somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অকথনকথনপটিয়শস- ঈদ ও পূজা সংখ্যা-১

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৪ শাবান, ১৪৩০ হিজরি
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
০৯ আশ্বিন, ১৪১৬ বাংলা

সম্পাদক হিমালয়৭৭৭
সহসম্পাদক মুক্তবয়ান কর্তৃক প্রকাশিত

সম্পাদকীয়:
ঈদ চলে যাওয়ার ৩দিন পর আমাদের ঈদসংখ্যা যদি কাউকে অবাক কিংবা হতাশ করে থাকে, তার কৈফিয়ত দেয়াটাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সুতরাং সে বিষয়েই কথা হোক। ঈদের আগে বা ঈদের দিন ঈদ বিষয়ক লেখা পড়ার সময়-ধৈর্য্য কোনটাই থাকেনা; অবশ্য এখনও আছে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় থাকলেও বিভিন্ন চ্যানেলে পাল্লা দিয়ে প্রচারিত বস্তাপচা নিম্নমানের অনুষ্ঠান দেখে অনেকেরই আগ্রহ জাগতে পারে ভিন্ন কিছুর। সেই ভিন্নকিছুর তাগিদ থেকেই আমরা কয়েকদিন পরে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করলাম। এই সংখ্যায় যারা লেখা দিয়েছেন তাদের জন্য একটি ধন্যবাদ বরাদ্দ থাকল; একটি ধন্যবাদই সবাই ভাগ করে নিন আপাতত। সবশেষে, পত্রিকার তরফ থেকে সবাইকে জানাই অফিসিয়াল ঈদের শুভেচ্ছা।

সহ-সম্পাদকীয়:
অনেকের কাছেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এতদিন পরে ঈদ সংখ্যা কেন? আমরা একটু পরিষ্কার করি, আমরা জাতি হিসেবে ফাঁকিবাজ কি না এটা স্বীকার্য না হলেও অকথনকথনপটিয়শস পত্রিকা হিসেবে স্ব-ঘোষিত ফাঁকিবাজ! কাজেই পরপর দু'টি আয়োজন করা সম্ভব না ঈদ ও পূজা উপলক্ষ্যে। তাই ঈদের রেশ কাটার আগেই ৪র্থ দিনে এসে পূজার সূচনা ষষ্ঠীতে আমাদের বিশেষ সংখ্যা। আমাদের অনুরোধে পত্রিকার পাঠকদের জন্য ব্লগের বিভিন্ন লেখকগণ তাদের পাঠকদের জন্য বিশেষ লেখা দিয়েছেন। তাদের ধন্যবাদ। বেশি সংখ্যক লেখা এসে পরায় আমরা সবলেখা একসঙ্গে প্রকাশ করছি না। লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা বর্ণক্রম অনুসরণ করেছি। যেহেতু, এটা এমন একটা পত্রিকা, যার পুরোটাই ফাঁকিবাজি, কাজেই ব্লগারগণের জন্য লেখা জমা দেবার সময়সীমা আজীবন! তবে, লেখা প্রকাশের অধিকার অকথনকথনপটিয়শস সংরক্ষণ করে না! সবাইকে ঈদ মোবারক ও পূজার শারদ শুভেচ্ছা।


ঈদ স্পেশাল- অপ্সরীয়া ফেভারেট রেসিপি
-অপ্‌সরা
ঈদে সবাই চায় স্পেশাল আনকমন কিছু। সে জামা কাপড়েই হোক , সাজ সজ্জায় আর পোষাকে-আশাকে বা খাদ্যসম্ভারেই হোকনা কেনো। আমার এবারের ঈদ স্পেশাল খাবারের তালিকায় থাকছে চিকেন কেশুনাট সালাদ।
এই ডিশটা আমি নিজেই বানাবো। এবারের রমজানের ইফতারের মেন্যুতে আইটেমটা আগেই প্রাকটিস করে নিয়েছি ও বাসার সবার প্রশংসাভাজন হয়ে এবারে ঈদে বেড়াতে আসা সব আত্নীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবদের জন্যও এই আইটেমটিই বিশেষ ডিশ তালিকায় রাখবো বলে মনস্থ করেছি।

কেশুনাট সালাদ বানানোটা একেবারেই সোজা। এটা বানাতে লাগবে,
শশা- ২টি
টম্যাটো-২টি
ক্যাপসিক্যাম-২টি
পেয়াজ- ২টি গোল চাকা করে কাঁটা
কাঁচা মরিচ ধনেপাতা কুঁচি করে কাঁটা- আন্দাজমত
চিকেন কিউব-২ কাপ
রসুন কুচি -২ কাপ
টম্যাটো সস-২ কাপ
সয়াসস- আধা কাপ
চিনি-আধা কাপ
কেশুনাট-৫০০ গ্রাম

চিকেন কিউবগুলো টেম্পুরা ফ্লাওয়ারে মাখিয়ে মুচমুচে করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে।
ফ্রাইপ্যানে রসুন কুচি লালচে করে ভেজে তাতে টম্যাটো সস, সয়াসস আর চিনি দিয়ে জাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। ।সসটা হয়ে গেলে তাতে কেশুনাট, চিকেন কিউব আর শশা টম্যাটো পেয়াজ মরিচ ধনেপাতা সব একসাথে মাখিয়ে নিতে হবে।

ব্যাস হয়ে গেলো মজাদার মুচমুচে চিকেন কেশুনাট সালাদ।


তুমি শুধু তুমি
-অনন্ত দিগন্ত
তোমাকে দেখলেই হৃদয়ে বেজে ওঠে আনন্দ বীনার অবিনাসী সুর... মনে ছড়িয়ে যায় ভালোবাসায় ফুলঝুরি... অস্তিত্বের পরতে পরতে ছুয়ে যায় তোমার উষ্মতা, সুর্যালোকের ন্যায় উদ্ভাসীত তোমার রুপে ঝলসে যায় তোমার আশেপাশের প্রতিটি অনু পরমানু, চাঁদের আলোর স্নিগ্ধতায় নিজেকে সাজিয়ে আলোকিত করেছ বহু মানুষের লুকিয়ে রাখা সুপ্ত বাসনা...

তোমার তুলনা শুধু তুমি ... আমার অহংকার শুধু তুমি ... আমার ভালবাসা আজ শুধুই তুমি, তোমার স্পর্শে যেন জেগে ওঠে হাজার বছরের মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ ... বিষ্ফোরিত হয় জাহার রং এর আতশবাজি ... শুষ্ক মৃতপ্রায় নদীতে জেগে ওঠে ভরা যৌবনের পুলকিত চিহ্ন ... তাইতো তোমাকে পাওয়ার তীব্র আকাংখায় আজ যুদ্ধে অবতীর্ন হাজারো সুন্দরের পূজারী ... সেই তুমি যে আর কেউ নও, আজকে আমাদের সবার নয়নের মনি- মাসাক্কালি ;)


জোকস
-হাল্ক
এক ছেলে অঙ্কে খুব দুর্বল। অঙ্কে দুর্বল হলে কি হবে- বদমায়েশীতে সে খুব সবল। বাসার সবাইকে জ্বালিয়ে মারে। বাপ মা প্রায়ই তাকে হুমকি দেয়- এইরকম করতে থাকলে তোমাকে খ্রীস্টান মিশনারীদের স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হবে। তাদের হাতে পড়লে তুমি সোজা হয়ে যাবে।
ছেলে বাপ মায়ের কথায় কান দেয় না। ফলাফল বার্ষিক পরীক্ষায় সসম্মানে অঙ্কে ফেল। বাপ- মা তাকে নিয়ে পরের বছর খুব কড়া মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দেয়ে আসল।
পরের বছর ছেলে অঙ্কে হাইয়েস্ট মার্ক পেলো।
বাবা জিজ্ঞেস করল, এক বছরে এত উন্নতি হলো কিভাবে?
ছেলে- আমি মিশনারী স্কুলে গিয়েই দেখি বিশাল একটা যোগ চিহ্নের উপর এক সুন্দর মানুষকে ধরে বেধে রাখছে। তখনি বুঝছি, অঙ্ক নিয়া এদের সাথে হাঙ্কি-পাঙ্কি করা যাবে না।

যেরম রোজা সেরম ঈদ
-বাঙাল
এইবারের ঈদটা ভালাই কাটছে।কুলা লাম্পুরে ৩য় ঈদ। দ্যাশ থিকা সমমনা ৫টা পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট ইম্পোর্ট করছি গত ২/৩ মাসে। এগ নিয়া স্যারদের বাসায় জোটবদ্ধ আক্রমন চালাইয়া খানাপিনা লুটপাট করছি। ঝাল মিষ্টি সবি পাইছি। আর কিছু লোকবল বাড়লে এদের ছাত্র সংসদ ভবনটা দখল নিমু বখতিয়ার খিলজী স্টাইলে। বিল্ডিংটা পছন হইছে আমার। এসি আছে

ঈদ এইবার আমারে সারপ্রাইজ এটাক দিছে। ঈদের আগের দিন বিকালে ডিপার্টমেন্ট থিকা বাইরে আইসা দেখি ঝুপ বৃষ্টি...কোন বাস নাই। রাস্তার গাড়ি নাই বল্লেই চলে। বাসায় ভিজা ভিজা গিয়া দেখি ফ্লাটে কারেন্ট নাই। মসজিদে ইফতার নাই। "অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়া যায়, আর আমি যে মসজিদে যাই ইফতারী শুষ হইয়া যায়"। বাল মার্কা ইফতার করলাম। তেলাপুকা খাইলাম না খেজুর খাইলাম, কইতারি না। এক সিনিয়র ভাইরে ফোন দিয়া কইলাম কবে ঈদ? তেনার আবার মালায়শিয়ান কানেকশন। জানাইল কালকে। বাসায় ২টা ডিমও ছিল না, একটা আন্ডিও পরিস্কার নাই, শেভ করা নাই। পুরা ফাঊল অবস্থা।

তবে এইবারের ঈদে দেশের চেয়ে বেশি আরাম পাইতেছি। সেই রিক্সা খুজার ঝামেলা নাই। রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ি নাই। জিনিসপত্রের দামেও কোন বাড়াবাড়ি নাই। পাড়া ঘুরে ঘুরে খাওয়া হচ্ছে। ঝাল , মিষ্টি। সো পেটে ও শরীরে শান্তি। তবে সকাল থেকে "ফাকা রাস্তায় হুট তোলা রিক্সায় মানব-মানবীর ছোয়াছুয়ি প্রেম" দেখতে না পাইইয়া...দিল্টা বেচইন হইছে।:)
তবে সর্বাধিক রগড় দিছে ম্যানইউ।ঈদের রাইতে খেলাটা "ইত্যাদি" সম আনন্দ দিছে। পুরা খেলায় কুন বাশি হুনলাম না।বাশি মনে হয় রেফারী আংকেলের পকেট থিকা পইড়া হারায়া গেছিল। কিন্তু এক্সট্রা টাইমের বেলায় উনি উদার হইয়া মুটামুটি সারারাত খেলার ইজাজত দিলেন। মাইকেল ওয়েন ভাতিজা বাচাইছে গোল কইরা। নাইলে চেলসির খেলাডা দেখতেই পারতাম না।:)

ভাবতেছি আজকে রেডাং আইল্যান্ডে জামু। দ্যাশবাসির দুয়া চাই। যেন ফিরা আইতে পারি।



অকথনকথনপটিয়শস- ৫ম সংখ্যা
অকথনকথনপটিয়শস- ৪র্থ সংখ্যা
অকথনকথনপটিয়শস- ৩য় সংখ্যা
অকথনকথনপটিয়শস- ২য় সংখ্যা
অকথনকথনপটিয়শস- ১ম সংখ্যা
৩৪টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×