somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরকীয়া,পাগলা পানি,বহুগামীতা এবং জাহাজীদের অন্ধকার জীবন...

১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

/:) থ্রি-কোয়র্টার সিগারেট ও অন্যান্য
কলকাতার দাদাদেড় কিপ্টামির গল্প শুনেছি।এবার নিজের চোখে দেখে, কানে শুনেও বিশ্বাস হচ্ছিল না।
সিগেরেটর সাইজ দের ইনচি । ১২ সিগারেটের একটা প্যাকেটের নাম কিংসাইজ প্যাকেট!/:)
আর মিস্টির প্যাকেট!
প্যাকেট শব্দটার অপমান।
একটা প্যাকেটে সর্বোচ্চ তিনটা মিস্টি ধরে!
একদিন ফলের দোকানে জিজ্ঞেস করলাম দাদা আপেল কত করে?
তিনটা চল্লিশ রুপি,পাঁচটা সত্তর রুপি।দুইটার কম বিক্রি হপে না!
ঠিক আছে এক কেজি দেন।
বলেন কি দাদা এক কেজি!বাসায় কোন অনুষ্টান হবে নাকি গো?:|
সে ক্যাল্কুলেটার নিয়ে বসল হিসাব কারার জন্য!সেই ফল জাহাজে নিয়ে যাওয়ার জন্য।:P
দশ রূপি ঘোষ দিতে হল।শালারা এত খাচ্ছর-পাচ রুপি দশ রুপির জন্য পারলে পা চাটা শুরু করে।

জাহাজীরা কেন বেশি বেশি বিড়ি টানে?/:)
১-পরিবার থেকে দূরে থাকে।
২-তেল দূষণে পরিবেশ দূষিত হলে নির্ঘাত জেল, সাথে অস্বাভাবিক বড় অংকের জরিমানা।
এক বাংলাদেশি জাহাজীর তেল দূষণের দায়ে আমেরিকায় দশ বছরের জেল এবং ৫০হাজার ডলার জরিমানা হয়।এক বছর পর তাকে ছাড়িয়ে আনতে কোম্পানির একলাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়!
৩-জলদস্যুর মাহা আতংক। সোমালিয়া যাত্রার ফ্রি টিকেট !
৪-যে কোন সময় ঝড়,জলোচ্ছ্বাসে পানিতে ডুবে মরে ফ্রি স্বর্গ যাত্রা।
সিগারেটে আদৌ এসব দুশ্চিন্তা কমে কি না গবেষণার বিষয়!!!





কবি কহেন:|

জীবানান্দ দাশ পর্যন্ত জাহাজীদেরকে বুঝতে পারে নাইক্কা-
“কোন্‌ দূর কুহকের কূল
লক্ষ্য করি ছুটিতেছে নাবিকের হৃদয়-মাস্তুল
কে বা তাহা জানে!
অচিন আকাশ তারে কোন্‌ কথা কয় কানে কানে!”


• ক্যাডেট তুমি আমার দুলাভাই :P:P


এক ফিলিপিনো প্রকৌশলীর শখ হল সে বাংলা শিখবে।শিখিয়ে দিলাম how r u এর বাংলা।
পরদিন সে যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই ব্যাপক গর্ব নিয়ে জিজ্ঞাসা করছে-
তুমি আমার দুলাভাই! তুমি আমার দুলাভাই! সারা জাহাজে তোলপাড়!
আসল ঘটনা বুঝতে পারার পর সে আমার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দিল।
আমাকে দেখলেই সে শুধু বলে “ইউ নত গুদ, ইউ নত গুদ”।:P
ভিয়েতনামে জাহাজ গেলে ছোট ছোট নৌকায় করে হরেক রকমের সব্জি,মাছ,তরিতরকারি নিয়ে কিছু নারী ফেরিওয়ালা আসে।সাথে রান্নার চুলাও নিয়ে আসে।যা বলবেন তাই সে সুন্দর করে রান্না করে খাওয়াবে।
কাপ্তানের অনুমতি সাপেক্ষে তাকে কেবিনেও নিয়ে যেতে পারেন।পুরো কেবিন মুছে পরিস্কার করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেবে।আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।কৃষ্ণলীলা উপভোগ করতে চাইলেও আপত্তি নাই!
কিভাবে মুগ্ধ হতে চান নির্ভর করছে নিজের উপর।;)
কি যেন এক উৎসবের সময় দেখলাম অনেকেই ডিম খাচ্ছে।কিন্তু ডিমের ভিতরটা কালো কুচকচে।
একটা ডিম চেয়ে নিয়ে ভাংলাম।দেখি ভিতরে বাচ্চাসহ সেধ্ব!!/:)
এতে নাকি যৌনশক্তি বাড়ে!শরীরে বল ফিরে আসে!!!
কুসংস্কার আর কারে কয়।
আমেরিকানগুলা মনেহয় এই ডিম্বশক্তির কাছে হার মেনেছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধে!/:)

(ভয়াবহ রকমের ১৮+) শুসীল সমাজ দূরে থাকুন...............)B-)

মংলা বন্দরে বানিয়া শান্তা নামে একটি পতিতালয় আছে।
আমাগো নান্দাইল উপজেলার জামাই, তারুন্যের কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লার এক সময়কার
অনেক কবিতার জন্মভূমি এই বানিয়া শান্তা।
মংলা বন্দরে আগমনকারী জাহাজীরা একসময় একে আন্তর্জাতিক পরিচয়ে পরিচিত করে তুলেছিলেন।
ব্রাজিলের স্যন্তোস যেমন মানুষ এক নামে চিনে, ঠিক তেমনি বানিয়া শান্তাকে চিনতো সারাবিশ্বের মানুষ।
ব্রাজিলের স্যন্তোসে ক্লাবে/বারে গেলে প্রায়ই দেখা যায় কোন তরুণী হঠাৎ বলে ‘আমি থোমায় বালবাশী’!:|
এ যুগে জাহাজীর সংখ্যা বাড়লেও বানিয়া শান্তার অবস্থা এখন নাকি খুব খারাপ।
মনে হয় জহাজীরা সব ভাল হইয়া গেছে।:P

জাহাজী কৌতুক.........B-)

বন্দরের পাশে ছোট্ট একটা কুটিরে বাস করে নানি আর তার ষোড়শী নাতনী।
একদিন তারা সামনের খোলা মাঠে ছাগলকে ঘাস খাওয়াইতেছিল।এমন সময় একটা যুবক ছেলে
পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।নানি তার নাতিকে ডেকে বলল-এই তুই ঘরে যা।এই যুগের ছাওয়ালদের বিশ্বাস নাই।
একটু পর এক হুজুরকে ঐ পথ দিয়ে যেতে দেখে নানি বলল-অ নাতি চল চল ঘরে চল।লেবাসধারী
হুজুরগুলা আরও খারাপ।এরা বিসমিল্লাহ বইলা চোখ বন্ধ কইরা ঝাপায়া পরে।বয়স দেখে না!;)
এরপর ঐ পথে এক জাহাজী আসতে দেখে নানি রীতিমত চিৎকার কইরা উঠল-
ও নাতীন তাড়াতাড়ি ঘরে চল।ছাগল গুলারেও সাথে নিয়া আয়।ঐ দেখ জাহাজী আইতাছে।
হেতে মানুষ না।হের কোনো বিশ্বাস নাই!!!!
;);)
২২টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×