এগিয়ে যাও প্রজন্ম। দিক্ ভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই। আমাদের দাবী একটাই যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসি চাই। অনেকে অনেক প্যাচ মেরে কথা বলছে কান না দিলেই হল। আন্দোলন চলবে সবাই সাথে আছি। ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই।
এত দিন পরে লিখতে বসে মনে হচ্ছে আংগুল সরছে না! জীবনটা যেন রোবটের মত পাড়ি দিচ্ছিলাম। সেই রুটিন মাফিক ঘর সংসার। এর মাঝে ঝড় নিয়ে আসলো নতুন প্রজন্ম। দিন রাত আঁঠার মত আছি ল্যাপির সামনে। একবার ব্লগ একবার ফেসবুক তো আরেক বার ইন্টারনেট টিভি!
ব্লগে না লিখলেও হাজারবার করে এসে পড়ে যাই, বন্ধুদের ফেসবুকে স্টাটাস পড়ি, লাইক দেই, মাঝে মাঝে মন্তব্য করি। খেয়াল করি শ্বাপদের দল সবখানে কেমন পাগলা কুকুরের মত করছে। নিরীহ ব্লগার রাজীবের মৃত্যুতে আস্তিক নাস্তিকের ইস্যু তৈরী করার চেষ্টায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দেওয়া হল কুকুরটার গায়ে! সেই পুরোন খেলা নজরুলের ভাষায় হিন্দু না মুসলিম!
মানুষে মানুষে একাকার প্রজন্ম চত্তর! আহা আমিও যদি সবার সাথে গলা ফাটিয়ে শ্লোগান দিতে পারতাম! নতুনদের স্যালুট। বাংলাদেশের স্হবির জনগনকে নতুন আলোর দিশা দেখানোর জন্য, আমরাতো আশা করতেই ভুলে গেছিলাম। হতাশায় নিমজ্জিত জাতিকে তুলে ধরার জন্য। আমরাও পারি রাজাকারদের ফাঁসি চাইতে। শ্বাপদের দল মনে করছে ৪২ বছর পার হয়ে গেছে আর কি করবে পচা গলা বাংলাদেশ! তাকিয়ে দেখ হিংস্র কুকুর তোকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য সব তৈরী, এমনকি জল্লাদও!
নিজেকে বড় একা মনে হয় বিদেশের মাটিতে। জানিনা আরো যারা বাইরে আছেন সবার কেমন মনে হয়। বাইরের জীবনটা এত ব্যস্ত, কিন্তু মন পরে থাকে দেশে। খালি কবে যাব কবে যাব দেশে?