প্রতিদিন রাত নেমে আসে। প্রতিদিন ভোরের সূর্য দেখা যায়। তারপর আবার অন্ধকার ডেকে সন্ধ্যা। সন্ধ্যা এমন এক করুন পরিনতি যখন নববধু বাপের বাড়ির কথা ভেবে ডুকরে কেদে ওঠে। অথচ সেই কান্নার সন্ধ্যা আর কাটেইনা। কাটেইনা, কাটেইনা...
পৃথিবীতে সন্ধ্যা নেমেছে। কুকুর গুলো বড় বেশি দোড় ঝাপ করছে এই সময়। কোথাও বোমা ফাটাচ্ছে কোথাও বা নিজেরাই আর্তনাদ করছে লাঠির বাড়ির চোটে। মানুষ গুলো ভয়ে সন্ধার বাতাবরনেই ঘুমিয়ে পড়বার আয়োজন করেছে।
সন্ধ্যা কাটেনা, সন্ধ্যা কেটে আর ঘন অন্ধকারও আসেনা। পৃথিবী আটকে গেছে তার অক্ষে। একধারে সে একই ভাবে গুনগুন করে তার মুখস্থ কবিতার এক লাইনে থেমে গেছে। বারবার পূনঃপঠন চলছে বলে সন্ধায় ফিরে ফিরে আসছে। ইশ যদি ভোর বেলায় হত এই আটকে যাওয়া! ইশ যদি ভোরের কবিতা ভুলে যেত এ পৃথিবী! তাহলে সকল শুভ্রতা, প্রাণ ভরে উপভোগ করতাম। নববধুরা তৃপ্তির ঘুমে অঘোর ঘুমাত!
যদি ভোর হয়ে থাকত এই বিশ্ব!
বিশ্বের ধর্ম হল চলমান থাকা। কিন্তু সেটা আটকে গেছে। আজ একই ধারার মারামারি, কলহ এ বিশ্বের নিংড়ানো সন্ধ্যা।
রাতও আসেনা।
রাত ফুরায় না।
কাঙ্ক্ষিত ভোরও আর হয়না...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪