আমাদের বাংলাদেশে যদি কোন ছিঁচকে চোর ধরা পরে , তাহলে তার কপালে গণধোলাই নিশ্চিত । সবাই প্রতিযোগিতাইয় লেগে যায় যে, কে কয়টা লাথি ঘুষি কিল বেশি মারতে পারে ।
আমার এক পরিচিত লোক বলছিল যে , চোর মেরে তার নিজেরই সারা শরীর কয়েক সপ্তাহ ব্যাথা করেছিল ।
সেদিন এক ম্যাগাজিনে লিখল যে এক যুবক এক ছোট টোকাই কে চোর সন্দেহে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলো । যে খবর পত্র পত্রিকায় ছবিসহ ছাপা হয়েছিলো ।
লেখক এই নিয়ে মনবাধিকার সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছিলেন।
আমি যা বলতে চাই তা এই ঘটনায় ফুটে উঠবে আশা করি,
আমার এক মামা অনেক দিন পর একবার দেশে এলেন।
তো এক মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হলেন তখন দেখে মসজিদের সামনে বিরাট হট্টগোল ।
কাছে গিয়ে দেখেন জুতা চোর পেটানোর উৎসব চলছে।
তখন তিনি সবাইকে চিৎকার করে বললেন ওই মিয়ারা করতাসেন কি?
তখন সবাই চমকে উঠে মাইর বন্ধ করে অবাক হয়ে তার দিকে চাইল। তখন তিনি বললেন ,"চোররে কি মাইরা ফেলাবেন্নি। হ্যায় কি চুরি করসে ২০০ বা ৩০০ টাকার জুতা ।"
পাশে এক বহুতল এক দালানের দিকে ইশারা করে বললেন ,
এই দেখেন লাখ লাখ তাকা চুরি করে কত বড় বাড়ি বানাইসে। পারলে হ্যারে কিছু কন তো? আর এদিক দিয়ে যখন মামা দালানের দিকে ইশারা করে ছিল তখন সবাই দালানের দিকে তাকায় তখন চর ভোঁ দৌড়।
এই কাহিনী থেকে বুঝা যায় আমরা শক্তের ভক্ত নরমের যম। যারা দেশের কোটি মানুষের টাকা চুরি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে তাদেরকে কিছু বলিনা।আর সামান্য ছিচকে চোর পেলে তার চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়ি। বিষয়গুলো খেয়াল করা দরকার।