কেন যে এমন হয়! বুঝি না। সত্যিই বুঝি না। একবার ভাবি ঠিক; পর মুহূর্তেই ভাবনা জেগে উঠে এতো চরম অসত্য। তবুও এগিয়ে যাই; ক্ষীণ আশা যদি দেখা পাই। নিজের প্রিয় কথা গুলোই ভুলে যাইঃ [গাঢ়]'যে আশা করে সে-ই ভোগে, যে ভুল করে সে-ই সাহসী হয়।'[/গাঢ়]
পথে হঠাৎ মনে পড়ে সেই বাণী; তবু ঘোর কাটে না। বলি, 'আমি তো ভুগতেই চাই'। আর তাই আশা করে যাই। কখনো ডুবে যাই প্রকৃতি প্রেমে, আশায় থাকি সে দেখাবে সৃষ্টির রহস্য। কখনো বা বইয়ের প্রেমে পড়ে আশা করি সে উন্মোচন করবে অজানা জীবন। আবার কখনো গানের প্রেমে পড়ে সুরের মুর্ছনায় ভুলে গিয়ে আশা- এবার হয়তো পারবো। কিন্তু পারি না। নারী জানায় প্রেমের আহ্বান; সব কিছু ভুলে আবার আশায় মেতে উঠি। কিন্তু হঠাৎ মন বলে উঠে, [গাঢ়]'ভালোবাসা, প্রেম নয়'[/গাঢ়]।
ভালোবাসা! অজান্তেই হেসে উঠি। কবিতার লাইনগুলো মনে পড়ে-
[ইটালিক]ভালোবাসা সবই খায়- এঁটোপাতা, হেমন্তের খড়
রুগ্ন বাগানের কোণে পড়ে থাকা লতার শিকড়
সবই খায়, খায় না আমাকে
এবং হাঁ করে রোজ আমারই সম্মুখে বসে থাকে।[/ইটালিক]
ভালোবাসাকে তাই আমার বলতে ইচ্ছে করে-
[ইটালিক]শিরায় শিরায় অভিমানের ঝরণা ভেঙে নামে
দুই চোখই চায় গঙ্গাযমুনা
মন কি আজও লালন চায়? মনকে বলো 'না'
মনকে বলো 'না', বলো 'না'।[/ইটালিক]
আরও বলি....
[ইটালিক]কেউ নেই ঘরের ভেতরে
কেউ নেই বুকের ভেতরে।[/ইটালিক]
ভেতর থেকে কে জানি বলে উঠে-
[ইটালিক]তবু কে যেন মনে পড়ে
যখন তখনই মনে পড়ে।[/ইটালিক]
দ্বিধায় পড়ে যাই আর অজান্তেই বলে উঠি-
ঈশ্বর, তবে কেন বুক জ্বলে যায়?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



