যে Mango বা Orange Juice খাওয়ার জন্য বাচ্চারা বায়না ধরে থাকে সেগুলো কি দিয়ে তৈরি হয় তা আমরা বার বার জানি এবং তারপরেও খাই। কারণ খাবার কিছু নাই । ফলের জুসের কথা বলা হলেও বাস্তবে ফলের কোন ছাল-চামড়াও এসব ফ্যাক্টরীতে পাওয়া যায় না ।
গত কয়েকদিন আগে RAB -10 এবং বিএসটিআই সহযোগে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় এক অভিযান চালিয়ে এসব দেখে।
কোন ধরণের ফ্রুট পাল্প ছাড়া ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করছে ফলের জুস ও অন্যান্য শিশুখাদ্য।
এজন্য মালিক ও ম্যানেজার সহ ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে ১৫ দিন থেকে ২ বছর কারাদন্ড এবং ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ফ্যাক্টরীও বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
------------------------------------------------------------------
এটি আগেও ধরা পড়ে জড়িমানা দিয়েছিল। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন করতে গেলে বিএসটিআই-এর অনুমোদন প্রয়োজন হয়। অনুমোদন কোম্পানিটির ছিল তারপরও জেল জড়িমানা হয়েছে। সব ধরণের খাবারে নানারকম ভেজাল মেশানো হয়। ধরা পড়ে এবং জেল- জড়িমানা দিতে হয়। আবার সেসব উৎপাদন বিক্রি চলতে থাকে।
ভেজাল মেশায়, উৎপাদন চলে, বিক্রি হয়, হঠাৎ ধরা পড়ে জেল জড়িমানা মাস্ট। আবার উৎপাদন শুরু হয়, আবার বাজারজাত করা হয়, অনেকদিন পর আবার ধরা পড়ে। যেখানে ধরা পড়ে সেখানকার কারখানাটি সীলগালা করা হয়। নিরীহ কর্মচারীকে খাটতে হয় বেশ কয়েক বছর জেল ।
মানুষ সেসব খায় এবং দিনে দিনে অসুস্থ থেকে অসুস্থতর হয়। সরকারী হাসপাতালে সীট নেই, ডাক্তার কম। প্রাইভেটে চিকিৎসা নিতে হবে। নেয়। ক্লিনিক ওই খাদ্য-কোম্পানিরই আছে। ওদিকে খাবার উৎপাদন বাজারজাত করা এবং পূঁজিপতি হওয়া। এদিকে অভিজাত ক্লিনিক দিয়ে মানুষের সেবা করা এবং পুঁজিপতি হওয়া।
দেশের বিরাট সেবাও হচ্ছে শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে। ভেজাল মেশায় মানুষ। বাজারজাত করে মানুষ। মুনাফা সংগ্রহ করে মানুষ। পুঁজিপতি হয় মানুষ। ক্লিনিকে সেবা দেয় মানুষ। অসুস্থু হয় মানুষ। পুঁজিপতি হয় মানুষ। তাই রাস্তাঘাটে শুধু মানুষ আর মানুষ। আমরা সবাই ভাই ভাই মিলেমিশে মরতে চাই।
------------------------------------------------
ভাগ্যের ফেরে বছর পাঁচেক দৈনিক পত্রিকায় চাকরি করতে হয়েছিল। সেসময় পশুপাখির দেহে রাসায়নিক ওষুধের প্রয়োগ এবং মানুষের দেহে তার প্রতিক্রিয়া বিষয়ে দীর্ঘদিন অনেক পর্ব লিখেছিলাম। যুগ-যুগান্তর যেসব লিখে কোন লাভ নেই, কিছুই পাল্টায় না। যাইহোক তখন এসব খাবার বিষয়ে গবেষণার দূর্ভাগ্যের সুযোগ ঘটে। দেশে খাদ্যদ্রব্যে যে পরিমান ভেজাল মেশানো হয় তা পরীক্ষার জন্য সাইন্সল্যাব ছাড়া আর তেমন কোন প্রতিষ্টানও নেই। যারা এসব ভেজাল মেশায় তাদের শাস্তির সাথে রাষ্ট্রের পরীক্ষার এবং যে জনবল দিয়ে তা ধরা হয় তার খরচ অবশ্যই যুক্ত করা উচিত। তাছাড়া এই ভেজালের দ্বারা যত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ক্ষতিপূরণসহ জড়িমানা এবং শাস্তির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এভাবে আইনের প্রয়োগ করলে এসব বন্ধ হতে বেশী দিন লাগবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭