somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাল্পনিক_ভালোবাসা
বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

অদেখা ভূবন

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রিয় অদেখা ভুবন, তোমার জন্য অপেক্ষায় কেটেছে, আমার দীর্ঘ রাত, দীর্ঘ প্রহর। আমার কাছের সব পরিচিত মানুষগুলোকে তুমি নিয়েছ ডেকে তোমার ভূবনে। তারা পেয়েছে তোমার দেখা, তারা হয়েছে গর্বিত। তারা পেয়েছে সেই সাধ, যে সাধের জন্য মানুষ, আমৃত্যু লড়াই করতে পারে , যেই সাধের জন্য মানুষ আজীবন তপস্যা করতে পারে। আকুন্ঠ পিপার্সাত মানুষ পিপাসা মেটানোর জন্য বল কত কিছুই না করে, তেমনি করে আমিও তোমাকে দেখব বলে অপেক্ষা করছি। অপেক্ষা শেষের অপেক্ষায় ক্লান্ত আমি তোমাকে বানিয়েছি কোন এক কল্পিত ভূবনে।

অপেক্ষাগ্রস্ত এই আমি, নিজেকে শুনিয়েছি কত শত সান্তনার বানী। ঠান্ডা এলোমেলো বাতাসে যখন তোমার ভূবনের কোন এক তরুনীর এলোকেশ সাগরের ঢেউয়ের মত ফুঁসে উঠে, যখন সেই তরুনীর হাসির সুনামী আমার হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে, যখন ফুটপাতে একা হাঁটতে থাকা এই আমার, চারপাশে উড়তে থাকে গাছের ঝরে পরা পাতারা, তখন মৃদ্যু হেসে আমি নিজেকেই সান্তনা দিয়ে বলি, ‘আমি একাই পৃথিবী’।

হ্যাঁ, আমি একাই পৃথিবী। আমার বেঁচে থাকা, আমার স্বার্থপরতা, আমার হিংসা, আমার ব্যর্থতা, নিজেকে নিজে ধ্বংস করার অপচেষ্টা সবই আমারই জন্য। হ্যাঁ, তুমি আমার পৃথিবী থেকে সযত্নে চুরি করেছ বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় উপাদান, আমার একমাত্র অক্সিজেনের উৎসস্থল, ‘ভালোবাসা’। আর তাই তো অক্সিজেনহীন আমার পৃথিবীর আকাশ নীল নয়, ধুষর সাদা। আমার পৃথিবীর সকাল আর গোধুলিটা তোমার ভূবনের মত রঙ্গিন হয় না। এখানে রং নিয়ে হয় না নানা রঙের খেলা। এখানে রং দিয়ে খেলা আজীবন নিষিদ্ধ। এখানে শুধু সাদা আর কালোদেরই রাজত্ব। আমার পৃথিবীর সমুদ্রের পানিগুলো নীলাভ সবুজ নয় বরং কালচে ধুসর। আমি সেই কালচে ধুসর রঙের সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে সকাল দেখি, বিকেল দেখি, আর দেখি গোধুলী। তবে হ্যাঁ, আমার পৃথিবীতে নিয়মিত বৃষ্টি হয়, আমি সেই বৃষ্টিতে ভিজি আর অপেক্ষা করি রংধনুর। অপেক্ষা শেষ হয়, রংধনুও উঠে, তবে তা তোমার পৃথিবীর রংধনুর মত বেনীআসহকলা নয় শুধুই সাদাকালোর গ্রেস্কেল।

আমার প্রিয় ভালোবাসার অদেখা ভুবন, আমার চির অপেক্ষার শেষ দেখতে চাই আমি। আমি কথা দিচ্ছি, আমি গর্বিত হব না, কথা দিচ্ছি, আমি অহংকারী হব না, কথা দিচ্ছি, আমি তপস্যা ভাঙ্গব না। কথা দিচ্ছি আমি শুধু কৃষকই হব। তোমার হৃদয়ের মাঠে হবে শুধু আমার ভালোবাসার চাষাবাদ। শুধু ছোট্ট একটা জমি চাই তোমার সেই বিশাল ভূবনে। আমি হব তোমার প্রিয় পরিব্রাজক। অনেকটা ইবনে বতুতার মত, ঘুরে ঘুরে আবিষ্কার করব তোমার ভূবনের রহস্য। কথা দিচ্ছি, সব রহস্য তোমারই থাকবে, আমি হব না শার্লকহোমসের মত রহস্যভেদী। দিনশেষে শুধু বলব, ‘ভূবন ভ্রমিয়া শেষে, আমি এসেছি নতুন দেশে, আমি অতিথি তোমারই দ্বারে, ওগো বিদেশিনী’


** লাস্ট পোষ্টটা পড়ে অনেকেই বলেছিলেন, কিছুটা ভিন্নভাবে প্রেক্ষাপটে লেখার জন্য। তাই এই চেষ্টা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩৫
৪২টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×