গত বৃহঃপতি বার দুপুর পৌনে দুইটার সময় অন্য ডিপার্টমেন্টের কিছু কর্মকর্তা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রকৌশল বিভাগের দুইজন শিক্ষককে প্রহার ও লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় আজ শিক্ষকদের বৈঠক শেষে উক্ত ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক,ছাত্র/ছাত্রীরা উক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মানব বন্ধনের সময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক জনাব মাহবুবুর রহমান, চেয়ারম্যান জনাব পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, জনাব তপন কুমার জোয়ার্দ্দার, জনাব শরিফুল ইসলাম, জনাব আশিক রাইহান মাহমুদ সহ জনাব শিপন মিয়া, জনাব জসিম উদ্দিন, জনাব বিকাশ চন্দ্র সিং, জনাব তারেক হাসান আল মাহমুদ এবং অন্যান্য বিভাগের সকল শিক্ষকগণ।
ঘটনার বিস্তারিত:
গত বৃহঃপতি বার দুপুর ১.৩০ মিনিটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের (সবথেকে টপ বিভাগ ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল (ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেনের রুমে প্রবেশ করে একজন কর্মকর্তা (ফলিত খাদ্য ও প্রযুক্তি অনুষদের শাখা কর্মকর্তা হারুন-উর-রশিদ) তুমি বলে সম্বোধন করে । তুমি সম্বোধনে শিক্ষক জনাব আলমগীর হোসেন অপমানিত বোধ করেন এবং এর প্রতিবাদ জানান। তখন ওই কর্মকর্তা সেখান থেকে চলে যায়। এর ঘণ্টা খানেক পর বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের শাখা কর্মকর্তা সহিদুর রহমান ও সহকারী রেজিস্ট্রার জামাল হোসেনকে নিয়ে আবার উক্ত শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে হারুন-উর-রশিদ। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের প্রভাষক জনাব সাদেক আলী। এরপর ওই কর্মকর্তারা কক্ষের দরজা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষক আলমগীর হোসেনকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে । সাদেক আলী এর প্রতিবাদ করায় ওই কর্মকর্তারা উক্ত শিক্ষকদেরকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে সেখান থেকে চলে যান। জানা যায় উক্ত সময়ে কোন ছাত্র/ছাত্রী এবং শিক্ষক ডিপার্টমেন্টে উপস্থিত ছিলেন না। তবে একই বিভাগের প্রভাষক জনাব জসিম উদ্দিন তখন চেয়ারম্যান স্যারের রুমে বসে ছিলেন, তিনি বুঝতে পারা মাত্রই বের হয়ে দেখতে পেলেন যে তার সামনে দিয়ে উক্ত তিন কর্মকর্তা বীরবিক্রমে চলে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষক আলমগীর হোসেনের কক্ষে গিয়ে দেখতে পান যে তারা প্রহরূত হয়েছেন।
উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে সকল বিভাগের শিক্ষক, ছাত্র/ছাত্রী ক্লাস বর্জন করেন, এবং শিক্ষকদের এক বৈঠক শেষে উক্ত বিভাগের শিক্ষক,ছাত্র/ছাত্রীগণ অপরাধী কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবীতে এক শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন পালন করেন। জানা গেছে যে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সবথেকে টপ বিভাগ হলো - তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ, এবং উক্ত বিভাগের নতুন শিক্ষকদের মধ্যে জনাব আলমগীর হোসেন ও সাদেক আলী উভয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় শিক্ষক। প্রিয় শিক্ষকদের এই অবস্থার কথা শুনে ছাত্র/ছাত্রীদের চোখে কান্না চলে আসে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কে শিক্ষক জনাব জসিম উদ্দিন , বিকাশ চন্দ্র সিং, শিপন মিয়া এবং চেয়ারম্যান জনাব পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন শান্তনা প্রদান করেন এবং তাদের কে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




