২৩ নভেম্বর ২০১৪ রবিবার বিকেল ৩:৫৪ ৩৫ প্লামরোজ টরন্টো ওন্টারিও
প্রিয় মৃন্ময়ী,
মন খারাপ! ভীষণ খারাপ! আমার পছন্দের মোবাইলটা-এইচটিসি এমএইট- হারিয়েছি। গত ১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত্রে ক্লাশ করতে যাবার সময় ট্রেন থেকে নেমে দেখি পকেটে নেই। তারপর আর খুঁজে পাইনি। বাসায় এসে মিথ্যে কথা বলেছি। বাসায় জানে মোবাইল পরে গিয়ে স্ক্রিন নষ্ট হয়েছে। তাই সারতে দিয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না!
শাপলা আন্টিকে জানিয়েছিলাম। আন্টি পারভিন কাকীকে বলে দিয়েছেন। পারভিন কাকী আমার উপর ভীষণ মাইন্ড করেছেন মিথ্যে কথা বলার জন্য। জাহাঙ্গীর কাকা এখনো জানেন না। জানলে কী হবে কে জানে! তিনি এমনিতেই দামি মোবাইল কেনার জন্য বারংবার নিষেধ করেছিলেন।
আরেকটি কথা। শাপলা আন্টি আমাকে ৫০০ ডলার ধার দিয়েছেন মোবাইল কেনার জন্য। আন্টির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বাসায় কেউ জানে না এখনো।
২.
গতকাল তনুকাদের প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম আমরা সবাই। তনুকার স্বামী সুমন ভাই এবং ওদের বাচ্চারাও দারুণ গান করে। অবশ্য তনুকার মেয়ে ময়ূখ গতকাল গান করতে পারেনি অসুস্থতার জন্য। তবে ওদের ছেলে নিসর্গের প্রথম স্টেজ শো হয় গতকাল। চমৎকার কাটলো সময়।
আর হ্যাঁ, তনুকার সাথে আমার পরিচয় ফেসবুক থেকে। পুরো নাম শবনম শায়লা তনুকা। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সাইন্স পড়েছে। বর্তমানে একটি কোম্পানিতে কর্মরত। আমাদের একদিন দেখাও হয়েছিল ঘন্টাখানেকের জন্য (৭ নভেম্বর ২০১৪)। আমি একটি বই গিফট করেছিলাম পাওলো কোয়েল-এর। নাম- অ্যাডাল্টারি। সে আমাকে গিফট দিয়েছিলো চকলেট!
৩.
কানাডা আসার পর প্রথম স্নো দেখলাম। গত কয়েকদিন বেশ স্নো হয়েছে। তুষারপাতের মধ্যে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরিও করেছি। দারুণ লাগে। পুরো কানাডাকে মনে হয় তুষারশুভ্র! অসাধারণ দেখতে। কিন্তু বিচ্ছিরি ব্যাপার হলো কয়েক স্তর কাপড় পরতে হয় যা বিরক্তির উদ্রেক করে!
৪.
ম্যাকবুকে অ্যাডবের সব সফটওয়ারগুলো ইন্সটল করেছি। নিচের ছবিটি প্রথম এডিট করা যা ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার বানিয়েছি। আর হ্যাঁ, ছবিটি তুলেছিল রাশনা রউফ সোমা আপু, গত সপ্তাহে।
![]()
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




