আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইসলামকে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ অনেকেই করছেন। বিভিন্ন ধরণের ইসলামিক ওয়েবসাইট আছে যেখানে ইসলামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হচ্ছে। এসব সাইটে ঘুরাঘুরি করে অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারছে।
ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু এখানে একটা কিন্তু আছে। এসব সাইট কতটা অথেনটিক? এসব সাইট চালায় কারা? অনেকেই এসব সাইট থেকে বিভিন্ন মাসলা-মাসায়েল জেনে নিয়ে আলেমদের সাথে ব্যাপক তর্কে লিপ্ত হচ্ছে। নরমাল পড়াশুনার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকদের পাঠদানকেই আমরা রেফারেন্স হিসেবে ধরে নিয়ে পড়ি। মাঝে মধ্যে নেটের সাহায্য নিই। কিন্তু এক্ষেত্রে এর উল্টোটা হয়। নেটের ব্যাপারটাকেই মূল ব্যাপার ধরে নিয়ে আমরা বিভিন্ন আলেমের কথাবার্তাকে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করি। নেটের সাথে যদি মিল না থাকে তাহলে আলেমের কথাবার্তা ছুড়ে ফেলে দিই।
ইন্টারনেটও একধরণের মিডিয়া। আর অন্যান্য মিডিয়ার মত এই মিডিয়াতেও ইহুদি নাসারাদের ব্যাপক প্রভাব আছে। আমাদের তাই সতর্ক হওয়া দরকার।
ইসলাম সম্পর্কে জানতে হলে মাদ্রাসায় জেতে হবে। মধ্যবয়সে যদি চাকরিতে শাইন করার জন্য এমবিয়ে করা যায় তো জান্নাতের জন্য মাদ্রাসায় যেতে সমস্যা কি? যে মাদ্রাসায় সকালে ছাত্ররা পড়ে আর সন্ধ্যায় চাকরিজীবীরা পড়ে তা হচ্ছে জিন্দা মাদ্রাসা। যদি মাদ্রাসা আশেপাশে না থাকে তাহলে মসজিদেই পড়াশুনার ব্যবস্থা করুন। একজন ভাল আলেম ঠিক করুন যে আপনাদের প্রতিদিন এশার পর আধাঘন্টা থেকে একঘন্টা পড়াবে।
বিশ্বাস করুন আপনি যদি আপনার এলাকায় এই ব্যবস্থা চালু করতে পারেন তাহলে এক বছরের মধ্যে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা অনেক বাড়বে। আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব দুই বছরের বেশি সময় ধরে এশার নামাজের আগে ১০-১৫ মিনিট বয়ান করছেন এবং এশা ও ফজরের পরে কোরআন শিক্ষা দিচ্ছেন। মুসল্লি সংখ্যা দুই বছরে তিনগুন হয়েছে।
আপনিও চেষ্টা করুন। ইসলামকে ছড়িয়ে দিন আপনার এলাকায়। আল্লাহ্ আপনার সাথেই থাকবে, নিশ্চিত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




