এসটিএফসি'র একক সিদ্ধান্তে এমনটি হয়েছে। সে দেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন এবং কোন রকম আলোচনা না করেই এ ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির রৌয়ান-রবিনসন যুক্তিযুক্ত কিছু মন্তব্য করেছেন। কারণ আগামী বছরই হার্শেল ও প্লাংক নামে যুক্তরাজ্যের দুটি সাব-মিলিমিটার তরঙ্গ মিশন রয়েছে যার জন্য উত্তর গোলার্ধে একটি ৮ মিমি দুরবিন অত্যাবশ্যকীয়। এছাড়া স্পিটজার, এক্সএমএম-নিউটন এবং চন্দ্র মানমন্দিরের যে মিশনগুলোতে যুক্তরাজ্য যুক্ত সেগুলোও বাঁধাগ্রস্ত হবে। তারা বলেছেন, পৃথিবীতে মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই এখন যুক্তরাজ্যের স্থান। এ ধরণের সিদ্ধান্ত তাতে প্রভাব ফেলবে কারণ জার্মানি এবং ইতালি তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে দ্রুত।
এসটিএফসি এ ধরণের সিদ্ধান্তের পেছনে তাদের বাজেট ঘাটতির কথা উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, এ বছরের বাজেটে তাদের ৮০ মিলিয়ন পাউন্ড ঘাটতি রয়েছে। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞান বাদ দিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন তারা। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই যুগে এ ধরণের মনোভাবে আরও মর্মাহত হয়েছেন। তারা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে অবিলম্বে এসটিএফসির বাজেট বৃদ্ধি করে সমস্যার সমাধান করা হয় এবং এই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়ার কথা চিন্তা করে। কারণ এই যুগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের গুরুত্ব কিছুতেই অন্যগুলোর চেয়ে কম হতে পারেনা। উপরন্তু সকল জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় তারা বিস্মিত হয়েছেন, কারণ যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এমনটি খুব একটা হয়নি।
সূত্র: http://www.astronomynow.com/news/071116gemini/