হুমায়ূন আহমেদ তাঁর আত্নজীবনী টাইপ এক বইয়ে লিখেছিলেন-"আমি তখন অ্যামেরিকাতে থাকি,পিএইচডি করছি।একবার পত্রিকায় অদ্ভুত এক হত্যার ঘটনা পরলাম,এক দম্পতি তাদের শিশু সন্তানকে কেটে কিমার মত করে জার্মান শেফার্ড কে খাইয়ে দিছে।ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়,তাঁরা যখন সেক্স করত তখন শিশুটির কান্না তাঁদের খুব অসহ্য লাগতো ও বিরক্ত হত তাই তাঁরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং পুলিশের কাছে বলে জার্মান শেফার্ড তাঁদের বাচ্চা খেয়ে ফেলেছে।" এই ঘটনাটা অ্যামেরিকার,ওদের ভীতর ফ্যামিলি বন্ডিং কম,ওরা জন্মের পর থেকেই একা ঘরে বড় হয়, ওদের বেশীরভাগ মানুষেই ডিপ্রেশনে ভোগে তাই ওদের সোসাইটিতে সাইকো বা মানুষিক রোগীর সংখাও কম নয়। এরকম ঘটনা ওদের দেশে খুব একটা আনকমন না। এখন আসি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে,১২ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জে চার শিশু (যাদের বয়স ৭ থেকে ১০ এর মধ্যে) হয় এর পর তাঁদের মাটি চাঁপা দেয়া লাশ পাওয়া যায়।এরপর কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে এক শিশুর বস্তাবন্ধি লাশ পাওয়া যায় ১মার্চ সকালে।তাঁর একদিন আগে চাঁদপুরে এক যুবক তাঁর ছোট দুই সৎভাইকে বালিশ চাঁপা দিয়ে হত্যা করঐ একইদিন ঢাকার বনশ্রীতে একই পরিবারের ছোট দুই ভাইবোন মৃত্যু বরণ করে অজ্ঞাত কারনে।প্রাথমিকভাবে রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে মারা গেছে অভিযোগ করলেও, র্যাবের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে উচ্চশিক্ষিতা মা তাঁর দুই সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।কারন ছিল পরকীয়া,পরিবারের অশান্তি।এভাবে একের পর এক শিশু হত্যা হচ্ছে মেনে নেয়াটা কঠিন,এটাতো শুধু শেষ কয়েকদিনের ঘটনা। হিন্দি সিরিয়াল,আমাদের নৈতিক অবক্ষয়,সংসারের কোলাহল সম্ভবত এগুলোর মূল কারন।এ জাতির নৈতিকতায় ঘুণ ধরেছে,এ জাতি ভুল পথে এগুচ্ছে। শেষ কথায় রেনেসাঁর সেই বিখ্যাত গানটাই বলব,আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই। আজ যে শিশু মায়ের হাসিতে ভেসেছে আমরা চিরদিন সেই হাসি দেখতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২