somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নবজাগরণে উদ্ভাসিত হোক নতুন বছর

০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ পূর্বাকাশে উঠেছে নতুন সূর্য। স্বর্ণোজ্জ্বল ভোর চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে স্বপ্নের সুষমা। নতুন স্বপ্ন বুনন শুরু করেছে সবাই। অভিলাষী মন উড়ছে স্বপ্নে। মেলেছে ডানা। নতুন আশায় বুক বেঁধে আরো একটি নতুন বছরে পা দিলো গোটা বিশ্ব।
বিগত সময়ের দিনলিপি পড়ে গেল পেছনে। নতুন বছরের নতুন সূর্যের জন্যই যেন অসীম প্রতীক্ষায় ছিল সবাই। উৎসব আর আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানুষ স্বাগত জানালো ইংরেজি নতুন বছর ২০১১ সালকে। স্বাগত ২০১১ সালের নতুন দিন। শুভ নববর্ষআজ ১ জানুয়ারি, ২০১১। খ্রিস্টীয় বর্ষের প্রথম দিন।নতুন বছরের এ শুভযাত্রায় সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

নতুন বছর। নতুন স্বপ্ন। আবারো হিসাবের খেরোখাতায় যোগ-বিয়োগের নতুন ধারাপাত। আনন্দ-বেদনার কাব্যে পাওয়া-না পাওয়ার স্মৃতি-বিস্মৃতির একটি বছর শেষে নতুন বছরের শুরুর দিন আজ। চোখের সামনে এসে দাড়ায় ধূসর হয়ে আসা গল্পগাঁথার সারি সারি চিত্রপট। কখনো বুকের ভেতর উঁকি দেয় ব্যক্তিমানুষের একান্তই দুঃখ-যাতনা। কখনো পাওয়ার আনন্দে নেচে উঠে হৃদয়।নানা আনন্দ আর হতাশা, অনিশ্চয়তা আর আবেগের মধ্য দিয়েই জীবন থেকে পার হলো আরো একটি বছর।

নবঘাসের ডগায়, ফসলের গায়ে জমে থাকা শিশির বিন্দুর ওপর নতুন সূর্যের আলো হিরকদ্যুতি হয়ে দেখা দিয়েছে দিকে দিকে। নতুনের ছোঁয়ায় জেগে উঠেছে নব নব প্রাণ। আর এ বছরটি নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে আমাদের জীবনে এমনি প্রত্যাশা সবার।তুন বছরের শুরুতে আমাদের কামনা এ ধারা বিস্তৃত হোক। অনাগত শিশুর জন্য সুন্দর হয়ে উঠুক আমাদের দেশ ও গোটা বিশ্ব।একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা শুরু হোক। আগামী পৃথিবী যুদ্ধ-সংঘর্ষহীন হোক, সব জাতি-বর্ণ-গোষ্ঠীর জন্য সুখময় হয়ে উঠুক এ কামনাই হোক নববর্ষে আমাদের অন্তরের বাণী।

জীবন কতোই না বিচিত্র। কাকতালীয় ভাবে এমন সব ঘটনা ঘটে আমাদের জীবনে অনেক সময় যেগুলো চাইলেও এড়ানো সম্ভব হয়না। মজার এবং বেশি সময়ই এগুলো কাকতালীয় ভাবে সত্যি হয়ে যায়। এগুলা ঘটবেই। ঘটতেই হবে।তেমনই কিছু সংগ্রহ করা কাকতালীয় সত্য বিষয় নতুন বছরের প্রথম দিন এক নজর দেখে নিনঃ

১।
কোন কারণে যদি হাত থেকে মাখন মাখানো রুটিটি দামি কার্পেটের উপর পড়ে যায় তাহলে নিশ্চিত থাকুন, মাখন লাগানো পাশটিই নিচের দিকে থাকবে।

২।
সহজে ভাঙ্গেনা এমন কোন জিনিস যদি হাত থেকে পড়ে যায় তবে তা অবশ্যই এমন কিছুর উপর পড়বে যা সেটিকে ভাঙ্গার মত যথেষ্ট শক্ত।

৩।
আপনি কিছু কোন একটা কাজ শুরু করবেন তো দেখবেন যে এমন আরেকটি কাজ বাকি রয়ে গেছে যা এর আগে শুরু করা উচিত ছিল।

৪।
আপনি যদি কয়েকটি জিনিস একসাথে খুঁজতে শুরু করেন তাহলে মোটামুটি নিশ্চিত যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটি আপনি পাবেন সবার শেষে।

৫।
বোকা আর প্রতিভাবানের মধ্যে একটাই পার্থক্য সেটা হল প্রতিভাবানের প্রতিভার একটা সীমা থাকে।

৬।
ক্রিকেট খেলুন বা গলফই খেলুন, সবচেয়ে বাজে শট গুলো আপনি তখনই খেলবেন যখন আপনি কাউকে ইম্প্রেস করতে চাইছেন।

৭।
একাধিক বিষয়ে যদি একসাথে ঝামেলা বাঁধার সম্ভাবনা থাকে তাহলে জেনে রাখুন, সবগুলো ঝামেলা একসাথেই শুরু হবে।

৮।
আপনি যখন ট্র্যাফিক জ্যামে আটকা পড়েন, তখন অবশ্যই রাস্তার অন্য পাশে কোন জ্যাম থাকবেনা-পুরোটাই থাকবে ফাঁকা।

৯।
সব কিছু যদি ঠিকঠাক চলছে বলে মনে হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় আপনি কিছু একটা মিস করে গেছেন।

১০।
ব্যাঙ্কের লাইনে আপনার ঠিক সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তিটিরই সবচেয়ে বেশি সময় লাগবে।

১১।
প্রতিটি সমাধানই নতুন কোন সমস্যার সূত্রপাত ঘটায়।

১২।
চুলের স্টাইল করতে গিয়ে আপনি যতোটা সময় কিংবা অর্থ ব্যয় করবেন, বাতাস ও ঠিক ততোটাই জোরে বইবে।

১৩।
কোন টেকি জিনিসপত্রে যখন সমস্যা দেখা দেয়, তখন instruction manual ঘেঁটে আপনি কিছু বের করতে না পারলেও অন্য কেউ ঠিকই পারবে।

১৪।
প্রকৃতিতে কোন কিছুই পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নয়। তাই যদি দেখা যায় সবকিছুই ঠিক আছে, তবে অবশ্যই কিছু একটা ঠিক নেই।

১৫।
কোন কিছু হারানোর পর আপনি যেইমাত্র এর বিকল্প কিছু যোগাড় করবেন ঠিক তখনি হারানো জিনিসটি খুঁজে পাবেন।

১৬।
আপনি যতো কষ্ট বা পরিশ্রম করেই কোন একটা জিনিস কিনুন না কেন, কেনার ঠিক পরই জানতে পারবেন যে অন্য কোথাও একই জিনিস বিক্রি হচ্ছে আরো কম দামে।

১৭।
যেদিন আপনি ছাতা নিতে ভুলে যাবেন, সেদিন বৃষ্টি হবেই।

১৮।
যে লাইনে আপনি থাকবেন না সেটি একটু দ্রুতই সামনে আগাবে।

১৯।
অনেকদিন পর আঙ্গুলের নখ কাটার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আপনার তাদের প্রয়োজন হবে।

২০।
পড়ন্ত কোন বস্তু সবসময় এমন কোথাওই এসে পড়বে যাতে ক্ষতিটা সবচেয়ে বেশি হয়।

২১।
আপনার যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা না পাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

২২।
ভুল এড়ানোর একমাত্র উপায় হল সিদ্ধান্তহীন থাকা।

২৩।
আপনি হারানো কোন জিনিস সেই জায়গাতেই খুঁজে পাবেন যেখানে আপনি খুঁজবেন সবার শেষে।

২৪।
প্রতিটা ছোট সমস্যার পেছনে একটা বড় সমস্যা লুকিয়ে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না ছোট সমস্যাটির নিষ্পত্তি হচ্ছে।

২৫।
কোন একটা কঠিন কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরপরই আপনি আরো সহজে কিভাবে কাজটি করা যেত তা জানতে পারবেন।

২৬।
আপনি নতুন জুতোটি যেদিন প্রথম পরবেন সেদিনই সবাই আপনার পা মাড়াবে।

২৭।
আপনি যদি কোন কাজ ঠিকমত হওয়ার ব্যাপারে ৫০ ভাগ নিশ্চিত থাকেন তাহলে জেনে রাখুন, ৭৫ ভাগ ক্ষেত্রে আপনার ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে।

২৮।
সুখী থাকার চাবিকাঠি একটাই। OK না থেকেও OK থাকা।

২৯।
যখনি আপনি সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলো দেখতে পাবেন তখনি সুড়ঙ্গটি বেঁকে যাবে।

৩০।
ইনজিন অথবা মোটর সারাবার পর যখন হাতে তেল লাগবে, তখনই নাক চুলকাবে!

৩১।
টেলিফোনে ভুল নাম্বার ডায়াল করলে কখনো সেটা বিজি থাকেনা।

৩২।
যে লাইনে দাড়িয়েছেন, সেই লাইন ছেড়ে অন্য একটা লাইনে দাড়ালে দেখবেন আগের লাইনটা দ্রত এগোচ্ছে!

৩৩।
প্রেমিকা অথবা প্রেমিককে নিয়ে যখন ঘুরছেন, তখন যে দেখলে ক্ষতি হবে - তাকে দেখার সমভাবনা বেশি!

৩৪।
বাথরুমে ডুকে গায়ে পানি দিতে না দিতেই দেখবেন টেলিফোন বাজছে !

৩৫।
যখন কাউকে দেখাতে চান যে একটা জিনিস কাজ করছে না , তখনই সেটা ঠিকমতো কাজ শুরু করবে !

৩৬।
যে জায়গায় চুলকোতে যত অসুবিধা হয়, সেইখানেই চুলকুনিটা বাড়ে।

৩৭।
যখন গরম চা নিয়ে সবে আরাম করে বসেছেন, তখনই বড় সাহেব ডেকে
পাঠিয়ে একটা কাজ দেবেন- যা করতে গিয়ে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

৩৮।মেইলবক্স বা পোস্টবক্স দেখা মাত্র আপনার মনে পড়বে যে চিঠিটা পোস্ট করার
কথা ছেল, সেটা সঙ্গে নেই।

৩৯।
বাসে উঠে বা অফিসে এসে ভাবনা শুরু হবে, বাড়ির ফ্যানটা বা পাম্পটা বন্ধ
করে এসেছেন কিনা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×