somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেট্রোরেল, ঢাকার যানজোট কমাবে

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবারের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের একটি চমৎকার বিবরন পেলাম। গর্বে বুকটা ভরে গেল।
জাপানের কারিগরি সহযোগিতায় এই প্রজেক্ট শেষ হলে, ঢাকা একটু যানজটমুক্ত হবে বলেই বিশ্বাস করছি।
তবে এই রেলকে কতোটা পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে এই নিয়ে এখনই আমি শঙ্কিত।আর কর্তৃপক্ষ বিনাভাড়া নিয়ে সোনার ছেলেদের সঙ্গে কতোটা কুলিয়ে উঠতে পাড়বে সেটাও দেখার বিষয়।


হয়তো এখনি কোন লিগের কর্মী চিল্লায়ে উঠবে এটা আমাদের শেখ হাসিনার উপহার, তিনিই এটা দেশে এনেছে ব্লাব্লাব্লা।
হ্যাঁ স্বীকার করতে হবে বর্তমান যুগে যানজট এড়িয়ে দ্রূত কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মেট্রোরেল অপরিহার্য ছিল।
আর আড়াই হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা নিতে এই সরকারের কোন বাধার মুখেই পড়তে হয়নি।কারন সংসদে যুক্তি তর্কের কেঊ নেই। তিন টার্ম জবরদস্তি করে সরকারে থেকে এখন যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে তাদের বেগ পেতে হয়না।
এবার সেই লিগকর্মীরা আবারো চিল্লায়ে বলবেন পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখবে।
তাহলে শুনুন আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কির্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন। বিশ্বের এই দৃস্টি নন্দন ও ব্যয়বহুল ভবনটি যিনি উপহার দিয়েছিলেন, আমরা অনেকেই তাকে জানিনা বা তার নামই নিইনা। সে ছিল আরেক স্বৈরাচার ফিল্ড মার্শাল আয়ুব খান। কিন্তু তার আমলে ঢাকার আরো অনেক স্থাপত্য যেমন নূতন এয়ারপোর্ট, জিপিও ,কমলাপুর রেল স্টেশন ইত্যাদি। যদিও আইয়ুব খান তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে সমাপ্তি না করেই গদি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর অর্থনৈতিক সংকটে শেখ মুজিব সংসদ ভবন আর শুরু করতে পারেনি।তার মৃতুর পর প্রেসিডেন্ট জিয়া আবারো কাজে হাত দেন। এমনকি আজকের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও।

এতো কথা বলার কারন হচ্ছে, এইসব উন্নয়নের ভাগীদার আমরা অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগন।
স্বৈরাচার যুগে যুগে আসে এবং গায়ের জোরে দেশ দখল করে বসে যায়, শেষ সময়ে জনগণের অর্থেই কিছু করে নিজের নামটা রেখে যাওয়ার ব্যর্থ চেস্টা করে।

এটাই নিয়তি। পদ্মা সেতু থাকবে, মেট্রোরেল থাকবে। থাকবেনা তিনি এবং তার নাম !!!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×