somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জ্বীনের সাথে কিছুক্ষন (শেষপর্ব)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতদিনের পরঃ
আগেই বলে নেই আমি একা একাই একরুমে মেঝেতে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ছিলাম । নামাজের একাগ্রতা বৃদ্ধির জন্য আগেই লাইট অফ করে দরজা ভীতর থেকে লক করে রেখেছি । যাতে কেউর উপস্থিতিতে একাগ্রতা ও মনোযোগ নষ্ট না হয় ।
নামাজ শেষ করে নির্দিষ্ট দোয়াটি ৭ বার পাঠ শেষ করে মুনাজাত শুরু করলাম । পূর্ণ আবেগ নিয়ে চোখের পানি ফেলে নিজের পাপকর্মের কথা স্বরন করে দয়াময় প্রভূর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আর রোগমুক্তির জন্য তার কাছে সাহায্য চাচ্ছিলাম । মুনাজাত শেষ হতে না হতেই ঘরের মধ্যে হঠাত্‍ ধপ করে একটা শব্দ ও দমকা হাওয়া অনুভব করলাম । হাওয়াটা ঠিক আমার শরীরে এসে লাগলো । পুরো ঘর যেন মুহুর্তেই শীতল আর সুগন্ধে ভরে উঠলো ।
প্রথমে ভাবলাম জানালা হয়তঃ খোলা আছে । আর আবহাওয়া মনে হয় খারাপ হয়েছে । ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে হয়তঃ ।
কিছুক্ষনের মধ্যে আমার ধারনা মিথ্যে হলো । আমি রুমের মাঝে একটি কন্ঠ শুনতে পেলাম ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
কন্ঠ শুনে চোখ খুললাম, এবং দেখতে পেলাম আমার সামনেই একটি অগ্নীময় আলোকজ্জল একটি অজগর সাঁপ । সাঁপটির সারা শরীর জলজল করে জলছিল । যেমনটা কাঁচের মার্বেল এ আলো পড়লে দেখায় । সাঁপটি লম্বায় ৬ থেকে ৭ হাত হবে এবং অনেকটা মোটাসোটা ।
এমন অবস্থা একজন সূস্থ্য সবল সাহসী ব্যাক্তির সামনে ঘটলে যতটা ভীতিকর ও ভয়ংকর হতো, আমার ক্ষেত্রে ঠিক ততোটা কেন জানি হয়নি । তবুও নিজেকে মনে হচ্ছে যেন শূন্যে ভাসছি । মাথা ঘুরছে ভীষন, যে কোন মুহূর্তে জ্ঞান হারাতে পারি । ভয়ে হার্টবিট থেমে যাচ্ছে মনে হচ্ছে । সারা শরীর ঘেমে যাচ্ছে অনবরতঃ । স্বাপটি আমাকে কয়েকবার ছালাম দিলো । আমি সালামের জবাব দেওয়াতে উনি কিছুক্ষন সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহু আকবার বলে জিকির করতে লাগলেন এবং আমাকেও তার সাথে পড়তে বললেন । আমি ভয়ে ভয়ে তার সাথে সাথে আল্লাহর জিকিরে মন দিলাম । উনি আমাকে প্রথমে অভয় দিলেন এরপর উনার পরিচয় দিলেন । এতে আমার শরীর ভয়ে কাঁপছিলো সত্য কিন্তু কথা বলতে পারছিলাম যদিও গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়েছিল । উনি আমাকে আমাকে আমার রোগের আদিঅন্ত সব বললেন । কি কি ট্রিটমেন্ট নিয়েছি সব । উনি আমাকে বললেন আমি কিছুক্ষনের জন্য যাচ্ছি । একটু পরেই আবার আসবেন তাতে যেন ভয় না পাই এবং তার জন্য যেন অপেক্ষা করি । বলেই চোখের সামনে থেকেই ধপ করে অদৃশ্য হয়ে গেল ।
আমি রুমে আবার একা হয়ে একমনে তার জন্য অপেক্ষা করছি । ৩ থেকে ৪ মিনিট পর আবার ধপ করে শব্দ ও দমকা হাওয়া এবং সালাম শুনতে পেলাম এবং দেখতে পেলাম আমার চোখের সামনে সেই সাঁপটিকে ।
আমি সালামের জবাব দিলাম । উনি আমাকে বললেন আমি এইমাত্র ফিলিস্থিন থেকে একটি ঔষধ তোমার জন্য নিয়ে এসেছি । একটি অদৃশ্য হাত দিয়ে সেটা আমার হাতে দিলেন এবং বললেন ইনশাল্লাহ এটার সাথে আমলকী, হরতকী, এবং বহেড়া প্রত্যেকটা হাফকেজি করে নিয়ে ভাল করে শুকিয়ে ঢেকিতে গুড়া করে ঐ ঔষধটা এর সাথে মিক্সড করে প্রতিদিন রাতে এক চামচ ঔষধ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালি পেটে ঐ পানি ছেকে খেতে হবে । ইনশাল্লাহ আল্লাহ এতে আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন । উনি আমাকে সবধরনের এলোপেথিক (যে ঔষধগুলি চলছিল) তা খেতে নিষেধ করলেন । এছাড়াও আরও কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধের নাম বললেন । এবং ওগুলো কোথায় পাওয়া যাবে তাও বলে দিলেন । আরো অনেক কথা হয়েছে যা উল্লেখ করছিনা ।
সবশেষে যাওয়ার আগে একটি অদৃশ্য খসখসে অনুভূত হাত আমার মাথার উপর রেখে কিছু পড়ে মাথায় ফুঁ দিলেন । আমি সেটা হালকা ফু এর বাতাসে বুঝতে পারলাম । এরপর তিনি আমাকে তার সাথে আল্লাহর জিকির করতে বললেন । জিকির করতে করতে আবারো উনি সালাম দিয়ে ধপ করে অদৃশ্য হয়ে গেলেন ।
আমি কিছুক্ষনের জন্য থমকে গেলাম এটা হ্যালুসিলেশন ভেবে । কিন্তু নিশ্চিত হলাম এটা হ্যালোসিলেশন নয়, তার দেওয়া ঔষধটা আমার হাতে দেখে ।
ওনার দেওয়া ঔষধ সেবন করে আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি সম্পূর্ণ সূস্থ্য ।
আলহামদুলিল্লাহ ।
N.B: (এটা কোন কাল্পনিক গল্প নয়)
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×