somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অকথনকথনপটিয়শস- প্রথম সংখ্যা

১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৩ রবিউস সানি, ১৪৩০ হিজরি
এপ্রিল ১০, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
২৭ চৈত্র, ১৪১৫ বাংলা

সম্পাদক হিমালয়৭৭৭
সহসম্পাদক মুক্তবয়ান কর্তৃক প্রকাশিত

সম্পাদকীয়:
প্রাচীন চিরন্তন রীতি অনুযায়ী প্রথমসংখ্যার সম্পাদকীয় হবে সেইরকম জম্পেশ কিছু, বা কেউ কেউ হয়ত ভাবছিলেন আমাদের লেখা পড়ে হাসতে হাসতে এন্টাসিড খেতে হবে পেটের পীড়া কমাতে। অন্তত এই সংখ্যায় সেসব কিছুই হচ্ছেনা সেটা নিশ্চিত, কারণ আমরা মাইন্ড করেছি। কেন মাইন্ড করেছি, কার উপর করেছি সেটা প্রকাশ করে আর আপনাদের মাইন্ডের কারণ হতে চাইছিনা।
এইবার কিছু টিপিকাল প্রবচন। হ্যাঁ, যা বলছিলাম- “অকথনকথনপটিয়শস” কে যদিও কেউ কেউ (আমরাও অন্তর্ভুক্ত) পত্রিকা বলছেন, আসলে এটা মোটেই পত্রিকাধর্মী কিছু নয়, আবার প্রচলিত পোস্টের মতও কিছু নয়- এরকম আইডেন্টি ক্রাইসিসে ভুগছিলাম গত ১সপ্তাহ ধরে, অবশেষে আমাদের পরিত্রাতা হয়ে এগিয়ে এসেছেন পলাশীর জনৈক চপ বিক্রেতা- তার দেখাদেখি এটাকে সাময়িক ‘ই-চপ’ বলব ভাবছি।
বাই ডিফল্ট কিছু নীতিমালা থাকতেই হবে ‘ই-চপের’।শুরুতে আমাদের নীতিমালা ছিল মোট ১১৩৯টি! এর মধ্যে আবার ক,খ,গ,ঘ উপধারা ছিল- পরবর্তীতে অনেক যাচাই-বাছাই করে নীতিমালা সংখ্যা ১০০ এর মধ্যে আনতে সমর্থ হয়েছি। আজ কয়েকটি উল্লেখ করে ‘ই-চপ’ এর প্রথমসংখ্যার সমাপ্তি টানছি।
১. ই-চপের লেখাগুলোর কোন কপিরাইট নেই, যার যেখানে ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবেন, সেজন্য অনুমতিরও প্রয়োজন নেই।
২. ব্লগের কোন চরিত্র বা ঘটনা নিয়ে ‘ই-চপে’ একটি লাইনও লেখা হবেনা, লেখার বিষয়বস্তু জাতীয় দৈনিকগুলোতে পরিবেশিত সংবাদ; সেগুলোর আলোকে নিজেদের মত করে লেখা হবে। তবে ‘ই-চপে’ ব্লগারদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা আছে। তার কয়েকটি নমুনা বলি:

ক. যাদের গালাগালি প্রীতি আছে,. তাদের জন্য আছে গালাগালি কর্ণার- তারা সেখানে গালিগালাজ লিখে যাবেন।
খ. নিজের পোস্টের এডভারটাইসমেন্ট করার প্রবণতাও আছে অনেকের; তাদের জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা- তারা পোস্টের শিরোনাম, লিঙ্ক, বিষয়বস্তু সম্পর্কে লিখে এখানে লিখে যেতে পারেন, আমরা ফ্রি এডভারটাইসমেন্টের যাবতীয় আয়োজন করে দেবে
গ. যারা চ্যাট করতে আগ্রহী, তারাও অংশগ্রহণ করতে পারেন আমাদের ই-চপে; কোন এনট্রি ফি বা জানান দেয়া ব্যতিরেকেই নিজেদের পোস্ট মনে করে চ্যাট করতে পারবেন, কেউ বিঘ্ন ঘটাতে আসবেনা।
ঘ. কারো কারো মাইনাসপ্রীতি, কারো মাইনাসভীতি আছে- আমরা এইধরনের প্রীতি এবং ভীতিমুক্ত, তাই স্বাচ্ছন্দে মাইনাস দিতে পারেন একই আইপি অথবা ভিন্ন নিক থেকে যত খুশি।


আজকের মত নীতিমালা এখানেই শেষ, প্রতি সংখ্যায় কিছু কিছু করে নীতিমালা শেয়ার করা হবে। আমাদের মেজাজ চরম খারাপ বলে আজ শুধু নীতিমালাতেই কার্যক্রম শেষ করছি।মন-মেজাজ ঠিক হলে সামনের সংখ্যাগুলো অবশ্যই জমকালো আকারে উপস্থাপন করা হবে। এখন বেলুন আর পায়রা উড়িয়ে এই মহতী(!) উদ্যোগের শুভ উদ্বোধন করা হবে। তালিয়া। (মাইন্ড করার ব্যাপারটা সহসম্পাদক মুক্তবয়ান হালকাচালে লিখবে নিচে,ভালমত খেয়াল করলে বুঝবেন আশা করি)



সারি সারি গাড়ি গাড়ি, রাস্তাঘাটে ফ্রি ফ্রি!!/ রাস্তার মানুষ ঘর চায়, অবলা নারী যাবে কোথায়!!
-মুক্তবয়ান

খবরে প্রকাশ, জনৈক ব্যক্তি কোন একটি বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই মানুষের মাঝে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন!! সংগঠনের সদস্যগণ তার আগমনের পর থেকেই অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে কাজের ক্ষেত্রে গতিশীলতার পরিচয় দেয়!! আর, এর প্রভাব পড়ে সাধারণ ম্যাঙ্গো-পাব্লিকের উপর!! তারা এই অত্যন্ত গরমের দেশে, হুতাশনবর্ষী দাবদাহে অতীষ্ট হয়ে কয়েকটা করে ঠেলাগাড়ি কিনছিলেন!! কিন্তু হায়, "এ জগতে হায়/ সে-ই বেশি চায়/ আছে যার ভুরি-ভুরি!!" এই নীতিতে বিশ্বাসী ঐ ব্যক্তি সাধারণ মানুষের ঠেলাগাড়ি জব্দ করার আন্দোলনে নেমে পড়েন!! এবং, তার সংগঠনের গাড়ি বারান্দা ঠেলাগাড়িতে পূর্ণ করে ফেলেন। তার এক কথা এসব নাকি অবৈধ ঠেলাগাড়ি!! এই অবস্থায়, জনগণ, তাদের পুত্র-কন্যাদের সামনে লজ্জার হাত থেকে বাঁচার জন্য রাস্তা-ঘাটে ঐগুলা ফেলে রেখে চলে যেতে থাকেন!! আর, কিছু নির্লজ্জ শিশু নাকি এইভাবে বেওয়ারিশ গাড়ি দেখে তাতে রাতে ঘুমাইতে থাকে। কিন্তু, আপসুস!! "গরীবের কপালে নাকি সুখ সয় না!!" তাই, ঐ ব্যক্তি এইসব ঠেলাগাড়িও নিজের সংগঠনের সামনে এনে জমাতে থাকেন!! এবং, এসব গাড়ির লাইসেন্সের খোঁজ করেন। তিনি মনে হয়, কিঞ্চিৎ স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন!! তাই তিনি জানতেন না, ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স হয়না!!

গাড়ির কথা যখন উঠলই.. তার সাথে মনে হয়, বাড়িও চলে আসে!! "গাড়ি-বাড়ি নাই/ তুই আর কিসের বড়লোক, ভাই!!" তাই, সবার খায়েশ, গাড়ি হইছে, এইবার চাই নিজেদের একটা বাড়ি!! আবার, মাথার উপ্রে ছাদ না থাকলে থাকব কোথায়?? তাই, প্রথমে থাকার একটি জায়গা চাই। দুই সন্তানকে নিয়ে যখন থাকার কোন জায়গা নেই এমন এক নারী রাস্তায় নেমে এলেন, তখন জনৈক উদার এক ব্যক্তি তাদের থাকার জন্য একটি কুড়েঘর দিলেন। খুবই কম দামে থাকার ব্যবস্থা হল। নারী তো মহাক্ষ্যাপা!! এইটুকু একটা ঘরের কেমন করে থাকব!! আস্তে আস্তে ছেলেরা বড় হতে থাকল, আয়-রোজগার বাড়ল, নতুন বাড়ি হল। কিন্তু, পুরান বাড়ি বলে কথা!! মায়া কি এত সহজে যায়?? তাই, দুই বাড়িতেই তার বসবাস!!
এরমাঝেই, সুখের ঘরে দু:খের আগুন জ্বালাতে নতুন মহিলার আগমন!! তিনি ঝামেলা লাগিয়ে দিলেন.. একজনের দু'টি বাসা নাকি অবৈধ!! নারীবাদী পুরুষরা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন!! রাস্তা বন্ধ করে ফুটপাথে মিছিল, মিটিং!! এই নারী যাবেন কোথায়!!


সকলের প্রত্যাশার চাপে বৃষ্টি মনে হয় বাষ্পীভূত!!
-মুক্তবয়ান

বসন্ত চলছে। যখন প্রথম বসন্তদিন। সবাই মহাখুশি। হলুদ শাড়ি, হলুদ ফুল মাথায় করে ঘোরাঘুরি!! প্রচন্ড খরতাপও তখন মাথায় মধুবর্ষী!! দিন যায়, আবেগ ফিকে হয়ে আসে। প্রেমিকার হাত ধরে থাকাও অসহ্য লাগে!! হাত সমানে ঘামছে যে!!
অনেক আশা নিয়ে বসে আছে সবাই। কবে বর্ষা আসবে?? কবে হুড তুলে, পর্দা লাগিয়ে তাকে নিয়ে রিকসা করে ঘুরব!!! হুট করে সবাইকে অবাক করে দিয়ে একদিন ঝুম বৃষ্টি নামে। সবাইকে আরো খুশি করার জন্য সাথে নিয়ে আসে তার বড় ভাই.. শিলা'কে!! একের সাথে এক ফাও!! বাঙালী আবেগাপ্লুত!! সবার মাথায় ভীড় করে আসে ছন্দ-কবিতা!!
কিন্তু, স্টক বলে কথা!! আরে বাবা, বৃষ্টি য়ে ঝরাবো, পানি তো থাকতে হবে নদী-সমুদ্রে!! তাহলে সে না বাষ্পীভূত হবে, তারপর মেঘ, তারপর তো বৃষ্টি!! এত লম্বা প্রক্রিয়া পার হয়ে ভাই সহ যে বৃষ্টি এল, তাকে নিয়ে তো মাতামাতি হবেই!! সবার এত এত প্রত্যাশার চাপে বৃষ্টি এখন ঝরতে পারছে না!! তার আগেই বাষ্পীভূত!! তাই, মাঝে মাঝে ভরদুপুরেও সাঁঝ আকাশের মত আঁধার নামে, কিন্তু, ঐ মেঘ আর বৃষ্টি হয়না!!

আজ, এ পর্যন্তই!! আমাদের প্রতিবাদও তাই ঐরকমই!! সূচনালগ্নে আনন্দধ্বনি প্রাণে বাজে না। দু:খেও আর এখন আমাদের মুখে হাসি ফোটে না!!


ঘোষণা:
আগামী ১৬ই এপ্রিল থেকে এইচ.এস.সি পরীক্ষা শুরু। সবাইকে শুভেচ্ছা। আর, নীল-দর্পনকে ব্লক করার জন্য সবার কাছে অনুরোধ!! পড়াশুনায় ফাঁকি দিয়ে সে ব্লগে আসে!!

বিজ্ঞাপন:
আপনারা বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন!! আগে-পরে নাই!! যোগাযোগ করলেই হবে!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৮
৫৯টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×