মসজিদে অনেক সময় মনের ভুলে মোবাইল ফোনটির রিংটোন বন্ধ করা হয় না, আর কখনো কখনো সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বেজে উঠে (সত্যিই এটা নিজের উদাসীনতার একটা বড় পরিচয়। মানুষ যদি নামায পড়তে থাকে তাহলে সেখানে উচ্চ আওয়াজে কোরআন তেলাওয়াত জায়েয নেই। সেখানে রিংটোন বাজিয়ে ব্যাঘাত ঘটান কতটা নিন্দনীয় সেটা সহজেই বোঝা যায়।)
যা বলতে চেয়েছিলাম, তখন তাকে বকাঝকা করার জন্য যেই সোরগোল শুরু হয় সেটা রিংটোন বেজে যতটা না পরিবেশ নষ্ট না হয় তার চেয়ে বেশী ব্যাঘাত ঘটে মানুষের সোরগোলের কারণে।
আর একটা বিষয় লক্ষ করছি যে বাচ্চারা এসে মসজিদে কথা বলতে থাকে তবে সেই কথাটা নীচতলা থেকে শোনা যায় না। কিন্তু তাদেরকে শাসন করার জন্য অতি উৎসাহি প্রাপ্তবয়স্করা চিৎকার শুরু করে তাদের সেই চিৎকার নীচতলা থেকেও শোনা যায়। এতে করে সবচেয়ে বড় যেই ক্ষতিটি হয় যে বাচ্চাদের কচিমনে এবিষয়টি গেঁথে যায় যে মসজিদ একটি ভয়ানক স্থান সেখানে গেলে বকা খাওয়া লাগে। তাই সেখানে না যাওয়াটাই শ্রেয়।
আর এই অভক্তিটি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও কাজ করে তাহলে সেটা তার জন্য কত বড় অশুভ ব্যাপার। আর এই সব কিছু অতি উৎসাহিদের বকাঝকার কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। তাই মসজিদ বিমুখ যুগে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের কিভাবে মসজিদমনা বানানো যায় সেটা আমাদেরই ভাবনার বিষয়।
এখানে আমাদের কী করণীয় তার একটা দিক নির্দেশনা নবী আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই ঘটনা থেকে গ্রহণ করতে পারি। যে একবার এক গ্রাম্য ব্যক্তি এসে মাসজিদে নববীতে পেশাব করতে শুরু করল। তখন সাহাবায়ে কেরাম রাযীয়াল্লাহু আনহুমগণ তার দিকে হই হই করে তেড়ে আসতে লাগল। তখন রহমাতুল্লিল আলামীন নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সাহাবীদের থামিয়ে দিয়ে বললেন তাকে কিছু বলনা। তাকে পেশাব করতে দাও।অতঃপর তার পেশাব করা শেষ হলে মানব জাতির সর্ব শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নবী কারীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বুঝিয়ে বললেন যে মসজিদ এটা পেশাব করার জায়গা নয়। এখানে সালাত ও আল্লাহর যিকির করা হয়।
এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে বকাঝকা করা সংশোধনের উত্তম পন্থা নয়। কাউকে বুঝিয়ে দেয়া সেটাই উত্তম পন্থা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বোঝার তাওফিক দান করুন আমিন
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২১