স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান
মোহাম্মদ মুজাহিদসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আলেম, ব্যবসায়ীসহ পেশাজীবীরা গতকাল বিবৃতি দিয়েছেন। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা ৩৬ বছর পরে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা দায়েরে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দেশের বর্তমান নাজুক পরিস্খিতির ৩৬ বছর পর একটি কাল্পনিক হত্যা মামলা দায়ের করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা অবিলম্বে এ ধরনের কল্পিত মামলা প্রত্যাহার করে বন্যা ও সিডরে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪১ জন শিক্ষক গতকাল এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি কোন কোন মহল বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি তুলে দেশের স্খিতিশীলতা বিনষ্ট করা এবং বাংলাদেশ থেকে ইসলামের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা প্রথমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে। সে দাবি হালে পানি না পাওয়ায় তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তুলে। একই ধারাবাহিকতায় জনৈক মুক্তিযোদ্ধা একটি ইসলামী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কল্পিত হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তারা মনে করে দেশে অস্খিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী রোডম্যাপকে বানচাল করা, সরকারকে বেকায়দায় ফেলা এবং দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণের জন্য এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। দেশের বর্তমান নাজুক পরিস্খিতিতে ৩৬ বছর পর একটি কল্পিত হত্যা মামলা দায়ের করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা অবিলম্বে এ ধরনের কল্পিত মামলা প্রত্যাহার করে বন্যা ও সিডরে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আফসার উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী, অধ্যাপক ড. শেখ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনসার উদ্দিন, এটিএম ফজলুল হক, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মা'বুদ, অধ্যাপক এম মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: আইয়ুব আলী, অধ্যাপক ড. মো: আবুল হাশেম, ড. মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আ ক ম আব্দুল কাদের, অধ্যাপক ড. এ এফএম আমিনুল হক, অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ, অধ্যাপক ড. বেগম ইসমাত আরা হক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: আবু সিনা, অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান শেখ, অধ্যাপক ড. মো: রুহুল আমিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো: আবু ইউসুফ, ড. মো: নজিবুর রহমান প্রমুখ। জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের ৩০৫ জন বিশিষ্ট ওলামা মাশায়েখ।
তারা গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হয়রানি ও দেশে অস্খিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্খিতি সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল ৩৬ বছর পূর্বে নিত্তি হওয়া বিষয় যুদ্ধাপরাধীদের নামে ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নতুন ইস্যু সৃষ্টি করতে চায়। এটি দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন- মাওলানা আহমদ হোসাইন, মাহবুবুল আলম সিদ্দিকী, শওকত আলী, মাওলানা ওসমান গনী, মহিবুল্লাহ কুতুব উদ্দিন, মাহমুদুল হক সিদ্দিকী, আহমদুর রহমান নদভী, মো: আলম, জিয়াবুল হক প্রমুখ।
কুমিল্লার ২৫১ আলেম
কুমিল্লা অফিস জানায়, জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার নিন্দা এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কুমিল্লার ২৫১ জন ইমাম ও ওলামা মাশায়েখ এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, একটি মহল যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মত ৩৬ বছর আগে নিত্তি হয়ে যাওয়া বিষয়কে নতুন করে ইস্যু বানিয়ে দেশে অস্খিরতা সৃষ্টি এবং জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাদের ইনে সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় হত্যা ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের কল্পিত ও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ এসব অভিযোগের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের দূরতম সম্পর্কও নেই। জামায়াত নেতৃবৃন্দের সুনাম ও সম্মানহানি এবং জনগণের কাছে তাদের হেয় করতে হীন উদ্দেশ্যে এ মামলা করা হয়েছে। তারা এ ধরনের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার নিন্দা এবং অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মুফতি মাওলানা আব্দুল আলীম আশ্রাফী, মুফতি মাওলানা আবু সাঈদ আব্দুল মতিন, মো: আব্দুল হক পাটোয়ারী, মাওলানা মোল্লা নাজিম উদ্দিন ফয়েজী, কাজী নজির আহমেদ হেলালী, মাওলানা সায়্যেদ মমিনুল ইসলাম, মাওলানা মো: আব্দুল মালেক, মাওলানা গাজী মো: নুরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নোমান হোসাইন, মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা মো: মহসিন, মাওলানা এনামুল হক প্রমুখ।
চৌদ্দগ্রামের ২০০ বিশিষ্ট ব্যক্তি
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হাস্যকর মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান কুমিল্লার ২০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তারা বলেন, স্বাধীনতার ৩৬ বছর পর একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক সাজানো অভিযোগ এনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল এই দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ করার জন্য। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অব মডেল ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রব, হিউমেন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুস সাত্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অধ্যাপক সারোয়ার ছিদ্দিকী, এডভোকেট এজেডএম সালেহউদ্দিন, এডভোকেট মো: শাহজাহান, এডভোকেট আ: বাতেন, এডভোকেট সহিদ উল্লাহ, এডভোকেট নূরে আলম বাবু, মডেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আ: ওয়াদুদ প্রমুখ।
মাদারীপুরের ২০ জন
পেশাজীবী
মাদারীপুরের ২০ জন পেশাজীবী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি একটি মহল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মত ৩৬ বছর আগে নিত্তি হয়ে যাওয়া বিষয়কে নতুন করে ইস্যু বানিয়ে দেশে অস্খিরতা সৃস্টি করতে চায় এবং জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, ডা. গোলাম নাঈম ফারুকী প্রমুখ।
পাবনার সহস্রাধিক আলেম
পাবনার সহস্রাধিক আলেম মামলার নিন্দা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি ডাহা মিথ্যা মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় হত্যা ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের কল্পিত মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ এ ধরনের অভিযোগের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের দূরতম সম্পর্ক নেই। মূলত এরা দেশপ্রেমিকের পোশাক পরে দেশের মধ্যে বিশৃকôখলা সৃষ্টি করে আগামী নির্বাচন বানচাল করতে চায়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মাওলানা আব্দুস সামাদ, হাফেজ ইকবাল হুসাইন, আশরাফ আলী, আব্দুর রহীম, খতিব আব্দুস শাকুর, আব্দুর রব, জাকারিয়া, ফজলুর রহমান প্রমুখ।