ভূটান যেতে হয় ভারতের উপর দিয়ে। তাই ভারতের ভিসার জন্য ই-টোকেন নিলাম অনলাইনে। ৮ তারিখ নির্বিঘ্নে ভিসা এপ্লিকেশন জমা দেয়া হল। অন্যরাও ভিসার জন্য জমা দিল। শুধু আমাদের গ্রুপ মেম্বার সুজন মেহেদী জার্নালিস্ট এবং পাকিস্তান সফরের কারনে কিছুটা দেরীতে ভিসা পেল।
১৯-২১ টানা ৩ দিনের ছুটি ঘরে বসে কাটিয়ে ২২ তারিখ অফিস করে ৩ দিনের ছুটি নিয়ে রাতে হাপাতে হাপাতে রওয়ানা হলাম বাস কাউন্টারে। প্রায় একই সময় চলে আসল জিয়া, হিরন আর সুজন। রাত ৯টায় বাস যাত্রা শুরু করল বুড়িমারীর উদ্দেশ্যে।
ভোর ৬টায় বুড়িমারী পৌছে বর্ডারের কাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষা। আর এর মাঝেই চলল হালকা নাস্তাপর্ব আর আড্ডা। হানিফ বাসের লোকজন ১০০ টাকার বিনিময়ে ট্রাভেল ট্যাক্স, কাস্টমসসহ বর্ডারের ফর্মালিটি করে দিল। বাংলাদেশ বা ভারতে বর্ডার ক্রস করতে তেমন কোন বেগ পেতে হল না।
ভারতের বর্ডার চ্যাংড়াবান্ধা থেকে ১১০০ রুপি ভাড়া দিয়ে টাটা সুমো জীপে রওয়ানা হলাম ভারত-ভূটানের বর্ডার টাউন জয়গা। জয়গার ইমিগ্রশন খুব সহজে পার হলেও ভূটানের ফুন্টসলিং পেরোতে কিছুটা সময় লাগল। কারন আর নাইবা বললাম। বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারে নো ম্যানস ল্যান্ড থাকলেও ভারত-ভূটানের বর্ডারে এমন কোন জায়গা নেই। একটাই মাত্র গেট। তার একপাশে ভারত আর অন্য পাশে ভূটান। ভারতীয় আর ভুটানীরা অবাধে যাতায়াত করে এই গেট দিয়ে। ভাবতে খুব আশ্চর্য লাগে গেটের ঠিক ঐপার থেকেই ভূটানীরা তাদের নিজস্ব কালচার নিয়ে আছে। ভারতের কোন ছোয়াই তাতে নেই, শুধু বিদেশীদের সাথে হিন্দিতে কথা বলা ছাড়া। এখানে আমি একটি ছোট ভূল করেছিলাম তা হল দেশ থেকে ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে যাই নাই।
ফুন্টসোলিং থেকে থিম্পু যেতে ৬+ ঘন্টা লাগে। পাহাড়ী রাস্তা বলে সাধারনত সন্ধ্যার পর কম লোক ঐদিকে রওয়ানা হয়। আমরা ৫.৩০ টায় একটা জীপ আর ১টি কার নিয়ে রওয়ানা হলাম থিম্পুর দিকে। অন্ধকারের গা ছমছমে পথের গল্প করব আগামী দিন ইনশাল্লাহ।