ক/ হেমলক
শঙ্কাহীন অন্ধকার
আমাকে গ্রাস করবার আগে
আমি চুমুক দিয়ে পান করি, নির্ভাবনার বীজমন্ত্র!
হে বিষাদ!
করুণ সৌম্য বিষাদ-
মেঘের কপালে আদরের তিলক আঁকার আগে
আমাকে দিয়ে যেও যথেষ্ট হেমলক।
খ/ ডুবসাঁতার
যে পাথরে মাথা রেখে নিদ্রাযাপন,
তার গায়ে বেদনার আঁচড় কেটে
কি লাভ প্রিয়ন্তিকা?
আহত পাথর বলে না কখনো
কোন ক্ষতে
কালো গোলাপটি ঝরে যায়,
অসহ্য রৌদ্রের মদ পান করে! আমি আজ
অলৌকিক আলোর পুজোয়
অন্ধকারে দেই ডুবসাঁতার
তুমিতো নক্ষত্র, তোমার কেন অন্ধকার এত প্রিয়?
গ/ আলেয়া
চিবুকে প্রেমের আলেয়া একে
সে মিলায় বালিহাঁসের পশমি পাখনায়...
পেছনে রক্ত ও মুকুট!
এ জন্ম পার হল
পাথরের খাঁজে লেখা,
অনামিকা ও আংটির উপাখ্যান খুঁজে;
অথচ, সময়ের নেই কোন নিজস্ব আলো।
জানেনা জন্মান্ধ মন...
খুঁজে যায় শাদা পার্চমেন্ট সকাল!
ঘ/ ইকারুস
একদিন ঘুম ভেঙে, আয়নায় চোখ রেখে
নিজেকে আবিষ্কার করি ঘাস ফড়িঙের চঞ্চলতয়...
সূর্যসঙ্গমের অমীমাংসিত শিহরণে
উড়ে যেতে যেতে ঘাসের সমুদ্র ছেড়ে আগুন আকাশে
আমি উপলব্ধি করি, মোমডানারা কেমন
গলে যাচ্ছে অসহ্য সুখে, আমি বোধহয়
আরেক ইকারুস!
ফুট নোটঃ এগুলো কয়েকটি পঙক্তিমাত্র, কবিতা বলা উচিত হবে না।
উৎসর্গ: খলিল মাহমুদ ( সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই) ব্লগ নিয়ে লোকটার যে উচ্ছ্বাস, তার মূল্যায়ন এ জন্মে ব্লগ করতে পারলে উনি বোধহয় আর কিছু চাইবেন না ব্লগের কাছে। শুভকামনা ও প্রশংসা উনার ব্লগজীবনের।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৮