somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ সীমান্ত বিচিত্র বললেন বিএসএফ প্রধান

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


‘পূর্ব (বাংলাদেশ) সীমান্তে পরিস্থিতিটাই ব্যতিক্রমী। একই বিএসএফ সদস্য পাকিস্তান সীমান্তে অনেক দিন কাজ করেও গুলি চালান না। কিন্তু যখন তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে আসেন, তখন তাকে গুলি চালাতে হয় বা বলপ্রয়োগ করতে হয়। পরিস্থিতির জন্যই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।’
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে নতুন করে শুরু হওয়া বিতর্কের প্রোপটে দিল্লিতে বিএসএফের প্রধান কার্যালয়ে বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন বাহিনীর মহাপরিচালক ইউ কে বানসাল। বিবিসি বাংলার অনলাইন সংস্করণে গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৬ মিনিটে এটি প্রকাশ করা হয়।
বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কেন গুলি চালাচ্ছে এবং মানুষ মারা যাচ্ছে -এ প্রশ্নে ইউ কে বানসাল বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি বিচিত্র এবং ব্যতিক্রমী। তাহলে কি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি কখনই বন্ধ হবে না? এ প্রসঙ্গে বিএসএফ প্রধান বলেন, যতদিন সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ চলতে থাকবে, ততদিন গুলি চালানো বা বলপ্রয়োগ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
‘বিএসএফের দায়িত্ব অপরাধীদের আটকানো, তাই অপরাধ যতণ চলবে, বিএসএফকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। ভারত সরকারের সার্বভৌম দায়িত্ব তার সীমানা রা করা, সেই দায়িত্বটাই বিএসএফ পালন করছে।’ প্রসঙ্গে ইউ কে বানসাল আরো বলেন, সীমান্তে অপরাধ বন্ধে বাংলাদেশের সহযোগিতা খুবই জরুরি।
‘বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসের কাছে বারবার সাহায্য চাওয়া হচ্ছে যাতে তারা কড়া পাহারার ব্যবস্থা করে। তাহলেই দুষ্কৃতিরা সীমান্ত পেরুতে পারবে না। আর যদি কেউ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দিকে না আসে, তাহলেই বিএসএফকে আর গুলি চালাতে হবে না।’
সীমান্তে কেউ গেলেই কেন ধরে নেয়া হবে যে তিনি অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত? বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নে বানসাল বলেন, ‘রাতে সীমান্তে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকে এবং কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির সেই সময়ে সীমান্ত পেরুনোর কথা নয়। ওই সময়ে যদি কাউকে সীমান্ত পেরুতে দেখা যায়, তাহলে ধরেই নেয়া হবে যে তিনি অপরাধমূলক কাজ অথবা দেশদ্রোহী কোনো কাজ করতে গেছেন। তখনই বিএসএফের দায়িত্ব এসে যায়। বাহিনীর সদস্যরা সেই দায়িত্বটাই পালন করছেন।’
বিএসএফের সদস্যরা এক বাংলাদেশী সন্দেহভাজন গরুপাচারকারীর ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছেন -এরকম একটি ভিডিও সম্প্রতি ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনীকে দেশে বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএসএফ প্রধান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং তার বাহিনী কখনোই এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করবে না। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ঘটনাটিকে কখনোই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে না।’
বানসাল বলেন, বিএসএফের সদস্যরা ভারতীয় আইন অনুযায়ী চলবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্টাফ কোর্ট অব এনকোয়ারি চলছে। তারপরে চার্জ গঠন হবে এবং বিচার চলবে।’
‘এতে দোষীদের বাহিনী থেকে অপসারণ থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তাই কোনো মানবাধিকার সংগঠনের এ রকম ভাবা উচিত নয় যে ওই ভিডিওর ঘটনায় যুক্তদের কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে।’

সূত্র : বিবিসি বাংলা
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×