somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ কেটে আনি জল

০৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রামের মাঝখান দিয়ে সমস্ত গ্রামটাকে বিভক্ত করে নদীর মত এঁকেবেঁকে রেল লাইনটা বয়ে গেছে । সমান্তরাল বয়ে যাওয়া লৌহদন্ডের ফাঁক গলে দুরে দৃষ্টি দিলে দুপুরের তপ্ত রোদে চোখে কী এক বিভ্রম, মায়া জাগে। কী এক অপূর্ব মরিচিকা দৃশ্যমান। ধূ ধূ বালুর মত তপ্ত রোদে রেল লাইন জ্বলজ্বল করে। মনে হয় কুয়াশার স্বচ্ছ জাল বিছিয়ে মাইলের পর মাইল কুলু কুলু ভরা নদী বয়ে যায়। ঝাপসা চোখে তাকিয়ে মনের গহীন থেকে একরাশ শূন্যতার হাহাকার জেগে উঠে । কখনো আনমনে হেঁটে যাওয়া দুর গ্রামের কোন এক অচেনা পথিকের ছায়া ছায়া অবয়ব, কখনো রেল দন্ডের উপর পা স্থির রেখে দস্যি ছেলেদের অপূর্ব কলা কৌশল দেখা যায়।
তোরাব আলী নির্জন দুপুরে নাওটি রেল স্টেশনে বসে আছে। তার বুকের ভেতরে একটা ভারী পাথর চাপায় কতগুলো দু:খ ছিলো। দস্যি ছেলের এক রেলের উপর দিয়ে কৌশলী হাঁটা দেখে সব দু:খবোধ স্রোতের তোড়ে ভেসে গেলো। সে একমনে কৌতুহল নিয়ে ছেলেটির ক্রীড়া দেখছে আর তার মুখ জুড়ে হাসির রেখা বিস্তৃত হচ্ছে।

সমস্ত স্টেশনটা মনুষ্যবিহীন খাঁ খাঁ করছে। সব সাকুল্যে এখানে এই মুহুর্তে চারটা প্রাণী আছে। ছমেদ গার্ড টুলের উপর বসে দেয়ালে হেলান দিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। আহারে! মনে হচ্ছে লোকটা এত আমোদ করে কতদিন ঘুমায় না! কিন্তু এটাই ছমেদ গার্ডের বদ খাসলাত। এই চোখ নিভেছে তো মুহুর্তের মধ্যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে ডুবে গেছে। আর সাড়া শব্দ নেই। দুনিয়ার এপিঠ যদি উল্টেও যায় তাতে তার কিছু আসে যায় না। তার পাশে একটা গেঁয়ো কুকুরও ছায়ার কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। মানুষ আর কুকুরের এমন সুন্দর সহাবস্থান দেখে তোরাব আলীর বড্ড ভাল লাগলো।

স্টেশনের ভিতর আর একটা মাত্র প্রাণী আছেন। তিনি স্টেশন মাস্টার। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুরের অন্যকোন স্টেশন থেকে সিগন্যালের আশায় প্রহর গুনছেন। আর খটখট টেলিফোন ডায়াল করে অনবরত হ্যালো... হ্যালো করে যাচ্ছেন। ও পাশ থেকে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তোরাব আলী তার পাশে থাকা প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে এক গ্লাস পানি ঢাললো। তারপর গড়গড় করে খেয়ে নিলো। ছমেদ গার্ড নড়েচড়ে উঠলো। আড়মোড়া ভেঙে একটু জেগে উঠে বললো,
-আমারেও এক গেলাস দিও।
তোরাব আলী গ্লাস এগিয়ে দিল। চোখ বন্ধ রেখেই ছমেদ গার্ড গ্লাসের সবটুকু পানি নি:শেষ করে ভেজা ঠোঁট মুছতে মুছতে বলল, এভাবে আর কদ্দিন মিঞা ? এইভাবে চলে ? এইবার অন্য কিছু করার চেষ্টা তদবির করো। এই দিয়া আর কত চলবা।
তোরাব আলী কোন কথা বলে না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে দুরের রেল লাইনের অস্বচ্ছ মায়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। ছমেদ গার্ডের কথায় তার মনটা আবার বিষাদে ভরে গেল। জীবনটা তার কাছে অর্থহীন তুচ্ছ মনে হতে থাকে। ছমেদ গার্ড সব সময় তোরাব আলীকে তার পেশা নিয়ে খোঁচা দিয়ে কথা বলে। এটা তার ভাল লাগে না।

তোরাব আলী পানি বিক্রেতা। ট্রেন থেকে ট্রেনে ছুটে পানি বিক্রি করে। মানুষকে জলসেবা দেয়। এই স্টেশনের মাস্টার তাকে জলসেবক বলে ডাকেন। জলসেবক নামটা শুনতে তার ভালই লাগে।
পানি বিক্রি করা আয় দিয়েই তার সংসার চলে। তিন কন্যার বড় দুটোই পালিয়ে বিয়ে করেছে। ছোটটার গায়ের রঙ কালো ছিলো । কোন রকম জমি জিরাত বেচে সেটাকে পার করা গেছে। একমাত্র ছেলেটা অচল,লুলা। নিচের দিক চিমসানো। সমস্ত দিন জলসেবা দিয়ে যা দুই পয়সা আসে এই নিয়ে বাড়ি ফেরে কুঁজো জলসেবক। তার পথের দিকে চেয়ে থাকে অসুস্থ বৃদ্ধা স্ত্রী আর অক্ষম ছেলে।

একসময় তোরাব আলী বাজনার দলে খঞ্জনী বাজাতো। তেমন পয়সা কড়ি পাওয়া যেত না। দলের অন্যরা তাকে পাত্তা দিতোনা। বলতো- খঞ্জনী কী আর এমন বাদ্য। ঢোলের বিকট শব্দের কাছে হারিয়ে যাওয়া এই যন্ত্রটা সবার কাছে তুচ্ছ হাস্যকর ছিলো। তোরাব আলী নীরব থাকতো। যৌবনকালে কতই না শক্তির কাজ করেছে । আজ তার সেসব মনে পড়লে চোখের কোণ ভিজে উঠে। তার জীবনটা তুচ্ছ হয়েই কেটে যাচ্ছে। কখনোই সে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেনি। এই তার সমস্ত জীবনের আক্ষেপ। নিজেকে নি:সঙ্গ খঞ্জনীবাদক মনে হয়। মহাকালের সীমাহীন দ্রুত সময়ের কাছে তুচ্ছ একজন তোরাব আলী।

-তোরাব আলী! এক কাম করো মিঞা, বাদাম বুট বেছো। নইলে বড় ইস্টিশনে মাইনষে যেরম মিনারেল পানি বেচে হে কাম ধরো। ধরো... ট্যাকা দিলাম আমি আর তুমি বেছলা। যা লাভ অয় তিন ভাগের দুই ভাগ তোমার, একভাগ আমার। ছমেদ গার্ড আরেকবার ঘুমঘোর থেকে চোখ মেলে প্রস্তাব করলো।
-ভাইবা দেহি। গতরেতো বল পাই না। আগের মতন কুলায় না। তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে তোরাব আলী বলে উঠলো-বড় সাবতো কইলেন উনিই আমারে পুঁঞ্জি দিবেন। দিনে দিনে উনারে শোধ দিমু।
-হুম তাইলে ত ভালাই- রাজ্যের বিরক্তি একত্র করে ছমেদ গার্ড বললো। মাস্টরের কি আর ট্যাকার কসুর আছে-বলে তার নিজের লুকানো লেঙ্গট পরখ করে রাখলো। ছমেদ গার্ড লেঙ্গটের ভেতরে টাকা রাখে। তারপর আবার দেয়ালে মাথা ঝুলিয়ে দিয়ে ছমেদ গার্ড চোখ বন্ধ করে বললো,
-দুপারে কিছু খাইছো?
-রমিজের দোকান থেইকা মুড়ি কিন্না খাইছিলাম। আমার পেটে অত ক্ষিদা অয় না। তোরাব আলী ম্লান হেসে জবাব দিলো।
-হুম, রমিজের দোকান ত বন্দ। মুড়ি কিনলা কহন?
তোরাব আলী কোন উত্তর করলো না। পানির ড্রামটাকে ছায়ার দিকে ঠেলে দিয়ে বসলো। এতক্ষনে ড্রামের উপর রোদ এসে গেছে। যে গরম পড়ছে তাতে ড্রামের পানি সেদ্ধ হবার জোগাড়। কোন কাস্টমার সেদ্ধ পানি খেতে চাইবেনা। ট্রেন আসার আরো কিছু সময় বাকি আছে। মাস্টার সাহেব এখনো অনবরত টেলিফোনে হ্যালো হ্যালো করেই যাচ্ছেন।

তোরাব আলী উঠে দাঁড়ালো। তার প্রস্রাবের বেগ বেড়েছে। এই বয়সে এটা ধরে রাখা যায়না। স্টেশনের পাশে পুকুর পাড়ের দিক হাঁটা ধরলো। পুকুরটা গতকাল সেচা হয়েছে। রহমান মাতুব্বর লোক লাগিয়ে বিশাল বিশাল মাছ ধরে নিয়েছে। তন্ন তন্ন করে খুঁজে মেনি মাছটা পর্যন্ত আর বাকি রাখেনি।
মাতুব্বরের লোকজন যেতে না যেতেই হৈ হৈ করে গ্রামের ছেলে বুড়ো সব প্যাঁক কাদায় নেমে গিয়েছিলো টোকানো মাছ ধরতে। তোরাব আলী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিলো।
পুকুর পাড়ে প্রস্রাব সেরে তোরাব আলী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে রইলো। হঠাৎ তার নজর গেল পুকুরের মধ্যখানে। প্যাঁক কাদাটা যেন নড়ে চড়ে উঠলো। বুড়ো দৃষ্টিকে যথাসম্ভব স্পষ্ট করে তোরাব আলী আবার তাকালো। না, একটা কিছু নড়ছে ! কিন্তু এ বেলায় তার প্যাঁকে নামতে ইচ্ছে হলো না। আবারও জিনিসটা নড়ে উঠলো। এবার সে লুঙ্গি কোঁচা মেরে নেমে গেল। গভীর খাদে গিয়ে জিনিসটাকে তুলে আনলো। একটা শোলের বাচ্চা। যেভাবে নড়াচড়া করছিলো মনে হচ্ছিলো বড় মাছ। তোরাব আলী মাছটা কোমরে গুঁজে চারপাশে আরো কিছুক্ষণ কাদা ঘাটলো। আর কোন সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। একটা কাঁকড়া দেখা গেল। খুব সাবধানে কাঁকড়াটাকে হস্তগত করে আছাড় মারলো পাড়ের দিকে। কাঁকড়া ভেজে খেতে অনেক মজা লাগে। তোরাব আলী উঠে আসলো। এদিকে ট্রেন আসার প্রায় সময় হয়ে গেছে। ছমেদ গার্ড পতাকা হাতে নিয়ে লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে গেছে। আর দেরি নেই।

এই স্টেশনে দিনে তিনটা ট্রেন থামে। একটা সকাল আটটার দিকে । আরেকটা সাড়ে এগারটায়। শেষ ট্রেন ধরে দেড়টায়। তোরাব আলী সকালে আসে না। এত সকালে কেউ পানি খেতে চায় না। দুপুরের রোদ বাড়ার সাথে সাথে পানির চাহিদা বাড়ে। তাই শেষের দুটো ট্রেনেই সে জলসেবা দেয়। আজকাল লোকে বাইরের পানি খেতে চায় না। বাবু সাহেবরা বোতল ভরা পানি খায়। সেগুলোর নাম নাকি মিনারেল ওয়াটার। তবে মাঝে মাঝে কেউ করুণা করে তার থেকে কেনে। দুপুরের দিকে শেষ যে ট্রেনটা,সেটাতে বাবু সাহেবরা তেমন চড়েন না। এই ট্রেনে বেচাবিক্রি ভাল হয়। মাঝে মাঝে এই স্টেশনে ক্রসিং থাকলে সেদিন বিক্রি বাট্টা বেড়ে যায়।

পানি বিকিয়েই তার জীবন। ছোট কাজ হলেও তোরাব আলীর এই নিয়ে তেমন কোন আক্ষেপ নাই। জলসেবা বিরাট পূণ্যের কাজ বলেই জ্ঞান করে সে। কত তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ করে। তারা দোয়া না করলেও তাদের রুহ তার জন্য দোয়া করে- এই ভেবেই ক্ষুদ্র কাজটা করতে তোরাব আলীর আনন্দ। একদিনের কথা মনে পড়ে। তোরাব আলী শেষ একটু পানি নিয়ে একটা বগিতে উঠেছে। ট্রেন প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। এমন সময় একজন লোক মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলো। সবাই লোকটাকে ধরে শোয়ালো। পানি পানি বলে সবাই খোঁজাখুঁজি করছিলো। কিন্তু কারো কাছেই পানি ছিলো না। তোরাব আলী সবেমাত্র নামার জন্য উদ্যত হচ্ছিলো। আওয়াজ পেয়ে সে পিছনে ফিরে দেখলো সবাই লোকটাকে ঘিরে আছে। তখন তোরাব আলী পানির ড্রাম নিয়ে এগিয়ে গেল। এই নেন পানি। সেদিন লোকটার প্রাণ বাঁচাতে পেরে তোরাব আলীর মনে হচ্ছিলো সে জগতের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কাজটিই করে। ওইদিন ট্রেন ছেড়ে দেয়াতে আর নিজের স্টেশনে পর্যন্ত নামতে পারেনি।

-কী মিঞা কোমরে কী? পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছমেদ গার্ড তোরাব আলীকে প্রশ্ন করলো।
তোরাব আলী সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলো-মাছ।
-অ..মাতুব্বরের খাদেরত্তন পাইছো বুঝি? কী মাছ?
-হোল মাছ। পুইচকা।
-যাক বত্তা বাইটা খাইতে পারবা তো। বুড়িরে কইবা মরিচ দিয়া ঝাল ঝাল কইরা বাইটা দিতে। হোল মাছ কঠিন ঝাল না অইলে বত্তা মজা অয় না।

দুরে আবছা আবছা ট্রেন দেখা যাচ্ছিলো। ছমেদ গার্ড পতাকা ঘোরাতে লাগলো। তার মানে গাড়ি থামাতে হবে। তোরাব আলী ড্রামটা কাঁধে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। এতক্ষণে বাদামওয়ালা রমিজ আর ডিমওয়ালা মনির এসে পড়েছে। ঝালমুড়ি বিক্রেতা রইশ্যা ও এসেছে। ট্রেন এসে স্টেশনে থামলো । রমিজ আর তোরাব আলী হৈ হুল্লুড়ের মধ্যে এক বগিতে উঠলো। মনির আর রইশ্যা অন্য বগিতে। সবাই যার যার বিকিকিনিতে ব্যস্ত । কিন্তু তোরাব আলীর পানির দিকে কেউ ফিরে চাইলো না। সে এইই পানি এইই পানি' বলে চেঁচাতে লাগলো। যাত্রীদের অনেকে ব্যাগের ভিতর থেকে মিনারেল ওয়াটারের বোতল বের করছে। তোরাব আলী এক পাশে সরে গেল।
-ছার পানি খাবেন?
লোকটা মাথা নাড়লো।
- ছার এগুলান চাপকলের পানি। আর্সেনিক মুক্ত ছার। কুনু ময়লা নাই। নেন এক গেলাস।
লোকটা আবারও মাথা নাড়লো। সে তবুও দমে গেল না।
-ছার মিনারেল অটারের বতলের ভিতরে নাকি পঁচা মাছ পাওন যায় তেইল্লাচুরা থাহে। এই পানি এক্কেরে টলটলে। খাইয়া শান্তি পাইবেন।
অনেক কথা বলার পর লোকটা কিছুটা কৌতুহলী হলো। চশমার ফাঁক গলে চোখ দুটো বের করে বললো, গ্লাস কত?
-ছার আমি পানি বেচি না। জলসেবা দিই। খোদা তালার পানি কী আর দাম দিয়া বেচন যায়? তয় আপনে খুশি অইয়া যা দ্যান খুশিমতে নিমু।
লোকটার কৌতুহল মনে হয় দমে গেল। হাত বাড়িয়ে বললো, না না লাগবেনা। তুমি যাও। অন্য দিকে দেখ বিক্রি করতে পারো কি না। তোরাব আলী অন্য বগিতে গেল। একজন মা তার বাচ্চাকে রুটি খাওয়াচ্ছেন।
-মা,পানি লাগবো? বাচ্চাডার গলায় রুটি আটকাইছে মনে লয়। কেমুন উসখুশ করতেছে। পানি?
-কী আজেবাজে বকছেন! গলায় রুটি আকাইছে মানে? যান এখান থেকে!
..................................
.............................
....................
হুইসেল বেজে গেল। তোরাব আলী ব্যর্থ মনোরথে ট্রেন থেকে নেমে আসলো। ধীর পদক্ষেপে। ছমেদ গার্ড পতাকা দোলাতে দোলাতে বললো,
-বেচাবিক্রির খবর কী?
তোরাব আলী কোন উত্তর করলো না। সে প্লাটফর্মের এক কোণে বসে ড্রামের পানি মাথায় ঢালতে লাগলো। ভয়ানক রোদ পড়েছে। খোদা তার রিজিক এই ট্রেনে রাখেননি-ভেবে তোরাব আলী তুষ্ট থাকলো। ড্রামের সমস্ত পানি মাথায় ঢালা শেষ হওয়ার পর দিনের শেষ ট্রেন চলে যাওয়ায় বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলো। আজকে সব মিলিয়ে তার বাইশ টাকা বিক্রি। চালের কেজি কত যেন! তোরাব আলীর মনে আসছে না। তার কোমরে আছে একটা বাচ্চা শোল মাছ আর একটা কাঁকড়া। তোরাব আলী রেল লাইন ধরে হাঁটতে লাগলো। সামনে ঝড়ের বেগে আরেকটা মেইল ট্রেন ছুটে আসছে। লৌহদৈত্যটা অনবরত হুইসেল বাজিয়ে চলেছে। তোরাব আলী কর্ণপাত করলো না।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫১
৭৪টি মন্তব্য ৭৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×