somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের নানা রঙ -পর্ব ৩ (ছবি ব্লগ)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার জীবনের নানা রঙ এর আগের পর্ব দুটো আপনাদের ভাল লাগায় আমারো খুব ভাল লাগল । এই নগন্য ছবি গুলো আপনারা পছন্দ করেছেন বলে । আজ জীবনের নানা রঙ এর তৃতীয় পর্ব ।

পূর্বতন পোস্ট গুলো -

১) জীবনের নানা রঙ- পর্ব ১

২) জীবনের নানা রঙ- পর্ব ২

এই পর্বে আমার গ্রাম এর উপরে বেশি জোর দেব । সেই সাথে আলো ছায়ার খেলা তো আছেই ।

বাংলাদেশের বড় বড় শহর গুলো যত উদ্ভট ভাবে আর দূরন্ত গতিতে ক্যান্সার কোষের মত বিস্তার লাভ করেছে, তেমন করে কিন্তু মফস্বল শহর গুলো হয়নি । আর ছায়া সুনিবিড় গ্রাম গুলো এখনো রয়েছে অনেকটাই আগের মতন । হয়ত এখন ক্রিকেট, ফুটবল নিজেদের কব্জায় নিয়েছে কিশোরের মন, কিন্তু গ্রামের রমনীরা শত সহস্র বর্ষের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন মাটির চুলোয় রান্নার সে অনাদিকালের প্রক্রিয়া ।

সেই মাটির চুলোয় কাঠ ভরে রান্না করা হচ্ছে এই ছবিটাতে । ফ্লাশ বন্ধ করে রাতে তুলেছিলাম । তাই ছবি দেখে বোঝার উপায় নেই কিসের ছবি ।



আমরা এবারে গিয়েছিলাম আমার আদি নানাবাড়ী চিংড়িখালী গ্রামে । এত ভিতরে গ্রমাটি কি বলব । এখান থেকে শরণখোলা খুব বেশি ভিতরে নয় । তো এই গ্রমের খালের কাছেই তোলা একটা ছবি ।



কেমন লাগল ছবিটা ? বাঁকটা আমাকে সুন্দরবনের কথা মনে করিয়ে দেয়

গ্রাম কেন এখনো আমাদের টানে ? এই প্রশ্নের উত্তর বোধহয় এই, কত গুলো যন্ত্র হয়ে ওঠা মানব যখন বিরাম পায় তার কর্মজগত থেকে তখন তার ইচ্ছে করে দু সারি তাল গাছ কিংবা সুপারির মাঝ দিয়ে হেটে যেতে । শান বাধানো পুকুর ঘাটে বসে পূর্নিমা দেখতে । পুকুরে নেমে জলে ঝাপাঝাপি, তাজা মাছ ধরে খাওয়া - এইত অন্যরকম এক জীবন, তার স্বাদ নেয়া । অদ্ভুত এক জীবন, যেখানে টিভি নেই, মোবাইল নেই তাই নেট নেই, ফেসবুক নেই নেই ব্লগও । সব কিছু থেকে ছুটি । আমাকে গ্রাম এ জন্যেই টানে ।



আমার বৃক্ষসংক্রান্ত জ্ঞান খুব কম বলে বলতে পারব না এই গাছটি কি ছিল । কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় মাইক্রো ফটোগ্রাফি না হলেও চেষ্টা করে যাই । কিম্ভুত কিমাকার যা হয় তাই বা খারাপ কি ?



এই ছবিটি বোধহয় বট বা পাকুরের হবে । এই গাছটির নিচে বাধাই করা ছিল এবং বসার ব্যবস্থা ছিল । ছবিটি যখন তুলি তখন চলছিল লালনের গান "সময় গেলে সাধন হবে না" । আজকাল এ সব গান আমাকে কোন যে ভাবের জগতে নিয়ে যায় বুঝতে পারি না ।

মুর্শিদ কোথায় তোমার বাস ?
শূণ্যের উপর চিন্তা আমার
শূণ্যে বসবাস, মুর্শিদ
কোথায় তোমার বাস ?

গ্রাম ছেড়ে ফেরবার জন্য আমরা চড়লাম ট্রলারে । নদীতে রুপোলি জল চিক চিক করছে । অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য । এখনো মনে পড়ছে সে রুপোর মত জলে রৌদ্রের স্নেহ পরশ ।




এই পর্যন্তই গায়ের ভ্রমন । তবে ছবি ব্লগ এখনো শেষ হয়নি । আরো কিছু ছবি দেখবো আমরা ।



এই ছবিটা তুলেছিলাম রোজার ঈদের সময় । এত মানুষ গিয়েছে ভাবাই মুশকিল । আমি সেদিন অবশ্য কিছু কিনতে নয় ছবি তুলতেই গিয়েছিলাম ।

আবার একটু প্রকৃতিতে আসি । মাধব কুন্ডের চা বাগান টা কিন্তু একেবারে ফেলনা নয় । সবাই জলপ্রপাত দেখে চা বাগানটাকে আর সে ভাবে উপভোগ করে না । এখানে সেই চা বাগান আর জলের ধারার একটা ছবি দিলাম ।



মাঝে মাঝে কিছু ছবি খুব অদ্ভতু হয়ে ধরা দেয় । এই ছবিটা দেখুন -



ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে না অনেকটা গাছের আগায় বাড়ি ? আসলে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ্‌ই ভিন্ন । এই বাড়ি গুলো হচ্ছে খুব সংকীর্ণ সমতল জায়গায় তৈরি । স্থান রুমাবাজার

বান্দরবানে গেলে এই শঙ্খ নদ জুড়ে বাশের ভাসা ব্যাপারটা খুব কমন । এই ছবিতে যেমন দেখা যাচ্ছে ।



আমার প্রতিটি ছবি ব্লগেই চেষ্টা করি একটি করে মোবাইলে তোলা ছবি দিতে । এই মোবাইল বলাবাহুল্য আট মেগাপিক্সেল, জুম, সাইবার শট নয় বরং মাত্র দুই মেগাপিক্সেলের চাইনিজ একটা সেট । এই সেট টা আমি এখনো মিস করি ।



ছবির ফুলটা অত্যন্ত ছোট কিন্তু । খুব কাছ থেকে নেয়া ।

আমার এই ব্লগ গুলোর নাম যেহেতু জীবনের নানা রঙ, তাই আলোর খেলা থাকবে এটাই স্বাভাবিক । এই ছবিটি দেখুনতো কেমন লাগে ?



এই ছবিটা তুলেছি ঈদের রাতে । ঈদ উপলক্ষে বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী একটি বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল । তারই আলো পড়েছে বুড়িটার কালো জলে । কি অদ্ভুত সুন্দর জলের কোলে আলোর নাচন, তাই না ?

আশা করি আপনাদের ছবি ব্লগ ঘুরে আসতে ভাল লাগল । দেখতে দেখতে শেষ ছবি ব্লগ । যাবার আগে একটা খোলা ফসিল মাঠের ছবি দিয়ে গেলাম । সাথে ফ্রি একটি গান



উৎসর্গ : আমার যৎসামান্য ফটোশপ জ্ঞান যা কিছু আছ, তার সবই আরিফ ভাইয়ের কাছ থেকে শেখা (ব্লগের কেউ না) । আমার অফিসের বিরস সময়টা আরিফ ভাইয়ের সাথে ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং বিষয়ে আলাপ করতে করতে খুব ভাল কাটত । শেষ দিকেতো খুব মজাই হত । কিন্তু উনি চলে গেলেন অন্য একটা জবে । মিস ইউ আরিফ ভাই । আপনাকেই উৎসর্গ । ভাল থাকুন আর ফটোগ্রাফির সাথেই থাকুন ।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৪
৫৮টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×