ভার্সিটির বন্ধগুলোতে যখন বাসায় যাই তখন কলেজের বন্ধুগুলোর সাথে খুব আড্ডা দেয়া হয় ,এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনা করছেন।আমাদের আড্ডার একটা বিশাল অংশজুড়ে থাকে আমাদের একেকজনের জনের বিশ্ববিদ্যালয়য় জীবনের সাতসতেরো।আমরা পাবলিকের ছেলেরা যখন বলি :দোস্ত আমাদের লাইফ সেই জোস অনেক মজা অনেক ফুর্তি,সবকিছুই অনেক জোস শুধু স্যারেরা ক্লাসের টাইম নিয়ে প্যারা দেয় এমনকি শীতের সকালে ৮টা বাজে ক্লাস করতে গেছি দেখি সাড়ে আটটা বেজে গেছে স্যারের কোন খবর নেই।যখন স্যারকে ফোন দেয়া হল তখন হয়তো স্যার বলবেন "আজ তোমাদের ক্লাস! আমিতো ভুলে গেছি,আজ ক্যান্সেল।" এছাড়া এমনও হয় মাঝেমধ্যে যে স্যার শুধু তাঁর বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনতে হবে বলে আমাদের ক্লাস ক্যান্সেল করে দেন।আর রেজাল্টের কথা নাই বললাম ,একটা কোর্সের ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর খাতা দেখে রেসাল্ট দিতে এদের ৬মাস সময়ও যথেষ্ঠ নয়। এসব শুনে প্রাইভেটের বন্ধুরা খুব অবাক হয় কারণ এদের এসব প্রব্লেম কখনোই ফেস করতে হয়না বা হয়নি অথচ এদের শিক্ষকগুলোও কোননা না কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়য়েরই শিক্ষক,পার্ট টাইম জব হিসেবে প্রাইভেটে ক্লাস নেন। তাহলে কেন এই অসংগতি ? ব্যাপারটা কি এমন যে সরকার এদের বেতন দেন না বা বেতন কম? অথচ আমার জানামতে তাঁরা খুব বড় ধরনের একটা বেতন পান সরকারের কাছ থেকে।আমি জানিনা এর মূল কারণটা কি ,এমন অনেক টিচারকেও আমি চিনি যারা সপ্তাহে দুটো মাত্র ক্লাশ নেন এবং সেই ক্লাসগুলোতে যে কোন ছাত্র খুব সহজেই বলে দিতে পারবে স্যার ভাল পড়াচ্ছেন না বা আগের দিন বাসার থেকে লেকচার ঠিক করে আনেন নি অথচ উনি যেই প্রাইভেটে ক্লাস নেন সেখানে খুব পছন্দের টিচার এবং ভাল পড়ান বলে ফেমাস। আমার মনে হয় পাবলিকের বেশীরভাগ শিক্ষকেই তাঁদের সরকারী চাকুরীটাকে প্রায়োরিটি দেয়ার আগে ওনাদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনটাকে প্রায়োরিটি দেন ব্যাপারটা এমন যে,সময় করতে পারলে ক্লাসে যাবো নইলে নয় ,সময় পেলে খাতা দেখবো নইলে নয়।এই যে বেতন বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন শুরু হচ্ছে যানিনা কি হবে এর ফল ,জানিনা আরেকটা সেশন জটে পড়তে হবে কি না আমাদের, শুধু জানি প্রত্যেকটা সেশন জটের জন্যই শিক্ষকদের খারাপ রাজনীতি পরোক্ষভাবে দায়ী।ওনাদের বেতন বাড়ুক তাতে আমাদের কোন লাভলোকসান নেই শুধু একটি কথাই বলব বেতন বাড়ার সাথে সাথে যেন স্যারদের মানসিকতা ও শিক্ষার মানও বাড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১