মিরপুর-১০ নং গোলচত্তরে কয়েকজনের একটি গ্রুপ ছিনতাই কাজ পরিচালনা করে। এমনকি এরা এই কাজটি এমন ভাবে করে যে সবার সামনে প্রকাশ্যে ঘটনাটি ঘটলেও কেউ বুঝতে পারে না এটা একটা ছিনতাই।
মিরপুর-১০ নং গোল চত্তরের দক্ষিণ দিকে ১নং এর দিকে যেতে বাস স্ট্যান্ডে দায়িত্বরত কয়েকজন ব্যক্তি এসব কাজে জড়িত। তাদের সাথে রয়েছে আরও বেশ কিছু পেশাদার, অপেশাদার ছিনতাইকারী। উল্লেখ্য তারা এখানে "লাইনম্যান" নামে পরিচিত। তাদের কাজ হল নির্দিষ্ট কয়েকটি পরিবহনের নিকট থেকে চাঁদা তোলা এবং ঐ সমস্ত গাড়িতে কিছু যাত্রী উঠিয়ে দেওয়া। যাত্রী তো একাই উঠে মাঝখান থেকে তারা কমিশন খায়। যাহোক তারা যা করার করুক। কিন্তু মাঝে মাঝে তারা কিছু ব্যক্তি বিশেষ করে কমবয়সী ছেলে বা ভদ্র কোন লোকের সঙ্গে অযথাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্ক শুরু করে। এরপর তারা কয়েকজন মিলে একজোট হয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গায়ে হাত দেয়, মানে দুচারটা চড় থাপ্পড় মারে। এরপর আশেপাশের কোন গলির মধ্যে নিয়ে তার কাছে যা পায় তা রেখে আরও কিছু ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
ঘটনা-১। কোন একটি পরিবহনে জানালার পাশে এক মহিলা বসে আছে। শাড়ি পরিহিতা। গলায় একটি স্বর্ণের চেইন ছিল। এখানে গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার একপর্যায়ে মহিলার চেইন ছিনতাই হয়। ঘটনাটি ঘটে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার ঠিক আগমুহুর্তে। ফলে আশপাশের মানুষেরা কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ছিনতাইকারী তার কাজ সমাধা করে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ কিছুই বুঝতে পারে না।
ঘটনা-২: এক কিশোর সঙ্গে তার ছোটভাইকে নিয়ে এসেছে ঈদের টিকিট নিতে এক মার্কেটে। বেশ সকালেই আসে তারা, কিন্তু তখনও আশে পাশের দোকান খুলেনি। তাই তারা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে। আবার একটু ঘোরাফেরা করছিল। আবার মার্কেটের সামনে এসে দেখছিল দোকান খুলল কিনা। একপর্যায়ে তারা ঐ টিমের নজরে পড়ে যায়। তারা তাকে মার্কেটের গেট থেকে ধরে ভেতরের দিকে নিয়ে যায়। উল্টাপাল্টা কথা বলে তাকে চমকিয়ে দেয়। তার নাম, ঠিকানা জানতে চায়। একজন পকেটে হাত দিয়ে বলে দেখি কি আছে বের কর। বলে তার কাছে থাকা টিকেটের টাকা ও মোবাইল ফোন চেক করার জন্য নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। বরং তাকে দুয়েকটি চড় থাপ্পড় দিয়ে বের করে দেয়।
এভাবে তাদের ঐ গ্রুপটি অনেকদিন ধরেই এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, পাবলিক প্লেসে, প্রকাশে ছিনতাই করে, কিন্তু কেউ কিছু বলে না। শোনা যায় এলাকার বড়ভাই নামে কথিত কিছু ব্যক্তি তাদের আশ্রয়দাতা, এছাড়া লোকাল থানাও নাকি তাদের কাছ থেকে বেতন (?) পায়।
এই সমস্যা শুধুমাত্র মিরপুর-১০ নং গোলচত্তরেই নয়, ঢাকা শহরের আরও অনেক ব্যস্ত এলাকাতেই এইধরণের তৎপরতা রয়েছে। বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষ্যে তারা আরও বেপরোয়া।
সকলের কাছে অনুরোধ নিচে সচেতন হয়ে চলুন, অপরকে সচেতন করুন। আর সবাই মিলে চেষ্টা করুন এইসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



