somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই যুদ্ধের নেতৃত্বে জনতা, তাই জামাতী প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন ব্লগে, ফেসবুকে এবং জামাত-শিবিরের মিডিয়াতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেস্টা করা হচ্ছে।

অপপ্রচার চালানোর অংশ হিসাবে - শাহবাগে মেয়েরা লা্ন্চিত হয়েছে, নাচগান ,অশীল্লতা চলছে, ইত্যদি নান রকম মিথ্যা প্রচারনা চালিয়েও যখন মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন কমছে না, বরং জনস্রোত প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে।তখন তারা নতুন করে এই আন্দোলনের নেত্বতৃত্ব নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি ছড়ানো শুরু করছে।

আবার কখনও বলছে দেশে আরও অনেক চলমান সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে আন্দোলনে কেন কিছু বলা হচ্ছে না? এবিষয়ে উত্তর হলো, যারা বিজনেস এর স্টুডেন্ড তারা জানেন '‘ First In First Out (FIFO)’ মেথড এর কথা। সো সেটাই এ্যপলাই করছি আমরা,আগের সম্যসা আগে মিটাবো তারপর এখন কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা পরে দেখা যাবে।

একবার তারা বলছে এটা সরকারের দলীয়/সংগঠনের লোকজন দিয়ে নাটক করছে। আবার বলছে বামপন্থীদের হাতে আওয়ামী লীগের নেতারা নাজেহাল হচ্ছেন।

কখনও বলা হচ্ছে বল্গারদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দন্দ চলছে।কখনও বা বলার চেস্টা হচ্ছে এই আন্দোলনের ক্রেডিট ছিনতাই করছে অমুক বল্গার, অমুক দল,অমুক ছাত্র সংগঠন, সরকার ইত্যাদি।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে জনগন , এখানে কোন নেতার বক্তব্য, কর্মসুচি কিংবা নির্দেশনায় চলছে না তারা। বরং সেখানে জমায়েত হয়ে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে নিজেদের মত করে স্লোগান, কোরাস, গানে তাদের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে।যে যে ভাষায়,যেভাবেই কর্মসুচিতে অংশ নিক না কেন তাদের দাবী কিন্তু একটাই 'যুদ্ধোপরাধীদের ফাসি' এবং 'জামাত-শিবির' মুক্ত বাংলাদেশ। সুতারং এখানে কোন নেতৃত্বের দন্দ, বিবাদ কোন কিছুরই ভিত্তি নেই।

এই আন্দোলনের সম্পুর্ন নেতৃত্ব জনতার হাতেই আছে, সুতারং তা ছিনতাইয়ের প্রশ্নই আসেনা। ভেবে দেখুন এখানে কোন নেতার নির্দেশনার দরকার হচ্ছে না, মানুষ নিজের মনের মত করে তাদের কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছে, কেউ তাদের বাধ্য করছে না কোন কিছু করতে বা বলতে।এটা প্রচলিত জনসভা বা কর্মসুচি নয় যেখানে একক নেতার নির্দেশনা মানার ব্যাপার আছে। আপনি ভেবে দেখুন আওয়ামী লীগ বা বিএনপির জনসভায় বা কোন কর্মসুচিতে কি এরকমভাবে যার যার মত করে শ্লোগান, কোরাস, বা গান গাইতে পারে কেউ। ধরুন শেখ হাসিনা বা খালেদা বক্তব্য দিচ্ছে ঐ সময় কি কেউ গান গাইতে পারে?
কিন্তু এটা জনগনের আন্দোলন তাই জনতাই তার নেতৃত্বে, এখানে আপনি মন চাইলে আসতে পারেন, যখন খুশি শ্লোগান দিবেন, কোরাস গাইবেন, যখন খুশি চলে আসবেন।

এটা সত্যিকারের গনআন্দোলন; তাই কে কি বললো, কার লাভ হচ্ছে ,কার ক্ষতি হচ্ছে এসব কিছু না ভেবে; চিন্তা করুন আমরা সবাই এই দেশেকে শত্রু মুক্ত করার আন্দোলন করছি, এখানে যে আমার পাশে আছে সে আমার সহযোদ্ধা, আমরা যার যার সামর্থ্য ও সুযোগ মত অংশ নিচ্ছি।আমাদের লক্ষ্য অর্জনই আমাদের একমাত্র চাওয়া। এখানে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নাই 'দাবী একটাই যুদ্ধোপরাধীদের ফাসি চাই'

পরিশেষে ধন্যবাদ ইমরান ভাই,অমি পিয়াল , আরিফ জেবতিক ও প্রীতম ভাই যারা মিডিয়াতে এই আন্দোলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।

পদটীকা:আর একটি বিষয়,একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানীদের সহায়তা করেছিল, তাদেরকে আমরা রাজাকার হিসাবে জানি এবং তাদেরকে যুদ্ধোপরাধী হিসাবে বিচার করা হচ্ছে। ঠিক তেমনি ২০১৩ এর এই যুদ্ধে যেসকল ব্যক্তি,প্রতিস্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন যুদ্ধোপরাধীদের পক্ষে কথা বলছে, সহায়তা করছে, সেই সব দালালদের কেও নব্য রাজাকার হিসাবে ভবিষত্যে বিচার করা লাগতে পারে।তাই এদের ব্যাপারেও তথ্য প্রমান রাখতে হবে, কে জানে ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়তো এদের বিচারের জন্যও আন্দোলন করতে পারে।
১২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×