একটি ঘটনা
এবং...
[এম এস রানা
গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও অভিনেতা নাদের খান। এর দিন দু’য়েক পরেই পদত্যাগ করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। শোনা যাচ্ছে আরো বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র শিল্পী এ সমিতি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করবেন।
একটু পেছন ফিরে দেখলেই এ ঘটনার কারণগুলো স্পষ্ট হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ সমিতির কমিটির মেয়াদ ২ বছর হলেও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি ২০০৪ সাল থেকে টানা ৪ বছর কার্যত্রক্রম পরিচালনা করছে। ফলে অনেকে শিল্পীর মনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ সমিতির বর্তমান সভাপতি মিজু আহমেদ অশ্লীল দৃশ্যসংবলিত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন একাধিকবার। ফলে তাকে নিয়েও অনেকের রয়েছে বিরূপ প্রতিত্রিক্রয়া।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন আতিকুর রহমান চুন্নু। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে নিয়ম অমান্য করাসহ শিল্পীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ।
এরই মাধ্যে এফডিসিতে বেশ কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে শিল্পী সমিতি উল্লেখযোগ্য কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সমিতির প্রতি আস্থাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই।
ফলে শিল্পীদের ব্যাপারে এ সমিতি জোরালো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কারণ, সমিতির বিরুদ্ধে শিল্পীদেরও রয়েছে অব্যক্ত নানা প্রশ্ন এবং কেউ কেউ এ সমিতি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
অথচ আমাদের চলচ্চিত্রের পালে এখন বদলে যাওয়ার হাওয়া লেগেছে। বদলের যাওয়ার এমন ক্ষণে শিল্পী সমিতির জোরালো ভূমিকা বড় দরকার। এফডিসিতে কি এমন শিল্পী নেই যিনি এ ক্রান্তিকালে হাল ধরবেন। সবাইকে বুঝিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তুলবেন। নিশ্চয়ই আছেন। সঙশ্লিষ্টদের বোধোদয়ের প্রতীক্ষায় চলচ্চিত্রপ্রেমীরা আজ অধীর হয়ে আছেন। আর এ সময়েই যদি সমিতি কার্যত নির্জীব হয়ে পড়ে তবে তা ব্যক্তিগত ক্ষতির চাইতে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৭