এক তরফা বিচারে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রথম থেকেই লাপাত্তা, তার অনুপস্থিতিতে বিচার খানা তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছে। কোন প্রকার বিরোধীতা হবেনা সরকার আগে থেকেই জানে, কেননা তার পরিবারের কেউ এই বিচারের কোন পক্ষ হয়নি, হয়ত তারা ধরে নিয়েছিলেন তারা সুবিচার পাবেন না। তারা আরো ধরে নিয়েছিলেন যে, আল্লাহ ব্যতীত ফরিয়াদ শুনার কেউ নেই।
অনেক বিষেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ট্রাইবুনাল করে বিচারের কাজকে শটকার্ট করার যে প্রক্রিয়া বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। তা একবার প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে, ভবিষ্যতে আরো বহু বড় বড় নেতাকে এর নির্মম শিকারে পরিনত হতে হবে। কেননা যে সমাজে, বৈষয়িক স্বার্থের লোভে মানুষ একে অপরকে ফাসিয়ে দিতে সামান্য কুন্ঠাবোধ করেনা, সে সমাজে এর ফল হয় মারাত্মক।
যাই হোক, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার চেয়ে শতগুন ভয়ঙ্কর কাজ করে যাচ্ছে, বর্তমানের ছাত্রলীগ। এই বিচার থেকে আওয়ামী নেতাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কেউ ইচ্ছা করলে ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের সাথে বুড়োলীগের নেতাদেরও রক্ষা পাবার উপায় নাই। কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য অপরাধীর প্রতি কারো অনুকম্পা থাকতে পারে না। তবে সরকারের মন্ত্রীরা যখন বলেন, কোন অপরাধী মানবতা পেতে পারেন না কিংবা পুলিশ ফুল নিয়ে আসে না। তাদের জানা থাকেনা তার পশ্চাতে কত বড় গভীর খাদ তার জন্য অপেক্ষা করছে। তাকে সেদিন তার কথাদিয়েই খোচা দিয়েই শায়েস্তা হতে হবে। কেননা ঘর পড়ে গেলে ছাগলেও নাকি মারায়। পৃথিবীর নির্মম সত্য, সবার ঘর একদিন পড়বেই।
আমি একটু বিশেষ কাজে নীলক্ষেতের রয়্যালে যাচ্ছি, উদ্দেশ্য কাচ্চি খাওয়াক
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬