিকতার ছোঁয়া,যা এই অঞ্চলে উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর হিসবে বিবেচিত হয়।

'৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চরম দুঃসময়ে সারা বাংলাদেশে যে কয়েকজন নেতা আওয়ামীলীগকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম এই আমিনুল করিম মজুমদার,বঙ্গবন্ধুর 'খোকা মিয়া'।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,তথাকথিত নয় সত্যিকারের জনগণের নেতা,ব্যক্তি সততা,কর্মদক্ষতা - আসলে কোন বিশেষণই উনাকে এককভাবে বিশ্লেষণ করতে ব্যর্থ।কারণ,উনি যে এই সব কিছুরই সমন্বয়।

গতকাল ২৬ জুন ছিল উনার মৃত্যুবার্ষিকী,১৯৯৪ সালের ঐ দিনে উনি সাধারণের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমিয়েছেন সেই জগতে,যেখান থেকে কেউ কখনো ফিরে না।কিন্তু,উনার কর্মই উনাকে জনগণের কাছে স্মরণীয় করে রেখেছে।

ফেনীতে 'পোস্টধারী' নেতার অভাব কখনো হয়নি-হবেও বলে মনে হয় না,কিন্তু খোকা মিয়া একজনই-মাস্টারপিস।

একজন বঙ্গবন্ধুর একজনই খোকা মিয়া হয় - নিঃস্বার্থ কর্মী।।

------------------------------------------

আজিজুল হক চেয়ারম্যান - ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,আমার শ্রদ্ধেয় নানা।

ফুলগাজী উপজেলা - প্রায় বছরখানেক আগে যেই উপজেলার চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক একরামুল হককে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে,গুলি করে,গাড়িতে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়।আমার নানা ছিলেন এই একরামুল হকেরই পূর্বসূরি।

এখানে আওয়ামীলীগ করা মানে নিজের জীবনকে নিশ্চিত অপমৃত্যুর কাছে সঁপে দেওয়া।যারাই ইতিপূর্বে এই এলাকায় আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল পদে ছিলেন তাদেরকেই নানাভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

১৯ বছর আগের ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনটি,আমাদের পরিবারের ইতিহাসের কালো দিন। ১২ জুনের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৪৬ আসন পেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে।

সেই খুশিতে ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের উদীয়মান প্রতিষ্ঠিত নেতা আজিজুল হক চেয়ারম্যান ঢাকায় আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে দেখা করে শুভেচ্ছা জানাতে।কিন্তু,তাঁর সেই যাত্রাই যে পরিবারের সাথে জাগতিক পৃথিবীতে বিচ্ছিনতার দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে তা কে জানত!

ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের কিছু মাথামোটা নেতার আজিজুল হকে যথেষ্ট সমস্যা ছিল।কারণ,আজিজুল ছিলেন শেখ হাসিনার একান্ত আস্থাভাজন,ফেনী জেলা আওয়ামীলীগে ধারাবাহিকভাবে তাঁর প্রভাববলয় বাড়ছিল,জনগণের সম্পদকে তিনি জনগণের করে রেখেছিলেন।ঘর-ভিটে-সম্বলহীন অনেক পরিবার আজিজুল হকেই নির্ভর ছিলেন। ব্যক্তি আজিজুল হক কি ছিলেন সেটার যোগ্য মূল্যায়ন শুধু এই এলাকার প্রকৃত মেহনতি মানুষেরাই করতে পারবেন।

কিন্তু,এমন নেতা বেঁচে থাকলে জনগণের টাকায় নিজেদের হালুয়া-রুটির স্বপ্ন দেখা যায় না,তাই তৈরি করা হয়েছিল ভয়াবহ এক ষড়যন্ত্র।

সেই ষড়যন্ত্রের মোতাবেক আজিজুল হকের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিষ প্রয়োগে তাঁকে হত্যা করা হয়।পুরো ব্যাপারটাতে আরও কিছু অন্ধকার অংশ আছে। কিন্তু, ষড়যন্ত্রীদের মূল অনেক ভিতরে গ্রোথিত,তাই জেনেও অনেক কিছু জানানো যায় না!

আজিজুল হকের মৃত্যু পরবর্তী পরিবারের করুন দশা এখনো বলবৎ।কারণ, তিনি জনগণের রাজনীতি করেছিলেন;নিজের পকেট ভারী করার রাজনীতি না।

আজও বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের পারিবারিক উত্তরসূরিরা পদে পদে বঞ্চিত,কোন যোগ্য মূল্যায়নই তাঁদের ভাগ্যে জুটে না!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×