১৯৪০ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যবর্তী সময়টিকে আমি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর স্বর্ণযুগ বলতে চাচ্ছি। কারণ এ সময়ে সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় জেনার ছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনী এবং প্রচুর পরিমাণে এ ধরণের কল্পকাহিনী রচিতও হয়েছে। সে সময়কার সাহিত্যিকদের মধ্যে ভাগ করা সম্ভব। কারণ তখনকার সাহিত্যিকদের মধ্যে সবার প্রভাব বর্তমান যুগে টিকে নেই। কারণ তখন বিজ্ঞান খুব একটা প্রসার রাভ করেনি। বিশেষত জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্বন্ধে আমরি কিছু কিছু জানতে পারছিলাম যা কৌতুহলের সৃষ্টি করলেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছিলনা। তাই তখনকার বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে স্কোপ ছিল অনেক বেশী। অনেকে নিজের ইচ্ছামত লিখতে পারতেন, ব্যাখ্যা চাওয়ার মত লোক ছিল খুবই কম। তখনকার চিন্তাধারাগুলোর মধ্যে ছিল:
১। ভিনগ্রহে মানুষের অস্তিত্ব
২। ভিনগ্রহে বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব
৩। বহির্জাগতিক প্রাণের জটিলতা
৪। মানুষের মহাকাশ ভ্রমণ (ব্যাখ্যাতীত)
৫। ইচ্ছামত বিবর্তনবাদকে সাজিয়ে নেয়া।
কিন্তু কালের বিবর্তনে এগুলো ক্ষয়ে গেছে। মানুষ মোটামুটি নিশ্চিত যে, ভিনগ্রহে কোন মানুষ নেই। মানুষ তো নেইই এমনকি নেই কোন প্রাণও। প্রাণ অবশ্য থাকতেও পারে। কিন্তু তার ক্ষুদ্রতম প্রমাণটিও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় সবাই ব্যাখ্যা চায়। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীকে কয়েকটি জিনিসকে ভিত্তি হিসেবে নিতে হয়:
১। মনুষ্যনির্মিত নভোযানের আলোর কাছাকাছি গতি অর্জন
২। শীতলীকরণের মাধ্যমে মানুষকে টেকনিকেলি ডেথ হিসেব অনেকদিন জীবিত রাখা ও প্রয়োজনমত আবার জীবিত করে তোলা যা ক্রায়োজেনিক্স পাঠের সূচনা ঘটিয়েছে।
৩। মহাজাগতিক সময় পরিভ্রমণ। ওয়ার্ম হোল একটি আশার কথা।
আসলে মহাবিশ্ব এতো বড় যে আমরা হতাশ হতে বাধ্য হয়েছি। শত চেষ্টাতেও তা পরিভ্রমণ করা সম্ভব নয়। আলোর গতিতে গেলেও কোটি কোটি বছর লাগবে। আর আলোর বেগ অর্জন করা তো তাত্ত্বিকবাবে অসম্ভব। তাই বিজ্ঞান কল্পকাহিনী এখন অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। আসিমভ এ ধারার একজন সফল উদ্যোক্তা। তার ফাউন্ডেশন সিরিজের কথাই ধরা যাক। ইতিহাসের সেরা সাইন্স ফিকশন সিরিজখ্যাত এই কাহিনী লাখ লাখ বছর পরে মানব সভ্যতার অবস্থা নিয়ে। সেরকম অবস্থায় মানুষ যেতেই পারে। সেখানে মুখ্য হয়ে উঠেছে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব ও বিকাশের পথ। বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হয়ে উঠেছে সূক্ষ্ণ থকে সূক্ষ্ণতর। সাথে এসেছে ডেভিড ব্রিন, আর্থার সি ক্লার্ক বা হাইনলাইনের মত ব্যতিক্রমী সাহিত্যিকদের অবদান।
আলোচিত ব্লগ
মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

মজার বিষয়—
আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
সাময়িক পোস্ট

ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে গুলি করলো কে?
হাদিকে গুলি করলো কে?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।