somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কনোকোর কাণ্ড!!!!!! তেল-গ্যাস নিয়েতেলেসমাতি!!!!! যারা পড়েননি তাদের জন্য!!!!!!!!

১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্যাস তোলার দক্ষতা আমাদের নেই। এ কাজ করতে গেলে নয়ছয় বাঁধিয়ে বসতে পারি_এ রকমটাই বলতে চাচ্ছেন সরকারের বিভিন্ন মুখপাত্র। আসলেই কি তাই? বহুজাতিক কম্পানির রেকর্ডও যে এ খাতে খুব ভালো নয় সেটা তাদের ইতিহাস ঘাঁটলেই টের পাওয়া যায়। মাগুরছড়া-টেংরাটিলায় বিপর্যয়ের কাহিনী কিন্তু খুব পুরনো নয়। অধিক বিপর্যয় এড়ানোর জন্য আগেভাগেই সতর্ক হওয়া ভালো

কনোকো-ফিলিপস কম্পানির সঙ্গে ১৬ জুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন বিষয়ে একটি চুক্তি হয় পেট্রোবাংলার। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকের গ্যাস অনুসন্ধান করবে। কনোকো-ফিলিপস তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী বহুজাতিক কম্পানি। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের টেঙ্াস অঙ্গরাজ্যে। ২০০২ সালে কনোকো ইনকর্পোরেটেড ও ফিলিপস পেট্রোলিয়াম কম্পানি একত্রিত হয়ে গঠন করে কনোকো-ফিলিপস। ৩০টির বেশি দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিজেদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম আহরণ ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও তাদের কাজের ইতিহাস ভালো নয়। এর মধ্যেই এদের গাফিলতিতে ঘটেছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। ২০০৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১০-এর শুরু পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ এডমিনিস্ট্রেশনের (ওএসএইচএ) কাছ থেকে ১১৮ বার পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা ভঙ্গের নোটিশ পেয়েছে। কনোকো-ফিলিপসের কয়েকটি দুর্ঘটনা_

ওয়াশিংটনের বেলিংহামে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন
বেলিংহামে এক লাখ সত্তর হাজার মানুষের বাস। ২৪ ফেব্রুয়ারি শহরটির লোকজন দেখল আকাশ ধোঁয়ায় ভরে গেছে। সঙ্গে শুরু হলো শ্বাসকষ্ট আর বুকজ্বালা। সেদিন মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ছড়িয়েছিল ১,১০,০০০ পাউন্ড হাইড্রোফ্লুরিক এসিড। এটি একটি বিপজ্জনক এসিড, যা সরাসরি মানুষের শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত করে মৃত্যু ঘটাতে পারে। বেলিংহামের ১৪ কিলোমিটার এলাকার মানুষ এই বিষাক্ত কেমিক্যালের শিকার হয়। এই গ্যাস নির্গত হচ্ছিল শহরটির মাঝখানে অবস্থিত কনোকো-ফিলিপসের তেল শোধনাগার থেকে। ওয়াশিংটনের মধ্যে শুধু এই প্রতিষ্ঠানটিই তেল শোধনাগারে এই গ্যাস ব্যবহার করে। ওয়াশিংটনের পরিবেশকর্মীদের মতে, হাইড্রোফ্লুরিক এসিড হলো এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বিষাক্ত রাসায়নিক।

কানাডার ডসন ক্রিকে পুড়িয়ে ফেলে গ্যাসকূপ
ডসন ক্রিক থেকে ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি কূপে কনোকো-ফিলিপস গ্যাস উত্তোলন করছিল। ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে কূপে আগুন ধরে যায়। দুর্বল কূপটি গ্যাসের চাপ সহ্য করতে না পেরে এরপর পুরোপুরি বিস্ফোরিত হয়। কূপটি জ্বলে টানা ১৩ দিন। বিস্ফোরণের ফলে দুই শতাধিক রকমের রাসায়নিক পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। কনোকো-ফিলিপসের এক কর্ণধার স্বীকার করেছেন, ড্রিলিংয়ের সময় অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে, যা সহজেই এড়ানো যেত।
আলাস্কায় ছড়িয়ে পড়ে তেল
এটা আলাস্কার ইতিহাসে বড় ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা। ২০০৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর সবাই যখন ক্রিসমাসের উৎসবে ব্যস্ত, তখনই ঘটল ঘটনা। জীর্ণ ও ক্ষয় হয়ে যাওয়া পুরনো পাইপলাইন ভেঙে ৯৪ হাজার ৯২০ গ্যালন তেল ছড়িয়ে পড়ে সাগরে। এতে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়ে আলাস্কার জীববৈচিত্র্য। পাইপলাইন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ না করায় এ ঘটনা ঘটে।

ভূগর্ভস্থ ট্যাংকার ফেটে ছড়িয়ে পড়ল পেট্রোল
ঘটনাটি যুক্তরাজ্যের প্লাইমাউথের মেফ্লাওয়ার টার্মিনালের। ২০০৭ সালের ৭ জুলাই ভূগর্ভস্থ ট্যাংকারের ফাটল থেকে ছড়িয়ে পড়ে ৮০ হাজার লিটারেরও বেশি পেট্রল। ফলে ওই এলাকার ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কনোকো-ফিলিপস ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে বাধ্য হয়। ট্যাংকগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করেনি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কানাডার এডসনের কাছে গ্যাসকূপে বিস্ফোরণ
এই কূপের গ্যাসে অধিক পরিমাণে বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড ছিল। বিষয়টি জানা সত্ত্বেও বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কনোকো-ফিলিপস। যার ফলে ২০০৬ সালের ৩ মে দুর্ঘটনার শিকার হয় কূপটি। দুইদিন জ্বলার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডালকো প্যাসেজে তেল ছড়িয়ে পড়ে
২০০৪ সালের ১৩ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালকো প্যাসেজে হাজার গ্যালন তেল ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাগরের পানিতে তেলের স্তর ভেসে ওঠে। জলজ প্রাণীরা মারা পড়ে অনেক। এ ঘটনায় ছাড়া পায় না কনোকো-ফিলিপস। ৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হয় তাদের।
এ ছাড়াও ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাম্বার শোধনাগারে দুর্ঘটনা ঘটে। ১৬ এপ্রিলের এ ঘটনায় এক মিলিয়নেরও বেশি পাউন্ড জরিমানা গোনে কনোকো কম্পানি। ২০০০ সালে প্যাসাডেনায় রেজিনের ট্যাংকে আগুন লেগে ৬৫ জন কর্মী আহত হয়। এই কাজের দায়িত্বে ছিল ফিলিপস কর্পোরেশন।

Click This Link

আরও জানতে

ক্লিক করুন
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×