"মুজিব ভাই, আপনি বাকশাল চালু করে বাংলাদেশের মানুষদের জন্য শেষ পথটিও বন্ধ করে দিলেন আপনাকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা থেকে সরানোর"। ------ তাজউদ্দীন আহমেদ
১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে তাজউদ্দীন আহমেদ নামক একজন প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলও যে ব্যক্তিটি বাকশালের পরিণতি অনুমান করে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাকশাল চালু করা থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন; যখন সফল হতে পারেন নি তখন শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশ্যে তাজউদ্দীন আহমেদের শেষ মন্তব্য ছিলও উপরে উল্লেখিত মন্তব্যটি। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে তাজউদ্দীন আহমেদ অপেক্ষা খন্দকার মোস্তাক আহমেদই বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন। এই ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার আশ-পাশে কি তাজউদ্দীন আহমেদের মতো একজন মানুষও নেই যিনি শেখ হাসিনাকে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো ২০১৮ সালে একই রকম বা তা অপেক্ষা নিকৃষ্ট সংসদ নির্বাচন এর ভবিষ্যৎ পরিণতি সম্বন্ধে সাবধান করে দিতে পারে? আওয়ামীলীগ সমর্থক হাজার-হাজার বুদ্ধিজীবীর মাঝে একজনেরও কি সৎ সাহস নাই যিনি শেখ হাসিনাকে চিলির আগোষ্ট পিনোচেট; লিবিয়ার গাদ্দাফির; জিম্বাবুয়ের মুগাবে; ইতালির মুসোলিনি; ইরানের মোহাম্মদ রেজা শাহ এর শেষ পরিণতি মনে করিয়ে দিতে পারেন?
এখানে উল্লেখ্য যে গাদ্দাফি হলও লিবিয়ার স্বাধীনতার জনক; মুগাবে হলো জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার জনক।
উপরে বর্ণিত একনায়কদের পতনের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে একনায়ক ও স্বৈরশাসকদের পতনের জন্য দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল থাকা আবশ্যক না। বিরোধী রাজনৈতিক দল ছাড়াই একনায়ক ও স্বৈরশাসকদের পতন হয়েছে দেশে-দেশে; কালে-কালে।
শেখ হাসিনার পাশের সবাই কি মোস্তাক আহমেদের মতো? একজনও কি নেই তাজউদ্দিন আহমেদের মতো?
শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত অনুরোধ ডাঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্হা করুন; যে নির্বাচনে দেশের মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে; নিজেদের পছন্দের মানুষকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করতে পারে। দেশের মানুষকে অন্ততপক্ষে নিজের ভোট টি ভয়-ভিতীহিন ভাবে দেওয়ার সুযোগ দিন।
ফকির লালন সাই এর গানের ভাষায় বলতে হয়
"সময় গেলে সাধন হবে না।
দিন থাকিতে তিনের সাধন কেন করলে না।।"
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪২