পাঠান জাতির লোকেরা সভাবগত ভাবে একটু বোকা ও একরোখা হয়ে থাকে। তারা যেটাই বুঝে সেটাই করে ফেলে। সাতপাচ কিছু ভাবেনা।
সেরকমই এক পাঠান সদ্য পড়াশুনা শেষ করা একছাত্রর কাহিনী
পড়াশোনা শেষ করে সে ভাবল, আমার উস্তাদজী কত কষ্ট করে আমাকে এলেম -কালাম শিখিয়েছেন। উনার জন্য বড় কিছু করা দরকার। সেই মাথা মোটা পাঠান চিন্তা করে কিছু পেলনা। কি আর করার অন্য আর এক পাঠানের সাথে পরামর্শ করল। তারা ভাবল অনেক টাকা পয়সা দিবে। কিন্তু পরক্ষণে আবার ভাবল, আচ্ছা টাকা পয়সা তো ভোগ বিলাস করে শেষ করে ফেলবে। শেষ না করতে পারলেও মরে গেলে সেগুলো তো আর কোন কাজে আসবেনা। এমন কিছু করা দরকার যা মরণের পরও কাজে আসবে।
ভাবতে ভাবতে তারা বের করল তাকে "শহীদ "করে ফেলি। আখেরাতে তাহলে খুব আরামে থাকবে দুনিয়ার কষ্ট থেকেও মুক্তি।
যেই ভাবা সেই কাজ।
তারা ফন্দি করল উস্তাদকে দাওয়াত দিয়ে এনে খাইয়ে দাইয়ে পরে শহীদ (মেরে )ফেলবে।
তার মাকে বলে রাখল উস্তাদজী এলে ভাল করে সমাদর করে খাওয়াতে।
উস্তাদজী এসে খাওয়া শুরু করে প্রায় শেষের দিকে। তখন পাঠানের মা তাকে বলল উস্তাদজী! ছাত্র তো বানিয়েছেন একটা বলদ। সে আপনাকে শহীদ করে ফেলার চিন্তা করেছে। বাঁচতে চাইলে পেছনের খিড়কি দিয়ে এখনই পালান।
এই কথা শুনে উস্তাদজীর আর মুখে আর কোন খানা ঢুকলনা।
দিল দৌড়. দৌড়াতে দৌড়াতে শাগরেদের পাঠান পিতাকে সামনে পেল। হাপাতে হাপাতে অভিযোগের সুরে বলতে লাগলো। আরে শুনেছেন নাকি আপনার ছেলে কী শুরু করেছে?
সে বললো কি হয়েছে?
আরে আপনার ছেলে আমাকে মেরে শহীদ করে আমার তাকে শিক্ষাদানের প্রতিদান দিতে চায়।
তা শুনেই পলায়নরত উস্তাদজীকে জাপটে ধরে বলল। আমার পুত্র পড়াশোনা শেষ করার পর কোন কিছু করার প্রথম পদক্ষেপ। এটা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেয়া যায়না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০